ঢাবি ছাত্রলীগ হল কমিটির বিষয়ে নতুন সিদ্ধান্ত
কেন্দ্রীয় ও বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) ছাত্রলীগের হল কমিটি গঠনে নতুন সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। জানুয়ারির মধ্যেই তারিখ ঠিক করে হল সম্মেলন করা হবে বলে জানা যায়।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, ঢাবির হল কমিটি গঠনের বিষয়ে গতকাল শুক্রবার কেন্দ্রীয় সভাপতি আল নাহিয়ান খান জয়, সাধারণ সম্পাদক লেখক ভট্টাচার্য, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সভাপতি সনজিত চন্দ্র দাস ও সাধারণ সম্পাদক সাদ্দাম হোসেনের আলোচনা হয়েছে। হল কমিটির বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনার পর জানুয়ারির মধ্যেই সম্মেলন করা হবে বলে একমত হন।
ঢাবি ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক সাদ্দাম হোসেন বলেন, ঢাবির হল কমিটি গঠনে প্রাথমিকভাবে আলোচনা হয়েছে। আলোচনায় হল কমিটি গঠনে জানুয়ারি মাসেই হবে। সংবাদ বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে নির্ধারিত তারিখ জানানো হবে।
এফএ/টিআই
মন্তব্য করুন
অবশেষে সাকিব ইস্যুতে মুখ খুললেন ওবায়দুল কাদের
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে ‘কিংস পার্টি’ খ্যাত বিএনএমে সাকিব আল হাসানের যোগ দেওয়া নিয়ে রাজনৈতিক ও ক্রীড়াঙ্গণে ব্যাপক তোলপাড় চলছে। সম্প্রতি গণমাধ্যমে এমন একটি ছবিও প্রকাশিত হয়েছে। সাকিবের এমন কাণ্ডে দেশজুড়ে আলোচনা-সমালোচনার মধ্যে বিষয়টি নিয়ে মুখ খুলেছেন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।
মঙ্গলবার (১৯ মার্চ) রাজধানীর ২৩ বঙ্গবন্ধু এভিনিউর দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, সাকিব আওয়ামী লীগের টিকিটে মাগুরা থেকে নির্বাচন করে জয় লাভ করেছে। এর আগে সে কোনো দল করেছে কি না সেটা আওয়ামী লীগের কাছে বিবেচ্য নয়।
কাদের আরও বলেন, নমিনেশন চাওয়ার আগে সাকিব আমাদের পার্টির কেউ ছিল না। নমিনেশন যখন নেয় তাকে প্রাইমারি সদস্য পদ নিতে হয়। সে শর্ত পূরণ করা দরকার সেটা সে করেছে।
তিনি বলেন, সরকারি দল কিংস পার্টি করতে যাবে কেন? নির্বাচনকে সামনে রেখে রাজনীতিতে অনেক ফুল ফোটে। কোনটা কিংস পার্টি, কোনটা প্রজা পার্টি এটা সম্পর্কে আমার জানা নেই।
আওয়ামী লীগের এই নেতা বলেন, আমাদের গণতন্ত্র ঠিক আছে। আমাদের নির্বাচন হয়েছে। নির্বাচন ছাড়া সরকারে কেউ ক্ষমতা বসাতে পারবে না।
সংবাদ সম্মেলনে আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক বিএম মোজাম্মেল হক, মির্জা আজম, দপ্তর সম্পাদক বিপ্লব বড়ুয়া, উপ-দপ্তর সায়েম খান, কার্যনির্বাহী সদস্য সাহাবুদ্দিন ফরাজী, আনিসুল ইসলামসহ অনেকেই উপস্থিত ছিলেন।
তারেককে ত্যাগ করতে না পারলে বিএনপির ধ্বংস অনিবার্য : পাটমন্ত্রী
তারেক রহমানকে ত্যাগ করতে না পারলে বিএনপির ধ্বংস অনিবার্য বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য এবং বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী অ্যাডভোকেট জাহাঙ্গীর কবির নানক।
বুধবার (২০ মার্চ) রাজধানীর ইনস্টিটিউশন অব ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স (আইডিইবি) ভবনে আয়োজিত এক আলোচনা সভায় এ মন্তব্য করেন তিনি।
আওয়ামী লীগ বিএনপিকে ভাঙার চেষ্টা করছে- দলটির নেতাদের এমন বক্তব্যের জবাবে নানক বলেন, কোন দল ভাঙে? যেটা আস্ত থাকে সেটা ভাঙা যায়! যে দলটি (বিএনপি) ভাঙা ট্রেনে উঠে গিয়েছে, সে দল নিয়ে আওয়ামী লীগ কেন, বাংলার জনগণেরও কোনো মাথাব্যথা নেই। কত রাজনৈতিক দল ভুল রাজনীতির কারণে বিলীন হয়ে গিয়েছে। স্বাধীনতা পরবর্তীতে এমন নজিরও রয়েছে। বিএনপিও সেদিকে যাচ্ছে। যারা নির্বাচন ত্যাগ করেছে, যারা জনগণের রায় মেনে নেয়নি তাদের রাজনৈতিক অবশিষ্ট অংশটুকু বিলীন হয়ে যায়।
বিএনপি নেতাদের উদ্দেশে মন্ত্রী এরপর বলেন, আপনাদের নেতৃত্বের ব্যর্থতা, কাপুরুষতা ঢাকার চেষ্টা করছেন। এসব বলে লন্ডনে বসে থাকা পলাতক কুলাঙ্গার তারেক রহমানের ব্যর্থতা ঢেকে রাখতে পারবেন না। লন্ডনের সুতা পরিহার করতে না পারলে বিএনপি দেশের রাজনীতিতে কোনো ভূমিকা রাখতে পারবে না, বিএনপির ধ্বংস অনিবার্য। এ দেশের রাজনীতিতে নিজেদের টিকিয়ে রাখতে হলে আওয়ামী লীগকে নিয়ে আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই। বরং বিএনপিকে সুষ্ঠু ধারার রাজনীতিতে আসতে হবে।
একতরফা নির্বাচনের কারণে এ সরকার টিকবে না- বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের এমন বক্তব্যের সমালোচনা করে নানক বলেন, ৭ জানুয়ারি জনগণের অংশগ্রহণে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে। অধিকাংশ রাজনৈতিক দল দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে অংশগ্রহণ করেছে। কেন্দ্রে ভোটাররা সুষ্ঠুভাবে ভোট দিয়েছে। এতেই প্রমাণ হয় মির্জা ফখরুলের বক্তব্যের কোনো যুক্তি নেই। বরং সুষ্ঠু নির্বাচনের মধ্যে দিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আবার সরকার গঠন করে বিশ্বে অনন্য দৃষ্টি স্থাপন করেছেন।
স্বেচ্ছাসেবক লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি ম. আব্দুর রাজ্জাকের সভাপতিত্বে এবং সাধারণ সম্পাদক আফজালুর রহমান বাবুর সঞ্চালনায় আলোচনা সভায় আরও বক্তব্য দেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম, সংগঠনের সহ-সভাপতি সুব্রত পুরকায়স্থ, আব্দুল আলীম বেপারী, আনোয়ারুল আজিম সাদেক, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মোবাশ্বের চৌধুরী, খায়রুল হাসান জুয়েল, সাংগঠনিক সম্পাদক কৃষিবিদ আ ফ ম মাহবুবুল হাসান মাহবুব, শাহ্ জালাল মুকুল, ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগ ভারপ্রাপ্ত সভাপতি শাহ আলম মিন্টু, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগ সাধারণ সম্পাদক তারিক সাঈদ, ঢাকা মহানগর উত্তর স্বেচ্ছাসেবক লীগ সাধারণ সম্পাদক আনিছুর রহমান নাঈম প্রমুখ। এ সময় সংগঠনের কেন্দ্রীয় ও ঢাকা মহানগর উত্তর-দক্ষিণের বিভিন্ন থানা ওয়ার্ডের বিপুল সংখ্যক নেতাকর্মী উপস্থিত ছিলেন।
সবাইকে মিলেমিশে দলের জন্য কাজ করতে হবে : নেতাদের প্রধানমন্ত্রী
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দলের মধ্যে কোনো ধরনের মতবিরোধ না রাখার নির্দেশনা দিয়ে দলীয় নেতাদের বলেছেন, সবাইকে মিলেমিশে দলের জন্য কাজ করতে হবে।
তিনি বলেন, সামনে উপজেলা পরিষদ নির্বাচন। এ নির্বাচন ঘিরে যেন আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি না ঘটে। আমরা দলের কোনো প্রার্থী দিচ্ছি না। অবাধ-সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচন হবে। যার জনপ্রিয়তা বেশি সে জিতে আসবে।
বৃহস্পতিবার (২১ মার্চ) প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবন গণভবনে দলীয় নেতাদের সঙ্গে সাক্ষাৎকালে তিনি এ নির্দেশ দেন।
বৃহস্পতিবার আওয়ামী লীগ সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে দলটির কেন্দ্রীয়, জেলা-উপজেলা এবং সহযোগী সংগঠনের শতাধিক নেতা সাক্ষাৎ করেছেন। এর মধ্যে মন্ত্রিপরিষদ সদস্য, সাবেক ছাত্রলীগ নেতা ও স্থানীয় সরকারের জনপ্রতিনিধিরা ছিলেন।
প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবন গণভবনে সকাল ১০টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত আলাদা আলাদাভাবে সাক্ষাৎ করেন তারা। এ সময় নেতারা বিগত জাতীয় সংসদ নির্বাচন, আসন্ন উপজেলা পরিষদ নির্বাচন এবং সাংগঠনিক বিভিন্ন বিষয়সহ নিজেদের নানা সুবিধা-অসুবিধার কথা নেত্রীর কাছে তুলে ধরেন।
আওয়ামী লীগ সভাপতি দলের নেতাদের কথা মনোযোগ দিয়ে শোনেন এবং তাদের বিভিন্ন দিকনির্দেশনা দেন।
সাক্ষাত করেছেন রেলমন্ত্রী মো. জিল্লুল হাকিম, জনপ্রশাসনমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন, আওয়ামী লীগের আন্তর্জাতিকবিষয়ক সম্পাদক ড. শাম্মী আহমেদ, শিল্প ও বাণিজ্য সম্পাদক সিদ্দিকুর রহমান, সাবেক ছাত্রলীগ নেতা ইসহাক আলী খান পান্না, মাহফুজুল হায়দার চৌধুরী রোটন, সাজ্জাদ সাকিব বাদশা, শেখ সোহেল রানা টিপু, এসএম জাকির হোসাইন, যুব মহিলা লীগ সভাপতি ডেইজী সরোয়ার, সাধারণ সম্পাদক শারমীন সুলতানা লিলি প্রমুখ।
এছাড়া রংপুর জেলা আওয়ামী লীগের আহ্বায়ক ছায়াদত হোসেন বকুল, রংপুর মহানগর আওয়ামী লীগের আহ্বায়ক দেলোয়ার হোসেন, পীরগঞ্জ পৌর মেয়র তাজিমুল ইসলাম শামীম, পীরগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি নুরুল আমিন রাজা, উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান নূর মোহাম্মদ মন্ডল, জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি শহিদুল ইসলাম পিন্টু, মহানগর আওয়ামী লীগ নেতা গোলাম রাব্বানী বিপ্লব, কক্সবাজার উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান কায়সারুল হক জুয়েল, পাবনার বেড়া পৌর মেয়র এসএম আসিফ শামস রঞ্জন প্রমুখ।
এছাড়া এদিন প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন হকার্স লীগের সভাপতি-সাধারণ সম্পাদক এবং কুষ্টিয়া, নোয়াখালী, কক্সবাজার, নরসিংদী, চট্টগ্রাম উত্তর জেলা, হবিগঞ্জসহ আরও কয়েকটি জেলা ও উপজেলা আওয়ামী লীগের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতারা ।
ভারতীয় পণ্য বয়কট নিয়ে যা বললেন ওবায়দুল কাদের
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, আমাদের নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের একটি বড় অংশ আসে ভারত থেকে। ভারতীয় পণ্য বয়কটের নামে বিএনপি আমাদের বাজার ব্যবস্থা অস্থিতিশীল করার চেষ্টা করছে। বিএনপির নেতা শাল ফেলে দিয়ে ভারতীয় পণ্য বয়কটের নিদর্শন করা পাগলামি। বিএনপির এক নেতা গণতন্ত্র উদ্ধারে ভারতের সহযোগিতা চায়, আবার আরেক নেতা ভারতের পণ্য বয়কটের ডাক দেয়। আসলে বিএনপি রাজনৈতিক দল হিসেবে নিজেরা দিশেহারা হয়ে গেছে।
শুক্রবার (২২ মার্চ) দুপুরে ধানমন্ডিতে আওয়ামী লীগের সভাপতির রাজনৈতিক কার্যালয়ে এক বিফ্রিংয়ে তিনি এসব কথা বলেন।
ওবায়দুল কাদের বলেন, কতটা দেউলিয়া, উগ্র মানসিকতা সম্পন্ন, কতটা রাজনৈতিক, কূটনৈতিক শিষ্টাচার বহির্ভূত হলে প্রতিবেশী রাষ্ট্রকে বয়কটের কথা বলতে পারে একটা দল। বয়কটের নামে তারা (বিএনপি) আমাদের বাজার ব্যবস্থাকে অস্থিতিশীল করার গভীর ষড়যন্ত্র করছে।
তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধু হত্যার পর একুশ বছর ভারতের সাথে বৈরী সম্পর্ক আমাদের ক্ষতি করেছে বেশি। সম্পর্ক ভালো থাকলে সব সমস্যার সমাধান সম্ভব। তিস্তা, ফেনী নদীসহ যেগুলো এখনও সমাধান হয়নি...কিন্তু সম্পর্ক ভালো থাকায় ইতিবাচক অগ্রগতি আছে। সম্পর্ক ভালো থাকলে সমাধান সম্ভব।
রুহুল কবির রিজভীর গায়ের চাদর ছুড়ে ফেলা প্রসঙ্গে মন্ত্রী বলেন, একজন নেতা ভারতীয় পণ্য বয়কটের নিদর্শন তুলে ধরেছে। এটা কতটা অবাস্তব? এটা কী করে সম্ভব? আমাদের নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের একটা বড় অংশ ভারত থেকে আসে। এর সুবিধাও আছে। এতে পরিবহন খরচ অনেক কম হয়।
কর্মসূচি ঘোষণা দিতে গিয়ে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, ২৫ মার্চ গণহত্যা দিবসে বঙ্গবন্ধু এভিনিউতে সমাবেশ করবো, মহানগর উত্তর, দক্ষিণ আয়োজন করবে। আমাদের একাত্তরের জেনোসাইডের আন্তর্জাতিক স্বীকৃতির জন্য দাবি আরও জোরদার করবো। সে জন্য প্রোগ্রামটি বাইরে করবো।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন, আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক বি এম মোজাম্মেল হক, উপ-দপ্তর সায়েম খান, কার্যনির্বাহী সদস্য আনোয়ার হোসেন, যুবলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক হারুনুর রশিদসহ অনেকে।
২৫ মার্চ রাজধানীতে সমাবেশ করবে আ.লীগ
আগামী ২৫ মার্চ গণহত্যা দিবসে রাজধানীতে সমাবেশ করার ঘোষণা দিয়েছে আওয়ামী লীগ।
মহানগর উত্তর ও দক্ষিণ আওয়ামী লীগের আয়োজনে সমাবেশটি রাজধানীর বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে অনুষ্ঠিত হবে।
বিষয়টি নিশ্চিত করে শুক্রবার (২২ মার্চ) দুপুরে এক সংবাদ সম্মেলনে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেন, সমাবেশে একাত্তরের জেনোসাইডের আন্তর্জাতিক স্বীকৃতির জন্য দাবি আরও জোরদার করব। সে জন্য প্রোগ্রামটি বাইরে করব।
এ সময় ভারতীয় পণ্য বর্জন নিয়ে তিনি বলেন, ভারতীয় পণ্য বর্জন করা পাগলামি। আমাদের নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের একটি বড় অংশ আসে ভারত থেকে। ভারতীয় পণ্য বয়কটের নামে বিএনপি আমাদের বাজার ব্যবস্থা অস্থিতিশীল করার চেষ্টা করছে।
আওয়ামী লীগের এই নেতা বলেন, বঙ্গবন্ধু হত্যার পর একুশ বছর ভারতের সঙ্গে বৈরী সম্পর্ক আমাদের ক্ষতি করেছে বেশি। সম্পর্ক ভালো থাকলে সব সমস্যার সমাধান সম্ভব। তিস্তা, ফেনী নদীসহ যেগুলো এখনও সমাধান হয়নি...কিন্তু সম্পর্ক ভালো থাকায় ইতিবাচক অগ্রগতি আছে। সম্পর্ক ভালো থাকলে সমাধান সম্ভব।
রুহুল কবির রিজভীর গায়ের চাদর ছুড়ে ফেলা প্রসঙ্গে কাদের বলেন, একজন নেতা ভারতীয় পণ্য বয়কটের নিদর্শন তুলে ধরেছে। এটা কতটা অবাস্তব? এটা কী করে সম্ভব? আমাদের নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের একটা বড় অংশ ভারত থেকে আসে। এর সুবিধাও আছে। এতে পরিবহন খরচ অনেক কম হয়।
সংবাদ সম্মেলনে আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক বি এম মোজাম্মেল হক, উপ-দপ্তর সায়েম খান, কার্যনির্বাহী সদস্য আনোয়ার হোসেন, যুবলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক হারুনুর রশিদসহ অনেকেই উপস্থিত ছিলেন।
বেশি কথা বললে হাটে হাঁড়ি ভেঙে দেবো, বিএনপিকে কাদের
বিএনপিকে হুঁশিয়ারি দিয়ে সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, বেশি কথা বললে হাটে হাঁড়ি ভেঙে দেবো।
সোমবার (২৫ মার্চ) বিকেলে গণহত্যা দিবস স্মরণে আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এই হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেন।
এসময় বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরকে দলের জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভীর মতো মাথা গরম না করার পরামর্শ দিয়েছেন ওবায়দুল কাদের।
তিনি বলেন, বেশি কথা বললে খুঁজে খুঁজে বের করব, বিএনপির কে কে ভারতীয় পণ্য ব্যবহার করে।
ঢাকা মহানগর উত্তর-দক্ষিণ আওয়ামী লীগ আয়োজিত এ আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা আবু আহমেদ মন্নাফী ও সঞ্চালনা করেন সাধারণ সম্পাদক মো. হুমায়ুন কবির।
সভায় আরও বক্তব্য রাখেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য অ্যাড. কামরুল ইসলাম, মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিন, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফ, আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম, ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ বজলুর রহমান, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মো. হুমায়ুন কবির, জাতীয় সংসদের হুইপ সানজিদা খানম, যুবলীগের চেয়ারম্যান শেখ ফজলে শামস পরশ, মহিলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সংসদ সদস্য মেহের আফরোজ চুমকি প্রমুখ।
‘ভারতের পেঁয়াজ দিয়ে পেঁয়াজু খেয়ে বয়কটের ডাক তামাশা’
ভারতের পেঁয়াজ দিয়ে পেঁয়াজু খেয়ে বয়কটের নামে বিএনপি মানুষের সঙ্গে তামাশা করছে বলে মন্তব্য করেছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ।
সোমবার (২৫ মার্চ) বিকেলে বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউস্থ আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে আয়োজিত এক সামাবেশে তিনি এ মন্তব্য করেন।
হাছান মাহমুদ বলেন, ভারতের পেঁয়াজ দিয়ে পেঁয়াজু খায়, ভারতের গরুর মাংস দিয়ে সেহরি খায়, ভারতের শাড়ি পরে স্ত্রীরা সাজে, কিন্তু বয়কটের ডাক দেয়। বিএনপি বাংলাদেশকে অস্থিতিশীল করার চেষ্টা করছে।
তিনি বলেন, বুদ্ধিজীবীদের হত্যাকারী জামায়াতের নেতাদের মন্ত্রী বানিয়ে তাদের গাড়িতে লাল-সবুজ পতাকা দিয়েছিলেন খালেদা জিয়া। শুধু তাই নয়, তারা ’৭৫ পরবর্তী গণহত্যার প্রমাণ মুছে দিয়েছিল। ৩০ লাখ শহীদের ব্যাপারে খালেদা জিয়া সন্দেহ প্রকাশ করেছিলেন।
আওয়ামী লীগের এই নেতা বলেন, বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর গণহত্যার সব আলামত নষ্ট করা হয়েছিল। যিনি মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে পাকিস্তানের প্রতিনিধিদলের প্রধান হয়ে জাতিসংঘে গিয়ে মুক্তিযুদ্ধের বিরুদ্ধে বক্তব্য রেখেছিল, সেই শাহ আজিজকে প্রধানমন্ত্রী বানিয়েছিলেন জিয়াউর রহমান।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ভবিষ্যতে যাতে বিশ্বের কোথায় এমন গণহত্যা না হয়, সেজন্য গণহত্যার আন্তর্জাতিক স্বীকৃতির প্রয়োজন। একই সঙ্গে আমরা গাজায় গণহত্যা বন্ধ চাই।
সমাবেশে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের, আওয়ামী লীগের সভাপতি মণ্ডলীর সদস্য কামরুল ইসলাম, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব-উল আলম হানিফ, আ ফ ম বাহাউদ্দীন নাছিম, যুবলীগ চেয়ারম্যান শেখ ফজলে শামস পরশসহ অনেকেই উপস্থিত ছিলেন।