সামনেও জনগণ আ.লীগের ওপর আস্থা রাখবে, প্রত্যাশা প্রধানমন্ত্রীর
কেউ যাতে মানুষের ভাগ্য নিয়ে ছিনিমিনি খেলতে না পারে, সেদিকে দৃষ্টি রাখার কথা বলে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, গত ১৩ বছর জনগণ আস্থা রাখায় দেশকে অনেক দূর এগিয়ে নেওয়া সম্ভব হয়েছে। এ জন্য সামনেও জনগণ আওয়ামী লীগ সরকারের ওপর আস্থা রাখবে বলে প্রত্যাশা ব্যক্ত করেন প্রধানমন্ত্রী।
শুক্রবার (৭ জানুয়ারি) জাতির উদ্দেশে দেওয়া ভাষণে তিনি এ প্রত্যাশা করেন। টানা তৃতীয় মেয়াদে আওয়ামী লীগ সরকারের তৃতীয় বর্ষপূর্তি ও চতুর্ষ বর্ষে পদার্পণ উপলক্ষে এ ভাষণ দেন প্রধানমন্ত্রী।
শেখ হাসিনা বলেন, দারিদ্র্য দূরীকরণ, স্বাস্থ্য ব্যবস্থার উন্নয়ন, মাতৃমৃত্যু-শিশুমৃত্যুর হার হ্রাস, গড় আয়ু বাড়ানো, নারীর ক্ষমতায়ন, শিক্ষার হার বাড়ানোসহ নানা আর্থ-সামাজিক সূচকে বাংলাদেশ আজ দক্ষিণ এশিয়ায় নেতৃত্ব দিচ্ছে। এটা সম্ভব হয়েছে আমাদের ওপর আস্থা রাখার ফলে। পরপর তিনবার রাষ্ট্র পরিচালনার সুযোগ দিয়ে আপনারা উন্নয়নের ধারাবাহিকতা বজায় রাখতে সহায়তা করেছেন। এ ধারাবাহিকতা অব্যাহত রেখে আমরা একটি কল্যাণকামী, উন্নত সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়ে তোলার লক্ষ্য নিয়ে কাজ করে যাচ্ছি, যাতে ২০৪১ সালের মধ্যে বাংলাদেশ উন্নত দেশগুলোর কাতারে সামিল হতে পারে। এ জন্য অতীতে যেমন আপনারা আমাদের সঙ্গে ছিলেন, ভবিষ্যতেও থাকবেন, এ আশাবাদ ব্যক্ত করছি।
তিনি বলেন, আমাদের বর্তমান এবং আগামি দিনের সব কার্যক্রমের লক্ষ্য হচ্ছে নতুন প্রজন্মের জন্য একটি সম্ভাবনাময় ভবিষ্যত বিনির্মাণ। অফুরন্ত জীবনীশক্তিতে বলীয়ান তরুণ প্রজন্মই পারে সব কূপমণ্ডূকতা এবং প্রতিবন্ধকতা দূর করে একটি প্রগতিশীল অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ গড়তে। যে বাংলাদেশের স্বপ্ন জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান দেখেছিলেন। তারুণ্যের শক্তিই পারবে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বাস্তবায়ন করতে। আমার দৃঢ়বিশ্বাস আমাদের প্রজন্মের পর প্রজন্ম এগিয়ে যাবে মাথাউঁচু করে ভবিষ্যতের পানে।
‘করোনাভাইরাসের নতুন ঢেউ থেকে মহান আল্লাহতায়ালা মানবজাতিকে রক্ষা করুন- এ প্রার্থনা করি’ যোগ করেন প্রধানমন্ত্রী।
এফএ/এসকে
মন্তব্য করুন