আটকে আছে খালেদা জিয়ার বিদেশযাত্রা
উন্নত চিকিৎসার জন্য বিদেশ যেতে চান খালেদা জিয়া। তবে নানা শর্তে আটকে আছে এ যাত্রা। এ নিয়ে সরাসরি মুখ খুলতেও চাইছেন না বিএনপির কোনো নেতা। এই করোনার মধ্যে তিনি বিদেশ যান- এমনটাও চাইছেন না অনেক কেন্দ্রীয় নেতা।
৭৫ বছর বয়সী খালেদা জিয়া ডায়াবেটিস এবং চোখ ও আর্থ্রাইটিস সমস্যায় ভুগছেন। এর বাইরেও তার শারিরীক সমস্যা রয়েছে। খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে ৩৭টি মামলা হয়েছে। এর মধ্যে ১৭টি মামলা বিচারের পর্যায়ে আছে। ২০১৮ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি থেকে জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট ও জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতির মামলায় সাজা ভোগ করছেন খালেদা জিয়া। দুই মামলায় তার ১৭ বছরের সাজা হয়েছে। গেলো ২৫ মার্চ খালেদা জিয়াকে সাজা স্থগিত করে মুক্তি দেওয়া হয়।
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর জানান, তার উন্নত চিকিৎসা দরকার। সরকার তাকে জামিন দিয়েছে বিদেশে যেতে পারবেন না- এমন শর্তেই। দেশের হাসপাতালগুলোরও বেহাল অবস্থা। এর মধ্যে নতুন করে যুক্ত হয়েছে করোনা মহামারি। তাহলে চিকিৎসা হবে কীভাবে?
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ বলেন, জামিনের মেয়াদ বৃদ্ধির জন্য সরকারের কাছে নিশ্চয় তার পরিবারের সদস্যরা আবেদন করবেন। হাতে এখনও সময় আছে।
তবে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু জানান, 'করোনার মধ্যে ম্যাডামকে লন্ডনে পাঠানোর প্রশ্নই ওঠে না। আগে পরিস্থিতির উন্নতি হোক, তারপর এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত হবে।'
আইন, বিচার ও সংসদবিষয়ক মন্ত্রী অ্যাডভোকেট আনিসুল হক বলেন, খালেদা জিয়াকে শর্ত সাপেক্ষে ছয় মাসের জামিনে মুক্তি দিয়েছে সরকার। এখন যদি তিনি বিদেশে যেতে চান তাহলে সরকারের অনুমতি লাগবে। এ ছাড়া আদালতে তার দুটি মামলার আপিল বিচারাধীন। তাতে জামিনের আবেদন করা হয়েছে। হয়তো আদালত খুললে তার শুনানি হতে পারে।
এসজে
মন্তব্য করুন