জনগণের পাশে না দাঁড়িয়ে বিএনপি বিষোদগার করছে: কাদের
করোনা সংকটে জনগণের পাশে না দাঁড়িয়ে বিএনপি সরকারের বিরুদ্ধে বিষোদগার করছে। বললেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।
সোমবার জাতীয় সংসদ ভবন এলাকায় সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রীর সরকারি বাসভবন থেকে দেয়া এক ভিডিও বার্তায় তিনি এসব কথা বলেন।
ওবায়দুল কাদের বলেন, দায়িত্বশীল রাজনৈতিক দলের ভূমিকা পালন করছে না বিএনপি। নেতিবাচক রাজনীতির কারণেই বিএনপির পিঠ দেয়ালে ঠেকে গেছে।
তিনি বলেন, সকলের সম্মিলিত প্রয়াসে চলমান দুর্দিন কেটে যাবে এবং সংকটের রাত যত গভীর হবে সম্ভাবনার সুবর্ণ সকাল ততই ঘনিয়ে আসবে।
এসজে
মন্তব্য করুন
৩ দিনের কর্মসূচি ঘোষণা বিএনপির
মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উপলক্ষে তিন দিনের কর্মসূচি ঘোষণা করেছে বিএনপি।
বৃহস্পতিবার (২১ মার্চ) দুপুরে রাজধানীর গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এই কর্মসূচি ঘোষণা করেন বিএনপির প্রচারবিষয়ক সম্পাদক শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানি।
এ সময় বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান মেজর (অব.) হাফিজ উদ্দিন আহমদ, ঢাকা মহানগর বিএনপি ভারপ্রাপ্ত আহ্বায়ক ড. ফরহাদ হালিম ডোনার, চেয়ারপারসনের বিশেষ সহকারী অ্যাডভোকেট শামসুর রহমান শিমুল বিশ্বাস, যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, সাংগঠনিক সম্পাদক সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্স, রুহুল কুদ্দুস তালুকদার দুদু, বিলকিস জাহান শিরিনসহ অন্যান্য নেতারা উপস্থিত ছিলেন।
কর্মসূচিগুলো হচ্ছে, ২৬ মার্চ ভোরে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়সহ সব কার্যালয়ে জাতীয় ও দলীয় পতাকা উত্তোলন, সকাল ৭টায় সাভার জাতীয় স্মৃতিসৌধের উদ্দেশে যাত্রা এবং সেখানে পুষ্পমাল্য অর্পণ, সাভার থেকে ঢাকায় ফিরে শেরেবাংলা নগরে দলের প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের কবরে পুষ্পমাল্য অর্পণ।
এ ছাড়া ২৫ মার্চ সকাল ১০টা থেকে ১২টা পর্যন্ত নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে মুক্তিযোদ্ধা সমাবেশ এবং ২৭ মার্চ বেলা ১১টায় রমনার ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে আলোচনা সভা।
সারাদেশে জেলা, উপজেলা, পৌরসভা ও ইউনিয়নে পর্যায়ের সব কমিটি এবং দলের অঙ্গসংগঠনগুলোকে স্বাধীনতা দিবসের কর্মসূচি পালনের আহ্বান জানানো হয়েছে।
দিবসটি উপলক্ষে পোস্টার প্রকাশ ও জাতীয় দৈনিকে বিশেষ ক্রোড়পত্র প্রকাশ করবে বিএনপি।
সবাইকে মিলেমিশে দলের জন্য কাজ করতে হবে : নেতাদের প্রধানমন্ত্রী
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দলের মধ্যে কোনো ধরনের মতবিরোধ না রাখার নির্দেশনা দিয়ে দলীয় নেতাদের বলেছেন, সবাইকে মিলেমিশে দলের জন্য কাজ করতে হবে।
তিনি বলেন, সামনে উপজেলা পরিষদ নির্বাচন। এ নির্বাচন ঘিরে যেন আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি না ঘটে। আমরা দলের কোনো প্রার্থী দিচ্ছি না। অবাধ-সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচন হবে। যার জনপ্রিয়তা বেশি সে জিতে আসবে।
বৃহস্পতিবার (২১ মার্চ) প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবন গণভবনে দলীয় নেতাদের সঙ্গে সাক্ষাৎকালে তিনি এ নির্দেশ দেন।
বৃহস্পতিবার আওয়ামী লীগ সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে দলটির কেন্দ্রীয়, জেলা-উপজেলা এবং সহযোগী সংগঠনের শতাধিক নেতা সাক্ষাৎ করেছেন। এর মধ্যে মন্ত্রিপরিষদ সদস্য, সাবেক ছাত্রলীগ নেতা ও স্থানীয় সরকারের জনপ্রতিনিধিরা ছিলেন।
প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবন গণভবনে সকাল ১০টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত আলাদা আলাদাভাবে সাক্ষাৎ করেন তারা। এ সময় নেতারা বিগত জাতীয় সংসদ নির্বাচন, আসন্ন উপজেলা পরিষদ নির্বাচন এবং সাংগঠনিক বিভিন্ন বিষয়সহ নিজেদের নানা সুবিধা-অসুবিধার কথা নেত্রীর কাছে তুলে ধরেন।
আওয়ামী লীগ সভাপতি দলের নেতাদের কথা মনোযোগ দিয়ে শোনেন এবং তাদের বিভিন্ন দিকনির্দেশনা দেন।
সাক্ষাত করেছেন রেলমন্ত্রী মো. জিল্লুল হাকিম, জনপ্রশাসনমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন, আওয়ামী লীগের আন্তর্জাতিকবিষয়ক সম্পাদক ড. শাম্মী আহমেদ, শিল্প ও বাণিজ্য সম্পাদক সিদ্দিকুর রহমান, সাবেক ছাত্রলীগ নেতা ইসহাক আলী খান পান্না, মাহফুজুল হায়দার চৌধুরী রোটন, সাজ্জাদ সাকিব বাদশা, শেখ সোহেল রানা টিপু, এসএম জাকির হোসাইন, যুব মহিলা লীগ সভাপতি ডেইজী সরোয়ার, সাধারণ সম্পাদক শারমীন সুলতানা লিলি প্রমুখ।
এছাড়া রংপুর জেলা আওয়ামী লীগের আহ্বায়ক ছায়াদত হোসেন বকুল, রংপুর মহানগর আওয়ামী লীগের আহ্বায়ক দেলোয়ার হোসেন, পীরগঞ্জ পৌর মেয়র তাজিমুল ইসলাম শামীম, পীরগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি নুরুল আমিন রাজা, উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান নূর মোহাম্মদ মন্ডল, জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি শহিদুল ইসলাম পিন্টু, মহানগর আওয়ামী লীগ নেতা গোলাম রাব্বানী বিপ্লব, কক্সবাজার উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান কায়সারুল হক জুয়েল, পাবনার বেড়া পৌর মেয়র এসএম আসিফ শামস রঞ্জন প্রমুখ।
এছাড়া এদিন প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন হকার্স লীগের সভাপতি-সাধারণ সম্পাদক এবং কুষ্টিয়া, নোয়াখালী, কক্সবাজার, নরসিংদী, চট্টগ্রাম উত্তর জেলা, হবিগঞ্জসহ আরও কয়েকটি জেলা ও উপজেলা আওয়ামী লীগের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতারা ।
ভারতীয় পণ্য বয়কট নিয়ে যা বললেন ওবায়দুল কাদের
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, আমাদের নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের একটি বড় অংশ আসে ভারত থেকে। ভারতীয় পণ্য বয়কটের নামে বিএনপি আমাদের বাজার ব্যবস্থা অস্থিতিশীল করার চেষ্টা করছে। বিএনপির নেতা শাল ফেলে দিয়ে ভারতীয় পণ্য বয়কটের নিদর্শন করা পাগলামি। বিএনপির এক নেতা গণতন্ত্র উদ্ধারে ভারতের সহযোগিতা চায়, আবার আরেক নেতা ভারতের পণ্য বয়কটের ডাক দেয়। আসলে বিএনপি রাজনৈতিক দল হিসেবে নিজেরা দিশেহারা হয়ে গেছে।
শুক্রবার (২২ মার্চ) দুপুরে ধানমন্ডিতে আওয়ামী লীগের সভাপতির রাজনৈতিক কার্যালয়ে এক বিফ্রিংয়ে তিনি এসব কথা বলেন।
ওবায়দুল কাদের বলেন, কতটা দেউলিয়া, উগ্র মানসিকতা সম্পন্ন, কতটা রাজনৈতিক, কূটনৈতিক শিষ্টাচার বহির্ভূত হলে প্রতিবেশী রাষ্ট্রকে বয়কটের কথা বলতে পারে একটা দল। বয়কটের নামে তারা (বিএনপি) আমাদের বাজার ব্যবস্থাকে অস্থিতিশীল করার গভীর ষড়যন্ত্র করছে।
তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধু হত্যার পর একুশ বছর ভারতের সাথে বৈরী সম্পর্ক আমাদের ক্ষতি করেছে বেশি। সম্পর্ক ভালো থাকলে সব সমস্যার সমাধান সম্ভব। তিস্তা, ফেনী নদীসহ যেগুলো এখনও সমাধান হয়নি...কিন্তু সম্পর্ক ভালো থাকায় ইতিবাচক অগ্রগতি আছে। সম্পর্ক ভালো থাকলে সমাধান সম্ভব।
রুহুল কবির রিজভীর গায়ের চাদর ছুড়ে ফেলা প্রসঙ্গে মন্ত্রী বলেন, একজন নেতা ভারতীয় পণ্য বয়কটের নিদর্শন তুলে ধরেছে। এটা কতটা অবাস্তব? এটা কী করে সম্ভব? আমাদের নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের একটা বড় অংশ ভারত থেকে আসে। এর সুবিধাও আছে। এতে পরিবহন খরচ অনেক কম হয়।
কর্মসূচি ঘোষণা দিতে গিয়ে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, ২৫ মার্চ গণহত্যা দিবসে বঙ্গবন্ধু এভিনিউতে সমাবেশ করবো, মহানগর উত্তর, দক্ষিণ আয়োজন করবে। আমাদের একাত্তরের জেনোসাইডের আন্তর্জাতিক স্বীকৃতির জন্য দাবি আরও জোরদার করবো। সে জন্য প্রোগ্রামটি বাইরে করবো।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন, আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক বি এম মোজাম্মেল হক, উপ-দপ্তর সায়েম খান, কার্যনির্বাহী সদস্য আনোয়ার হোসেন, যুবলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক হারুনুর রশিদসহ অনেকে।
২৫ মার্চ রাজধানীতে সমাবেশ করবে আ.লীগ
আগামী ২৫ মার্চ গণহত্যা দিবসে রাজধানীতে সমাবেশ করার ঘোষণা দিয়েছে আওয়ামী লীগ।
মহানগর উত্তর ও দক্ষিণ আওয়ামী লীগের আয়োজনে সমাবেশটি রাজধানীর বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে অনুষ্ঠিত হবে।
বিষয়টি নিশ্চিত করে শুক্রবার (২২ মার্চ) দুপুরে এক সংবাদ সম্মেলনে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেন, সমাবেশে একাত্তরের জেনোসাইডের আন্তর্জাতিক স্বীকৃতির জন্য দাবি আরও জোরদার করব। সে জন্য প্রোগ্রামটি বাইরে করব।
এ সময় ভারতীয় পণ্য বর্জন নিয়ে তিনি বলেন, ভারতীয় পণ্য বর্জন করা পাগলামি। আমাদের নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের একটি বড় অংশ আসে ভারত থেকে। ভারতীয় পণ্য বয়কটের নামে বিএনপি আমাদের বাজার ব্যবস্থা অস্থিতিশীল করার চেষ্টা করছে।
আওয়ামী লীগের এই নেতা বলেন, বঙ্গবন্ধু হত্যার পর একুশ বছর ভারতের সঙ্গে বৈরী সম্পর্ক আমাদের ক্ষতি করেছে বেশি। সম্পর্ক ভালো থাকলে সব সমস্যার সমাধান সম্ভব। তিস্তা, ফেনী নদীসহ যেগুলো এখনও সমাধান হয়নি...কিন্তু সম্পর্ক ভালো থাকায় ইতিবাচক অগ্রগতি আছে। সম্পর্ক ভালো থাকলে সমাধান সম্ভব।
রুহুল কবির রিজভীর গায়ের চাদর ছুড়ে ফেলা প্রসঙ্গে কাদের বলেন, একজন নেতা ভারতীয় পণ্য বয়কটের নিদর্শন তুলে ধরেছে। এটা কতটা অবাস্তব? এটা কী করে সম্ভব? আমাদের নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের একটা বড় অংশ ভারত থেকে আসে। এর সুবিধাও আছে। এতে পরিবহন খরচ অনেক কম হয়।
সংবাদ সম্মেলনে আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক বি এম মোজাম্মেল হক, উপ-দপ্তর সায়েম খান, কার্যনির্বাহী সদস্য আনোয়ার হোসেন, যুবলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক হারুনুর রশিদসহ অনেকেই উপস্থিত ছিলেন।
বেশি কথা বললে হাটে হাঁড়ি ভেঙে দেবো, বিএনপিকে কাদের
বিএনপিকে হুঁশিয়ারি দিয়ে সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, বেশি কথা বললে হাটে হাঁড়ি ভেঙে দেবো।
সোমবার (২৫ মার্চ) বিকেলে গণহত্যা দিবস স্মরণে আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এই হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেন।
এসময় বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরকে দলের জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভীর মতো মাথা গরম না করার পরামর্শ দিয়েছেন ওবায়দুল কাদের।
তিনি বলেন, বেশি কথা বললে খুঁজে খুঁজে বের করব, বিএনপির কে কে ভারতীয় পণ্য ব্যবহার করে।
ঢাকা মহানগর উত্তর-দক্ষিণ আওয়ামী লীগ আয়োজিত এ আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা আবু আহমেদ মন্নাফী ও সঞ্চালনা করেন সাধারণ সম্পাদক মো. হুমায়ুন কবির।
সভায় আরও বক্তব্য রাখেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য অ্যাড. কামরুল ইসলাম, মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিন, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফ, আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম, ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ বজলুর রহমান, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মো. হুমায়ুন কবির, জাতীয় সংসদের হুইপ সানজিদা খানম, যুবলীগের চেয়ারম্যান শেখ ফজলে শামস পরশ, মহিলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সংসদ সদস্য মেহের আফরোজ চুমকি প্রমুখ।
‘ভারতের পেঁয়াজ দিয়ে পেঁয়াজু খেয়ে বয়কটের ডাক তামাশা’
ভারতের পেঁয়াজ দিয়ে পেঁয়াজু খেয়ে বয়কটের নামে বিএনপি মানুষের সঙ্গে তামাশা করছে বলে মন্তব্য করেছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ।
সোমবার (২৫ মার্চ) বিকেলে বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউস্থ আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে আয়োজিত এক সামাবেশে তিনি এ মন্তব্য করেন।
হাছান মাহমুদ বলেন, ভারতের পেঁয়াজ দিয়ে পেঁয়াজু খায়, ভারতের গরুর মাংস দিয়ে সেহরি খায়, ভারতের শাড়ি পরে স্ত্রীরা সাজে, কিন্তু বয়কটের ডাক দেয়। বিএনপি বাংলাদেশকে অস্থিতিশীল করার চেষ্টা করছে।
তিনি বলেন, বুদ্ধিজীবীদের হত্যাকারী জামায়াতের নেতাদের মন্ত্রী বানিয়ে তাদের গাড়িতে লাল-সবুজ পতাকা দিয়েছিলেন খালেদা জিয়া। শুধু তাই নয়, তারা ’৭৫ পরবর্তী গণহত্যার প্রমাণ মুছে দিয়েছিল। ৩০ লাখ শহীদের ব্যাপারে খালেদা জিয়া সন্দেহ প্রকাশ করেছিলেন।
আওয়ামী লীগের এই নেতা বলেন, বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর গণহত্যার সব আলামত নষ্ট করা হয়েছিল। যিনি মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে পাকিস্তানের প্রতিনিধিদলের প্রধান হয়ে জাতিসংঘে গিয়ে মুক্তিযুদ্ধের বিরুদ্ধে বক্তব্য রেখেছিল, সেই শাহ আজিজকে প্রধানমন্ত্রী বানিয়েছিলেন জিয়াউর রহমান।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ভবিষ্যতে যাতে বিশ্বের কোথায় এমন গণহত্যা না হয়, সেজন্য গণহত্যার আন্তর্জাতিক স্বীকৃতির প্রয়োজন। একই সঙ্গে আমরা গাজায় গণহত্যা বন্ধ চাই।
সমাবেশে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের, আওয়ামী লীগের সভাপতি মণ্ডলীর সদস্য কামরুল ইসলাম, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব-উল আলম হানিফ, আ ফ ম বাহাউদ্দীন নাছিম, যুবলীগ চেয়ারম্যান শেখ ফজলে শামস পরশসহ অনেকেই উপস্থিত ছিলেন।
পণ্য বর্জনের ডাক দিয়ে ভারতীয় কূটনীতিকদের নিয়ে বিএনপি’র ইফতার
ভারতীয় পণ্য বর্জনের ডাক দিলেও ভারতীয় কূটনীতিকদের নিয়ে ইফতার পার্টি করেছে বিএনপি। পণ্য বয়কটের ডাক দিয়েও ভারত সংশ্লিষ্টতা বয়কট করতে পারেনি তারা। ইফতার পার্টিতে উপস্থিত ছিলেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। উপস্থিত ছিলেন না দলটির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী।
অনেকদিন ধরে দেশের একটি জনগোষ্ঠী ভারতীয় পণ্য বর্জনের ডাক দিয়েছে। আর তাতে সমর্থন বয়কটের ডাক দেয় বিএনপি। তাদের মতে, দেশকে স্যাটেলাইট রাষ্ট্রে পরিণত করেছে ভারত। সেই আন্দোলনের সাথে একাত্মতা ঘোষণা করে ২০ মার্চ ভারতীয় পণ্য বয়কটের ডাক দেন রুহুল কবির রিজভী।
এর আগে ‘বাংলাদেশে গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনার লড়াইয়ে’ পাশে থাকতে ভারতের প্রতি আহ্বান জানান, দলের নীতি নির্ধারক ‘স্থায়ী কমিটি’-র সদস্য আব্দুল মঈন খান। একাত্তরে মুক্তিযুদ্ধে যেভাবে ভারতকে পাশে পাওয়া গিয়েছিল, ‘গণতন্ত্রের লড়াই’-য়েও ভারতের সেই ভূমিকা চান মঈন খান।
এদিকে (২৪ মার্চ) রাজধানীর হোটেল ওয়েস্টিনে কূটনীতিকদের সম্মানে বিএনপি’র ইফতার অনুষ্ঠিত হয়। ইফতারে প্রধান অতিথি ছিলেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
বিএনপির মিডিয়া সেলের সদস্য শায়রুল কবির খান তখন জানান, ইফতারে জাতিসংঘ, এনডিআই, আইআরআই এবং ৩৮টি দেশের প্রতিনিধিরা অংশগ্রহণ করেন। তাদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য ছিলেন, যুক্তরাজ্যের হাইকমিশনার সারাহ কুক, যুক্তরাষ্ট্র দূতাবাসের চার্জ দ্য অ্যাফেয়ার্স হেলেন ল্যাফেইব, অস্ট্রেলিয়ার ভারপ্রাপ্ত হাইকমিশনার নার্দির সিম্পসন, জার্মান অ্যাম্বাসেডর আখিম ট্রোসটার, পাকিস্তানের হাইকমিশনার সৈয়দ আহমেদ মারুফ, ভারতের ডেপুটি হাইকমিশনার ড. বিনয় জর্জ প্রমুখ। এছাড়াও ভারতের হাইকমিশনের আরও কর্মকর্তা সেখানে উপস্থিত ছিলেন।
বিএনপি’র ভারত বয়কট প্রসঙ্গে আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও পররাষ্ট্র মন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেন, কদিন আগে ওদের নেতা ভারতে চিকিৎসা নিতে গিয়েছিলেন, ভারতে চিকিৎসা নিতে যাবেন, আবার আপনারা ভারতীয় পণ্য বর্জনের ডাক দিবেন-এগুলো হিপোক্রেসি (ভণ্ডামি) ছাড়া অন্য কোনো কিছু নয়। বিএনপির আসল উদ্দেশ্য হচ্ছে দেশে বাজার অস্থিতিশীল করে পণ্যের মূল্য বাড়ানো।
তিনি আরও বলেন, বিএনপি ভারতের ভারতের গরুর মাংস দিয়ে সেহরি খায়, পেঁয়াজ দিয়ে পেঁয়াজু খায়, ভারতের শাড়ি পরে স্ত্রীরা সাজে, কিন্তু বয়কটের ডাক দেয়। ভারতীয় পণ্য বয়কটের নামে মানুষের সঙ্গে তামাশা করছে তারা। বাংলাদেশকে অস্থিতিশীল করার জন্য চেষ্টা করছে।
এদিকে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, চিরাচরিত পাকিস্তানি কায়দায় ভারতের বিরোধিতা শুরু করেছে বিএনপি। তারা যখন কোনো রাজনৈতিক ইস্যু না পায়, তখনই এই একটা ইস্যু সামনে নিয়ে আসে। বঙ্গবন্ধুর আমলেও করেছে, এখন শেখ হাসিনার আমলেও তাই করছে।