মেজরের বাঁশির ফুঁ শুনেই সবাই ঝাঁপিয়ে পড়েছিলেন: ডা. জাফরুল্লাহ
গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী বলেছেন, একজন মেজরের বাঁশির ফুঁতেই সবাই মুক্তিযুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়েছিল। ওই সময় সবাই ওরকম একটা বাঁশির ফুঁ’র জন্য অপেক্ষা করছিলেন। বাঁশির ফুঁ শোনার পর সবাই ঝাঁপিয়ে পড়েছিলেন।
জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে রোববার (৮ মার্চ) জাতীয়তাবাদী মুক্তিযোদ্ধা দলের উদ্যোগে আয়োজিত মানববন্ধনে তিনি এ দাবি করেন। কারাবন্দি বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার নিঃশর্ত মুক্তি দাবি এবং গ্যাস-বিদ্যৎ-পানির দাম বাড়ানোর প্রতিবাদে এ মানববন্ধনের আয়োজন করা হয়।
শনিবার (৭ মার্চ) এক বক্তৃতায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছিলেন, ‘কোনো মেজরের বাঁশির ফুঁ-তে বাংলাদেশ স্বাধীন হয়নি।’
তার জবাবে ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী বলেন, ‘আপনি একটা ভুল কথা বলেছেন। সে সময় সেই বাঁশির ফুঁ-টাই গুরুত্বপূর্ণ ছিল। ৭ মার্চ যেমন সবাইকে আকর্ষণ করেছিল। ২৭ মার্চের ঘোষণাটাও সবাইকে আকর্ষণ করেছিল। ওই সময় সবাই ওরকম একটা বাঁশির ফুঁ’র জন্য অপেক্ষা করছিলেন। বাঁশির ফুঁ শোনার পর সবাই ঝাঁপিয়ে পড়েছিলেন। সুতরা ৭ মার্চ আর ২৭ মার্চের মধ্যে খুব বেশি ফারাক নেই।’
প্রধানমন্ত্রীর উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘সবাইকে সম্মান করতে শিখুন। জিয়াউর রহমানকে ছোট করলে শেখ মুজিব বড় হবে না। দিনের আলো দেখতে চেষ্টা করুন। ভারতকে চিনতে শিখুন। মোদির আসা বাতিল করুন। তা না হলে দেখবেন ১৭ মার্চ মানুষ প্রতিবাদে নামবে। আপনার পুলিশকে সংযত হয়ে থাকতে বলুন। তা না হলে দেশে মারামারি হবে— এটা কোনোভাবেই কাম্য নয়।’
তিনি বলেন, ‘ভারতের সব জায়গায় হত্যাযজ্ঞ চলছে। সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা চলছে। এর মূল হোতা হচ্ছে নরখাদক নরেন্দ্র মোদি। তাকে কোনোক্রমেই বাংলাদেশে আসতে দেওয়া উচিত হবে না। তাই নরখাদক মোদি বাংলাদেশে আসলে তার সঙ্গে করোনাভাইরাস আসতে পারে। এ বিষয়ে আমাদেরকে সতর্ক থাকা দরকার।’
মুক্তিযোদ্ধা দলের সভাপতি ইশতিয়াক আজিজ উলফাতের সভাপতিত্বে মানববন্ধনে আরও উপস্থিত ছিলেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান মেজর (অব.) হাফিজ উদ্দিন আহমেদ, যুগ্ম-মহাসচিব অ্যাডভোকেট সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, নির্বাহী কমিটির সদস্য নিপুণ রায় চৌধুরী প্রমুখ।
পি
মন্তব্য করুন