• ঢাকা শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১
logo

রাত পোহালেই সম্মেলন, আসছে কৃষকবান্ধব নেতৃত্ব

আরটিভি অনলাইন রিপোর্ট

  ০৫ নভেম্বর ২০১৯, ২২:৩৫
শেখ হাসিনা
নেতা-কর্মীদের মধ্যে এখন সাজ সাজ রব

প্রায় আট বছর পর হতে যাচ্ছে কৃষক লীগের জাতীয় সম্মেলন। রাত পোহালেই বুধবার বাজবে আওয়ামী লীগের এই সহযোগী সংগঠনটির সম্মেলনের ডামাডোল। এ নিয়ে সংগঠনটির নেতাকর্মীদের মধ্যে এখন সাজ সাজ রব। দলীয় শীর্ষ নেতারা বলছেন, কৃষকবান্ধব নেতৃত্বই আসবে সংগঠনটির নেতৃ্ত্বে।

জানা গেছে, সম্মেলনে প্রধান অতিথি হিসেবে বেলা ১১টার দিকে যোগ দেবেন সংগঠনটির সাংগঠনিক নেত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা। ১১টা ৫ মিনিটে বেলুন ও পায়রা উড়িয়ে জাতীয় সঙ্গীতের মাধ্যমে সম্মেলনের উদ্বোধন করবেন তিনি। এরপর ‘আমার বাড়ি আমার খামার’ শীর্ষক ভিডি প্রদর্শনী দেখানো হবে।

দ্বিতীয় সেশন শুরু হবে ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশনে দুপুরের খাবারের বিরতির পর। এই সেশনে থাকবেন শুধু কাউন্সিলরা। স্বাধীনতার স্মৃতিস্তম্ভ সংলগ্ন লেকের পূর্বদিকের উত্তর পাশে দক্ষিণমুখী করে লম্বায় ৯০ ফুট আর প্রস্থে ৩০ ফুট মূল মঞ্চ করা হয়েছে। এর সামনে ৯ ফুট প্রস্থ আর ৪২ ফুট দৈর্ঘ্যের আরেকটি মঞ্চ করা হচ্ছে।

মঞ্চের ডানপাশে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান এবং বামপাশে সাংবাদিকের জন্য আলাদা দুটি মঞ্চ হচ্ছে। মঞ্চের সামনে থাকবে অতিথিদের বসার জায়গা। এরপরই থাকবে আগত কাউন্সিলর ও ডেলিগেটদের স্থান। সেখানে ২০ হাজার পর্যন্ত চেয়ার বসানোর জায়গা থাকবে বলে জানান কৃষক লীগের সভাপতি মোতাহার হোসেন মোল্লা।

কৃষক লীগের সাধারণ সম্পাদক সামসুল হক রেজা জানান, কৃষক লীগের গঠনতন্ত্র অনুযায়ী জেলার জনসংখ্যার অনুপাত প্রতি ২০ হাজারে একজন করে আমাদের কাউন্সিলর আসবে। সেই হিসেবে ১০ হাজারের মতো কাউন্সিলর হওয়ার কথা রয়েছে। তবে ডেলিগেটের কোনও হিসেব নেই। সবাই আসতে পারবে।

কৃষক লীগ সূত্রে জানা গেছে, কৃষক লীগের বর্তমান কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য সংখ্যা ১১১। এটা সংশোধন করে খসড়ায় ১৫১ জন করার প্রস্তাব করা হয়েছে। সহসভাপতি ১৬ জন থেকে বাড়িয়ে ২১ জন, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক তিনজন থেকে পাঁচজন ও সাংগঠনিক সম্পাদক ৭ থেকে বাড়িয়ে ৯ জন করার প্রস্তাব রয়েছে।

এছাড়া নতুন যুক্ত হচ্ছে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক সম্পাদক, ক্রীড়া ও যুব বিষয়ক সম্পাদক, কৃষিশিক্ষা বিষয়ক সম্পাদক, কৃষি উপকরণ বিষয়ক সম্পাদক ও কৃষিপণ্য পরিবহন বিষয়ক সম্পাদক পদ।

কৃষক লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক বিশ্বনাথ সরকার বিটু বলেন, বাংলাদেশ কৃষক লীগের নেতা-কর্মীরা বিশ্বাস করেন প্রধানমন্ত্রী সংগঠনের যাদের দায়িত্ব দেবেন তারা সৎ, ক্লিন ইমেজের হবে। তাদের নেতৃত্বেই সারা বাংলাদেশের কৃষকদের সুসংগঠিত করবে। জাতির জনকের হাতে গড়া এই সংগঠন আমরা এমন কিছু করে দেখাব যাতে প্রধানমন্ত্রী মাথা উঁচু করে বলতে পারে বাংলাদেশ কৃষক লীগ এদেশের কৃষকের জন্য কাজ করে। সরকারের উন্নয়নের সহযোগী হিসেবে কাজ করে।

আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও কৃষিবিদ আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম বলেন, কৃষক লীগের কৃষিবান্ধব, সততা, পরিচ্ছন্ন ভাবমূর্তির নেতৃত্ব বাছাই করবেন নেত্রী। এই বিষয়ে আমাদের দল জিরো টলোরেন্স নীতিতে আছেন। আপনারা জানেন যে দলের মধ্যেই আমরা শুদ্ধি অভিযান চালাচ্ছি। সুতরাং আগামীর নেতৃত্ব কেমন আসতে যাচ্ছে তা অনুমেয়।

এসজে/এসএ

মন্তব্য করুন

daraz
  • রাজনীতি এর পাঠক প্রিয়
আরও পড়ুন
‘মানুষ এখন ডাল-ভাত নয়, মাছ-মাংস নিয়ে চিন্তা করে’
তারাকান্দায় কৃষক লীগ নেতার মরদেহ উদ্ধার  
নিজ এলাকাতেই ভরাডুবি কেন্দ্রীয় কৃষকলীগ নেতার!
X
Fresh