• ঢাকা বুধবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১
logo

বর্ষপঞ্জিতে এরশাদের জীবন

আরটিভি অনলাইন রিপোর্ট

  ১৪ জুলাই ২০১৯, ১২:৫৩

জাতীয় সংসদের বিরোধীদলীয় নেতা, জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান ও সাবেক রাষ্ট্রপতি হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ আর নেই (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। রাজধানীর সিএমএইচে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আজ রোববার সকাল পৌনে আটটার দিকে তিনি মারা যান। তার সংক্ষিপ্ত জীবনী তুলে ধরা হলো।

১৯৩০ সালের ১ ফেব্রুয়ারি অবিভক্ত ভারতের কোচবিহার জেলায় জন্মগ্রহণ করেন এরশাদ।
১৯৪৬ সালে দিনহাটা হাইস্কুল থেকে ম্যাট্রিকুলেশন করেন।
১৯৫০ সালে উচ্চ শিক্ষার জন্য ঢাকায় আসেন তিনি। ভর্তি হন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে।
১৯৪৮ সালে কারমাইকেল কলেজের শ্রেষ্ঠ ক্রীড়াবিদ হবার গৌরব অর্জন করেন এরশাদ।
১৯৫৩ থেকে ৫৬ সাল পর্যন্ত ঢাকা অঞ্চলের ফুটবল দলের অধিনায়কও ছিলেন তিনি।
১৯৫২ সালের ১৭ সেপ্টেম্বর তৎকালীন পাকিস্তান সেনাবাহিনীতে কমিশন লাভ করেন।
১৯৬৫ সালে পাকিস্তান-ভারত যুদ্ধেও অংশ নেন।
১৯৬৯ সালে তিনি পাকিস্তান সেনাবাহিনীর লেফটেন্যান্ট কর্নেল পদে পদন্নতি পান।
১৯৬৬ সালে পাকিস্তানের কোয়েটে স্টাফ কলেজ থেকে স্টাফ কোর্স সমাপ্ত করেন।
১৯৬৭ সালে শিয়ালকোটে ৫৪ ব্রিগেডের ডেপুটি অ্যাসিসটেন্ট অ্যাডজুট্যান্ট ও কোয়াটার মাস্টার জেনারেল ব্রিগেড মেজর ছিলেন।
১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধে অংশ নিতে পারেননি এরশাদ। তিনি ওই সময় পাকিস্তানে বন্দি ছিলেন।
১৯৭৩ সালে ১২ ডিসেম্বর কর্নেল হিসেবে পদোন্নতি পান তিনি।
১৯৭৫ সালের ১ জানুয়ারি বঙ্গবন্ধু সরকার উচ্চতর প্রশিক্ষণের জন্য ভারতের দিল্লির ন্যাশনাল ডিফেন্স কলেজে পাঠায়। সেখানেই প্রশিক্ষণকালে তিনি ব্রিগেডিয়ার পদে উন্নীত হন। ওই বছর আগস্ট মাসে আবার পদোন্নতি পেয়ে মেজর জেনারেল হন।
১৯৭৮ সালের ১ ডিসেম্বর সেনাবাহিনীর প্রধান হিসেবে নিয়োগ পান।
১৯৭৯ সালের ৭ নভেম্বর তাকে লেফটেন্যান্ট জেনারেল পদে উন্নীত করা হয়।
১৯৮০ সালের ৩০ মে তৎকালীন রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের মৃত্যুর পর সেনা বিদ্রোহ দমন করেন এরশাদ।
১৯৮২ সালে ২৪ মার্চ দেশে সামরিক আইন জারি করে শাসনকাজ শুরু করেন এরশাদ।
১৯৮৬ সালের ১ জানুয়ারি গঠন করেন জাতীয় পার্টি। তিনি একটানা ৯ বছর শাসন করেন।
১৯৯০ সালের ডিসেম্বরে গণ আন্দোলনের মুখে পদত্যাগ করতে বাধ্য হন তিনি।
১৯৯১ সালে তাকে গ্রেফতার করা হয়। ছয় বছর কারান্তরীণ থাকেন।
১৯৯৭ সালের জানুয়ারি মাসে জামিনে মুক্ত হন। জেলে থাকা অবস্থায় দুটি সাধারণ নির্বাচনে অংশ নিয়ে দুবারই পাঁচটি করে আসনে জয় পান। তবে আদালতের রায়ে দণ্ডিত থাকায় বাতিল হয় তার সংসদ সদস্য পদ।
২০১৪ সালের সাধারণ নির্বাচনে প্রধান বিরোধী দল হিসেবে সামনে আসে জাতীয় পার্টি। তবে এরশাদ হন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিশেষ দূত। তার স্ত্রী রওশন এরশাদ বিরোধী দলীয় নেতা হিসেবে সংসদে দায়িত্ব পালন করেন।
২০১৮ সালের একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনেও সংসদে বিরোধী দলে জায়গা পায় জাতীয় পার্টি। এরশাদ হন বিরোধী দলের নেতা।

এসজে

মন্তব্য করুন

daraz
  • রাজনীতি এর পাঠক প্রিয়
আরও পড়ুন
এরশাদের ছেলে বললেন, খুব কষ্ট হচ্ছে, মানবেতর জীবনযাপন করছি
X
Fresh