‘বঙ্গবন্ধুর নাম ব্যবহার করে কেউ যেন সুবিধা নিতে না পারে’
পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও বঙ্গবন্ধু ফাউন্ডেশনের সভাপতি ড. এ কে আব্দুল মোমেন বলেছেন, বঙ্গবন্ধু ফাউন্ডেশন ও বঙ্গবন্ধুর নাম ব্যবহার করে কেউ যেন ব্যবসা বা ব্যক্তিগত সুবিধা নিতে না পারে, সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে। কেউ যদি এ ধরনের কাজে জড়িত থাকে তার সঙ্গে আমার কোনও সম্পর্ক নেই।
শুক্রবার (২৬ এপ্রিল) ‘বর্তমান সরকার মুজিবনগর সরকারের ধারাবাহিক সরকার’ শীর্ষক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন। শাহবাগস্থ জাতীয় গণগ্রন্থাগারের ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে মুজিবনগর দিবস উপলক্ষে এ সভার আয়োজন করে বঙ্গবন্ধু ফাউন্ডেশন।
অনুষ্ঠানে ড. মোমেন বলেন, ‘বঙ্গবন্ধু তার শত্রুকেও সম্মান দিতেন। তাই সবাই ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে একে অন্যকে সম্মান করবেন। স্বাধীনতার চেতনা হলো সেই চেতনা, যেখানে আমরা সহমর্মিতা সৃষ্টি করব।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমরা যে পথে হাঁটছি, সে পথে হাঁটলে বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন অবশ্যই প্রতিষ্ঠিত হবে। বঙ্গবন্ধুর জীবনের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ দুটি বৈশিষ্ট্যের একটি হলো ন্যায্য অধিকারের জন্য সংগ্রাম এবং অপরটি হলো স্বাধীন সার্বভৌম দেশের জন্য সংগ্রাম ও বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠা। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভালো কাজগুলোর মধ্যে অন্যতম হচ্ছে বঙ্গবন্ধুর ‘অসমাপ্ত আত্মজীবনী’ ও ‘জেলখানার রোজনামচা’ গ্রন্থ দুটি প্রকাশ করা।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ২০১৯ সালের ১৭ মার্চ থেকে ২০২০ সালের ১৭ মার্চ পর্যন্ত বিভিন্নভাবে বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী উদযাপন করবে। ২০২১ সালে আমরা স্বাধীনতার ৫০ বছর উদযাপন করব। বিদেশে বাংলাদেশের সব মিশনকে এ বিষয়ে ইতোমধ্যে জানানো হয়েছে।
ড. মোমেন বলেন, শেখ হাসিনার নেতৃত্বে সবার সহায়তায় আমরা অবশ্যই আমাদের স্বপ্ন আমরা অর্জন করতে পারব। রাষ্ট্রনায়ক শেখ হাসিনা বঙ্গবন্ধুর পথ ধরে আমাদের স্বপ্ন, বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন, দেশবাসীর স্বপ্ন ২০৪১ সালের মধ্যে একটি উন্নত সমৃদ্ধ অর্থনীতি গঠনের পরিকল্পনা নিয়েছেন।
অনুষ্ঠান প্রধান অতিথি ছিলেন খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার এবং বিশেষ অতিথি ছিলেন জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন।
পি
মন্তব্য করুন