• ঢাকা শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০
logo

কেন প্যারোলে মুক্তি চাইছেন না খালেদা?

সিয়াম সারোয়ার জামিল

  ২৪ এপ্রিল ২০১৯, ১৫:২৪
ফাইল ছবি

বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া দুর্নীতির দুটি মামলায় সাজাপ্রাপ্ত হয়ে ১৪ মাস কারাগারে আছেন। বিএনপির আইনজীবীরা মনে করেন, নিম্ন আদালতে শাস্তি হলেও তিনি জামিন পাবেন। তার মুক্তির দাবিতে বিএনপি সভা, সমাবেশ, গণঅনশন, মানববন্ধনের মতো নানা কর্মসূচি পালন করছেন দলটির নেতা-কর্মীরা। তবে সম্প্রতি নতুন করে প্রশ্ন উঠেছে প্যারোলে মুক্তি নিবেন নাকি জামিনে মুক্তি নিবেন খালেদা। এরই মধ্যে দলটির শীর্ষ নেতারা জানিয়েছেন, খালেদা প্যারোলে মুক্তি চান না।

জানা গেছে, আগামী ৩০ এপ্রিলের মধ্যেই শপথ নিতে হবে বিএনপি এমপিদের। নির্ধারিত সময়ে শপথ না নিলে সদস্য পদ বাতিল হয়ে যাবে দলটির ছয় সাংসদের। দলীয় নেতা-কর্মীদের মত, এ অবস্থায় বিএনপিকে সংসদে পাঠাতে সরকার সমঝোতার চেষ্টা করছে। খালেদা জিয়াকে প্যারোলে মুক্তি নিয়ে চিকিৎসার জন্য লন্ডনে পাঠানো হবে। অবশ্য যদি শপথ নেয় বিএনপির ছয়জন সাংসদ।

সরকার থেকেও এ নিয়ে মিলেছে সবুজ সংকেত। সম্প্রতি স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেছেন, খালেদা জিয়া প্যারোলে মুক্তির আবেদন করলে সরকার বিবেচনা করে দেখবে। আইনমন্ত্রী আনিসুল হক সচিবালয়ে আইন, বিচার ও সংসদবিষয়ক মন্ত্রণালয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে বলেছেন, প্যারোলে মুক্তি চাইতে হয়, না চাইলে সরকার কাউকে জোর করে প্যারোল দিতে পারে না। আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ হানিফ বলেছেন, আইনি লড়াই ছাড়া খালেদা জিয়াকে মুক্তি পেতে হলে রাষ্ট্রপতির কাছে ক্ষমা চেয়ে আবেদন করতে হবে।

তবে সরকারের মন্ত্রীদের এসব বক্তব্য খারিজ করে দিয়ে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, খালেদা জিয়ার সঙ্গে জেলখানায় তাদের কথা হয়েছে। প্যারোলের বিষয়ে তিনি কিছু বলেননি। তবে এর আগে মহাসচিব বলেছিলেন, প্যারোলে মুক্তি চাওয়া দলের বিষয় নয়, পরিবার থেকে কেউ চাইলে সেটি ভিন্ন কথা।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, খালেদা জিয়ার প্যারোলে মুক্তি চাওয়া নিয়ে বিএনপির মধ্যে দুটি মত আছে। খালেদাকে প্যারোলে মুক্তি নেয়াটাই লাভজনক। তার সুচিকিৎসা হওয়া উচিত। এ কারণে আর কোনও পথ খোলা নেই। অপরপক্ষের দাবি, ক্ষমতাসীনরা প্যারোলে মু্ক্তির বিষয়টির মধ্যে দিয়ে ফাঁদ বানিয়েছে। চেয়ারপারসনে প্যারোলে মুক্তির আবেদন করার পর সেটি গৃহীত হলে সরকারের উদারতা প্রকাশ পাবে। গৃহীত না হলে বিএনপির নেতা-কর্মীদের মনোবল ভেঙে যাবে বলে মনে করছে অপরপক্ষ।

এদিকে, সোমবার গভীর রাত পর্যন্ত অনুষ্ঠিত বিএনপির বৈঠকে সম্প্রতি খালেদা জিয়ার সঙ্গে সাক্ষাৎ করে আসা তিন নেতা জানান, খালেদা জিয়া প্যারোলের প্রস্তাব সরাসরি ‘না’ করে দিয়েছেন। ফলে সংসদে যোগ দেওয়ার আর কোনও সুযোগ নেই। খালেদা জিয়ার মুক্তি প্রশ্নে দেশজুড়ে নানা আলোচনা ও গুঞ্জনের মধ্যে সোমবারই দলীয় ফোরামে এ নিয়ে প্রথম আলোচনা হয়।

জানতে চাইলে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেন, বিএনপি চেয়ারপারসন প্যারোল নেবেন না, এটি আগেরই সিদ্ধান্ত। সংসদ সদস্যদের শপথ নেওয়ার সিদ্ধান্ত কখনোই ছিল না। তিনি জামিনেই মুক্তি পাবেন।

তিনি বলেন, প্যারোল মিডিয়ার আবিষ্কার। প্যারোলের বিষয়টি ষড়যন্ত্রমূলক ভাবেই কেউ বাইরে প্রচারণা চালিয়েছে। বিএনপি নির্বাচন যেখানে প্রত্যাখ্যান করেছে সেখানে শপথ নেয়ার প্রশ্নই ওঠে না। শুরু থেকে এও বলেছি যে খালেদা জিয়া প্যারোলে সম্মত নন। পাশাপাশি খালেদার মুক্তির বিষয়ে আমরা জামিন চাই, এ কথাও বারবারই বলেছি।

এসজে/পি

মন্তব্য করুন

daraz
  • রাজনীতি এর পাঠক প্রিয়
আরও পড়ুন
বাসায় পর্যবেক্ষণে থাকবেন খালেদা জিয়া 
খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থার অবনতি, নেওয়া হচ্ছে হাসপাতালে
খালেদা জিয়ার সাজা স্থগিতের মেয়াদ আরও ৬ মাস বাড়ল
বাড়ছে সাজা স্থগিতের মেয়াদ, বিদেশ যেতে পারবেন না খালেদা জিয়া
X
Fresh