• ঢাকা বুধবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১
logo

নির্ধারিত সময়ে বিজিএমইএ ভবন না ভাঙলে অ্যাকশন: গণপূর্তমন্ত্রী

আরটিভি অনলাইন রিপোর্ট

  ০৬ এপ্রিল ২০১৯, ১৮:৩৬
শনিবার ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি মিলনায়তনে বক্তব্য দিচ্ছেন গৃহায়ণ ও গণপূর্তমন্ত্রী শ.ম. রেজাউল করিম; ছবি: সংগৃহীত

বিজিএমইএ ভবন ভাঙার জন্য নির্ধারিত একটা টাইম ফ্রেম করে দেয়া হবে। এর মধ্যে স্থাপনাটি না ভাঙলে আমরা অ্যাকশন নেব। এ জাতীয় ভবন ভেঙে ফেলার কারিগরি প্রস্তুতি আমাদের আছে। বললেন গৃহায়ণ ও গণপূর্তমন্ত্রী শ.ম. রেজাউল করিম।

শনিবার ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি মিলনায়তনে গৃহায়ণ ও গণপূর্তমন্ত্রী শ.ম. রেজাউল করিম এ কথা বলেন। ইউটিলিটি রিপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের উদ্যোগে ‘ইমারত নির্মাণে সরকারের দায়িত্ব ও নাগরিকদের করণীয়’শীর্ষক অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।

বিজিএমইএ ভবন কবে ভাঙা হবে এমন এক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, কোনও কিছুই অসম্ভব না। একটি বড় স্থাপনা, একটি বড় বিজনেস কমিউনিটি সেখানে ছিল, দেশের সর্বোচ্চ আদালত তাদের টাইম টু টাইম সময় দিয়েছেন। আদালত যদি তাদের সময় বৃদ্ধি করেন, আদালতের একটি কন্টিনিয়াস ম্যান্ডাম আছে। আদালত যদি তাদের সময় বৃদ্ধি করেন, সেটা বিষয়ে আমাদের কোনও বক্তব্য নেই।

তিনি বলেন, আদালত যদি তাদের সময় বৃদ্ধি না করেন আমরা তাদেরকে নির্ধারিত একটা টাইম ফ্রেম করে দেব। এর মধ্যে স্থাপনাটি ভেঙে ফেলতে হবে। আর না ভাঙলে আমরা অ্যাকশনে যাব। এ জাতীয় ভবন ভেঙে ফেলার কারিগরি প্রস্তুতি আমাদের আছে।

আরেক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, অনেক মন্ত্রী, অনেক দায়িত্বশীল ব্যক্তি নিজের সমালোচনা করতে একটু কুণ্ঠাবোধ করেন। আমি করি না। কারণ আমি ফেরেশতা নেই, আমার প্রতিষ্ঠান শতভাগ সলিড নয়।

তিনি বলেন, এফআর টাওয়ারের তদন্ত প্রতিবেদন আশার পর তা আলোর মুখ দেখবে। পত্রিকায় প্রকাশ করা হবে। প্রতিবেদনে দায়ী হিসেবে যাদের নাম আসবে, তিনি রাজউকের কর্মকর্তা হন, বিল্ডিংয়ের মালিক হন কিংবা জমির মালিক হন না কেন আইন অনুযায়ী সকলের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। কেউ আইনের বাইরে থাকবে না। তিনি রাজউকের চেয়ারম্যার হন কিংবা মন্ত্রণালয়ের সচিব হলেও তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এটা আমরা প্রমাণ করব।

মন্ত্রী বলেন, অনুমোদনহীন ভবন বৈধতা দেয়ার কোনও সুযোগ নেই। যে নামে হোক, যে ভাবেই হোক না কেন সেটাকে ভেঙে ফেলার জন্য যা করার দরকার তাই করা হবে। যার দৃষ্টান্ত হলো র‌্যাংস ভবন। সাম্প্রতিককালে আমরা ১৭টি ভবন ভেঙে ফেলেছি। ভবন অনুমোদন দেওয়ার ক্ষেত্রে অবশ্যই সিভিল অ্যাভিয়েশনের নিয়ম মানা হবে। এই নিয়মের বাইরে কেউ ভবন নির্মাণ করে থাকলে তা ভেঙে দেওয়া হবে।

রাজধানীর পুরান ঢাকার ঝুঁকিপূর্ণ ভবনগুলো ভেঙে রি-ডেভেলপমেন্ট করা হ‌বে জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, ঢাকা শহরের বয়স প্রায় এক হাজার বছর। এ শহরে কিছু ভবন রয়েছে, যেগুলো অনেক আগে হয়েছে। এগুলো রাতারাতি ভেঙে নতুন করে করা সম্ভব নয়। সেজন্য আমরা পরিকল্পনা নিয়েছি। সেটা হচ্ছে পুরান ঢাকাকে রি-ডেভেলপমেন্ট করা।

রেজাউল করিম বলেন, আমি পুরান ঢাকাবাসীকে প্রস্তাব দেব, তাদের পুরান ভবন ভেঙে আমরা মানসম্মত, পরিবেশসম্মত, বিল্ডিং কোডসম্মত ইমারত নির্মাণ করে দেব। তিনজন মালিক অনুপাত অনুযায়ী যে কয়টা ফ্ল্যাট পেতে পারেন, আমরা তা দিয়ে দেব। যাতে পুরনো ঢাকায় ঝুঁকিপূর্ণ ভবন না থাকে।

এমসি/পি

মন্তব্য করুন

daraz
  • রাজনীতি এর পাঠক প্রিয়
আরও পড়ুন
ফেদেরারের বিশ্বরেকর্ড ভাঙলেন জোকোভিচ
‘বুয়েটকে জঙ্গি কারখানায় পরিণত করার প্রমাণ পেলেই অ্যাকশন’
জুটি ভাঙলেন সাকিব
টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ খেলতে অবসর ভাঙলেন ইমাদ
X
Fresh