• ঢাকা শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১
logo

জিএস পদে হেভিওয়েট আসিফ-রাব্বানী-অনিক

সিয়াম সারোয়ার জামিল, আরটিভি অনলাইন

  ০৭ মার্চ ২০১৯, ১০:১৫

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নির্বাচনের শেষ মুহূর্তে এখন চলছে হিসেব নিকেশ। নির্বাচনে জিএস পদে ১৪ জন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করলেও মূল লড়াই হবে কেবল ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক গোলাম রাব্বানী ও স্বতন্ত্র প্রার্থী গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের শিক্ষার্থী এ আর এম আসিফুর রহমানের মধ্যে। তাদের চেয়ে পিছিয়ে থাকলেও ছাত্রদলের আনিসুর রহমান অনিকও দৃষ্টি কেড়েছেন। বাকি ১১ প্রার্থীই ক্যাম্পাসে অপেক্ষাকৃত অপরিচিত, শিক্ষার্থীদের কাজে সংযোগ না থাকায় ও শিক্ষার্থীদের সমর্থন না থাকায় আলোচনার বাইরে আছেন।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, মূল রাজনৈতিক দল ক্ষমতায় থাকায় আবাসিক হলগুলোতে একক অবস্থানে আছে ছাত্রলীগ। সমসাময়িক ইতিবাচক কাজে জনপ্রিয়তা ও বিপুল কর্মী-সমর্থকের কারণে এগিয়ে আছে সংগঠনটি। পাশাপাশি ছাত্রনেতা হিসেবে গোলাম রাব্বানীর অনলাইন-অফলাইনে জনপ্রিয়তাও বেশ।

গণসংযোগে কেমন সাড়া পাচ্ছেন জানতে চাইলে ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক গোলাম রাব্বানী আরটিভি অনলাইনকে বলেন, শিক্ষার্থীদের অগাধ বিশ্বাস নিয়েই নির্বাচনে দাঁড়িয়েছে। গেলো ১০ বছর ধরে সুষ্ঠু ও সুন্দর ক্যাম্পাস এখানকার ছাত্রলীগ কর্মীদের একাগ্রতার ফসল। যতবারই ডাকসুতে ছাত্রলীগের প্যানেল নির্বাচিত হয়েছে, ততবারই ডাকসু প্রাণ ফিরে পেয়েছে। স্বপ্নের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় গড়তে শিক্ষার্থীরা ছাত্রলীগের প্যানেলকেই ভোট দেবে।

অন্যদিকে গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের ছাত্র ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিক সমিতির (ঢাবিসাস) সভাপতি এ আর এম আসিফুর রহমানের রয়েছে নিজস্ব ভোটব্যাংক। একটি জাতীয় দৈনিকে দীর্ঘদিন বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধির দায়িত্ব পালন করেছেন তিনি। সেই পত্রিকার চাকরি ছেড়ে ভোটে প্রার্থী হয়েছেন আসিফ। সাংবাদিকতায় থাকার কারণে ক্যাম্পাসের সবার কাছে অন্যরকম পরিচিতি রয়েছে তার। সাধারণ শিক্ষার্থীদের মাঝেও তার জনপ্রিয়তা বেশ।

আসিফুর রহমান জানান, সুষ্ঠু ভোট হবে কি না এ নিয়ে শিক্ষার্থীদের মধ্যে সংশয় আছে। তবে শিক্ষার্থীদের মধ্যে ব্যপক সাড়া পাচ্ছি। আবাসিক শিক্ষার্থীরা দখলদারিত্বের কবল থেকে বের হয়ে আসতে উৎসাহী। আমরা ভোটগ্রহণের সময় বৃদ্ধির দাবি জানিয়েছি। তবে প্রশাসন এখনও সাড়া দিচ্ছে না। তিনি বলেন, আমি একটাই প্রতিশ্রুতি দেবো শিক্ষার্থীদের পক্ষে সবসময় কথা বলেছি এবং ভবিষ্যতেও বলে যাবো।

ছাত্রদলের জিএস প্রার্থী আনিসুর রহমান খন্দকার অনিক। দলের শীর্ষ নেতারা বয়স্ক হওয়ায় মনোনয়ন পেয়েছেন তিনি। তিনি সার্জেন্ট জহুরুল হক ছাত্রদলের যুগ্ন আহ্বায়ক। তবে দীর্ঘ দশবছর ছাত্রদল ক্যাম্পাসের বাইরে থাকায় অনেকটাই অপরিচিত মুখ তিনি। মিষ্টভাষী এই ছাত্রদল নেতা দলীয় কারণে হেভিওয়েট তকমা পাচ্ছেন। আলোচনায় আছেন বেশ। তবে ভোটের হিসেবে প্রথম দুই প্রার্থীর চেয়ে অনেকটাই পিছিয়ে আছেন।

জানতে চাইলে অনিক বলেন, নিয়মিত প্রচারণা চালাচ্ছি। এখনো প্রচারণায় কোন ধরনের সমস্যা হয়নি। শান্তিপূর্ণ পরিবেশেই প্রচারণা চালাতে পারছি। কেমন সাড়া পাচ্ছেন জানতে চাইলে তিনি বলেন, প্রতিকূল পরিস্থিতির মধ্যেই নির্বাচনে এসেছি। সেই অবস্থান থেকেই লড়ে যাচ্ছি। নির্বাচিত হলে শিক্ষার্থীদের পাশে থাকবো সবসময়।

অন্যান্য সংগঠনগুলোর মধ্যে থেকে জিএস পদে ছাত্র ইউনিয়ন প্রার্থী দেয়নি। তবে জোটভুক্তভাবে ছাত্র ফেডারেশনের (উমর) কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক ফয়সাল মাহমুদ সুমনকে সমর্থন দিয়েছে। অন্য প্রার্থীরা হলেন উম্মে হাবিবা, রাশেদ খান, রাশেদুল ইসলাম, শফিকা রহমান শৈলী, শাফী আবদুল্লাহ, শাহরিয়ার রহমান, সনম সিদ্দিকী ও জালাল আহমেদ। এছাড়া পরিবেশ পরিষদের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী 'নিষিদ্ধ' ছাত্র সমাজের (এরশাদ) মামুন ফকির ও ইসলামী শাসনতন্ত্র ছাত্র আন্দোলনের মাহমুদুল হাসানও বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী হওয়ায় প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে পারছেন।

এসজে

মন্তব্য করুন

daraz
  • রাজনীতি এর পাঠক প্রিয়
X
Fresh