ওবায়দুল কাদেরের অবস্থা স্থিতিশীল নয়: মেডিকেল বোর্ড
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক, সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের শারীরিক অবস্থা স্থিতিশীল নয় বলে জানিয়েছে মেডিকেল বোর্ড।
রোববার (৩ মার্চ) দুপুরে ব্রিফিংয়ে মেডিকেল বোর্ডের প্রধান ও বিএসএমএমইউ হাসপাতালের কার্ডিওলজি বিভাগের চেয়ারম্যান, অধ্যাপক সৈয়দ আলী আহসান এ তথ্য জানান।
অধ্যাপক আলী আহসান বলেন, ‘ওবায়দুল কাদেরের হার্টে তিনটি ব্লক ধরা পড়েছে। একটি ব্লক ৯৯ শতাংশ। যেটি সবচেয়ে ক্রিটিক্যাল সেটি আমরা সারিয়ে তুলেছি। কিন্তু সেটি পর্যাপ্ত নয়। এছাড়া আরেকটি নালী ৮০ শতাংশ ও আরেকটি নালী আগে থেকেই ১০০ শতাংশ ব্লক ছিল।’
‘এই মুহূর্তে হার্টের ব্লকগুলো সারাতে গেলে আরও বিপদ ঘটতে পারে। যে পরিস্থিতি আছে তাকে শঙ্কামুক্ত বলা যায় না। ওনার শারীরিক অবস্থা প্রথমে উন্নতির দিকে গিয়েছিল। এখন সেটি ওঠানামার পর্যায়ে আছে। আমরা এখন যে চিকিৎসা দিচ্ছি সেটা আমাদের পক্ষ থেকে সব থেকে বেটার ট্রিটমেন্ট। আমাদের যে সব ফোর্স আছে আমরা সবগুলোর সর্বোচ্চ ব্যবহার করছি।’
তাকে বিদেশে নিয়ে চিকিৎসা করানোর মতো অবস্থা আছে কিনা জানতে চাইলে মেডিকেল বোর্ডের প্রধান সাংবাদিকদের বলেন, ‘এই মুহূর্তে যে অবস্থা আছে তাকে দেশের বাইরে নেওয়া সম্ভব নয়। তবে আমরা পরিস্থিতি পর্যালোচনা করে বিষয়টি বলতে পারব। ৭২ ঘণ্টা না গেলে ওনার অবস্থা সম্পর্কে আমরা কিছুই বলতে পারব না।’
রোববার (৩ মার্চ) সকালে ওবায়দুল কাদেরকে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় (বিএসএমএমইউ) হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে এনজিওগ্রাম শেষে কাদেরের হার্টে তিনটি ব্লক ধরা পড়ে। এর মধ্যে একটি ব্লকে রিং পরানো হয়। রিং পরানোর পর ওবায়দুল কাদেরকে কার্ডিওলজি বিভাগের সিসিইউতে রাখা হয়েছে।
এ সময় বিএসএমএমইউর সহউপাচার্য অধ্যাপক ডা. শহীদুল্লাহ সিকদার বলেন, ‘দেশের বাইরে নেওয়ার জন্য দুটি বিষয় নির্ভর করে। একটি তার পরিবার এবং অপরটি প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা। আপনারা জানেন প্রধানমন্ত্রী প্রতিমুহূর্তে খোঁজ-খবর রাখছেন। তার চিকিৎসার জন্য কোনও কার্পণ্য করা হবে না। যেখানে তার সর্বোচ্চ চিকিৎসা হবে, সেখানেই তাকে নেওয়া হবে।’
প্রসঙ্গত, ওবায়দুল কাদেরের চিকিৎসায় বিএসএমএমইউ হাসপাতালের পক্ষ থেকে মেডিকেল বোর্ড গঠন করা হয়। মেডিকেল বোর্ডে রয়েছেন- প্রিভেনটিভ অ্যান্ড রিহ্যাবিলিয়েশন কার্ডিওলজি বিভাগের প্রধান অধ্যাপক ডা. হারিসুল হক, কার্ডিওলজির অধ্যাপক সৈয়দ আলী আহসান, অধ্যাপক মেশকাত চৌধুরী, অ্যানেস্থেশিয়ার অধ্যাপক দেবব্রত ভৌমিক, অধ্যাপক ডা. আক্তার, কার্ডিও সার্জারির ডাক্তার বুলবুল, অধ্যাপক অসিত বরণ অধিকারী, জাতীয় হৃদরোগ ইনস্টিটিউটের অধ্যাপক কামরুল হাসান, তানিয়া সাজ্জাদ প্রমুখ।
পি
মন্তব্য করুন