সিইসির বক্তব্য দেশ থেকে নির্বাচন ব্যবস্থাকে ধ্বংস করার গভীর নীলনকশা: রিজভী
প্রধান নির্বাচন কমিশনারের বক্তব্য নির্বাচন ব্যবস্থাকে ধ্বংস করার গভীর নীলনকশার বহিঃপ্রকাশ। একাদশ জাতীয় সংসদের ভোট ডাকাতির নির্বাচন দেশে-বিদেশে কোথাও গ্রহণযোগ্যতা পায়নি। আর সিইসি বলছেন সিটি করপোরেশন নির্বাচনও সেরকম করেতে। বললেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী আহমেদ।
বুধবার সকালে নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।
রিজভী বলেন, ৩০ ডিসেম্বরের নির্বাচনের আগের রাতে ভোট সম্পন্ন করে ইসি, এখন একই ধরনের নির্বাচন আগামীতেও হবে বলে যে বক্তব্য সিইসি রেখেছেন তা জাতির সঙ্গে আবারও একটি প্রতারণা করার ইঙ্গিত। মহা ভোটডাকাতির আয়োজক প্রধান নির্বাচন কমিশনার পুনরায় একইভাবে উপজেলা ও সিটি করপোরেশন নির্বাচনের ঘোষণা দিয়ে একজন নিষ্ঠুর ভাঁড়ে পরিণত হয়েছেন।
তিনি বলেন, জাতীয় নির্বাচনের আগের রাতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ব্যালট বাক্স ভর্তি করে রাখেন, ভোটের দিন ভোটারদের ভোটকেন্দ্রে যেতে দেয়া হয়নি, বিরোধী দলের প্রার্থী ও সমর্থকদের ওপর হামলা করা হয়েছে, হাজার হাজার নেতা-কর্মীকে গ্রেফতার করা হয়েছে, সারা দেশের কারাগারগুলোতে এখন তিল ধারণের ঠাঁই নেই।
একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন নিয়ে মহাজোটের শরিক জাসদ যে প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছে তা নিয়ে রিজভী বলেন, আওয়ামী লীগের ভ্রাম্যমাণ প্রতিনিধি ওবায়দুল কাদের এ বিষয়ে কী জবাব দেবেন, কেননা তাদের শরিক জাসদ বলেছে ২৯ তারিখ রাতেই ব্যালটবক্স ভরা হয়।
রিজভী অভিযোগ করেন, বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার জামিন নিয়ে লুকোচুরি খেলা হচ্ছে। এক মামলায় জামিন নিলে আরেকটি মামলায় জামিন বাতিল করা হয়েছে, হাইকোর্ট জামিন দিলে আপিল বিভাগ আবার জামিন স্থগিত করেছে।পরে আপিল বিভাগ জামিন দিলে নিম্ন আদালত আরেকটি মামলায় জামিন আটকে দিয়েছে। এমনি করে পার হয়ে গেছে একটি বছর। যেসব মামলায় অন্যরা জামিনে রয়েছেন সেখানে বেগম খালেদা জিয়াকে জামিন দেয়া হচ্ছে না। এমনকি প্রতিহিংসার বশবর্তী হয়েই বেগম জিয়াকে চিকিৎসাসেবার সুযোগও দিচ্ছে না সরকার।উচ্চ আদালতের নির্দেশে বেগম জিয়াকে বিএসএমএমইউ হাসপাতালে ভর্তি করা হলেও সম্পূর্ণ চিকিৎসা না দিয়ে তাকে আবার কারাগারে পাঠানো হয়েছে সরকারের নির্দেশে।
এসজে/ এমকে
মন্তব্য করুন