• ঢাকা শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১
logo

মির্জা আব্বাস দম্পতির আগাম জামিন

আরটিভি অনলাইন রিপোর্ট

  ১৪ জানুয়ারি ২০১৯, ১৪:১০

দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) মামলায় বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস ও তার স্ত্রী আফরোজা আব্বাসকে আট সপ্তাহের আগাম জামিন দিয়েছেন আদালত। একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের হলফনামায় তথ্য গোপনের অভিযোগে এ মামলাটি করেছিল দুদক।

সোমবার বিচারপতি ওবায়দুল হাসান ও বিচারপতি কুদ্দুস জামানের হাইকোর্ট বেঞ্চ তাদের এ জামিন দেন।

আদালতে জামিন আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী জয়নুল আবেদীন, তাকে সহযোগিতা করেন আমিনুল ইসলাম।

গত ৭ জানুয়ারি বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস এবং তার স্ত্রী মহিলা দলের সভানেত্রী আফরোজা আব্বাসের বিরুদ্ধে অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে মামলাটি করে দুদক।

দুদকের সহকারী পরিচালক মো. সালাহউদ্দিন শাহজাহানপুর থানায় এ মামলা করেন।

মামলার এজাহারে বলা হয়েছে, নির্বাচন কমিশনে জমা দেয়া আফরোজা আব্বাসের নামে যে সম্পদের বিবরণ পাওয়া গেছে তা আসলে তার স্বামী মির্জা আব্বাসের সহায়তায় ‘অবৈধ উৎস থেকে অর্জিত’ সম্পদ।

বলা হয়েছে, আফরোজা আব্বাসের নামে ২০ কোটি ৭৬ লাখ ৯২ হাজার ৩৬৩ টাকার ‘অবৈধ’ সম্পদ পাওয়া গেছে। আয়কর নথিতে তিনি নিজেকে একজন হস্তশিল্প ব্যবসায়ী হিসাবে বর্ণনা করেছেন। কিন্তু পাসপোর্টের তথ্যে বলা হয়েছে, তিনি একজন গৃহিণী, নিজের আয়ের কোনও বৈধ উৎস তার নেই।

আফরোজা আব্বাস তার ‘অবৈধভাবে অর্জিত’ সম্পদ হস্তান্তর, রূপান্তর ও অবস্থান গোপন করে ‘অসৎ উদ্দেশ্যে’ দালিলিক প্রমাণবিহীন ‘ভুয়া’ ঋণ হিসেবে দেখিয়েছেন বলে অভিযোগ করা হয়েছে দুদকের মামলায়।

এজাহারে বলা হয়েছে, ১৯৯১ সালের আগে মির্জা আব্বাসের ‘উল্লেখযোগ্য কোনো আয় ছিল না’। ঢাকা সিটি কর্পোরেশনের মেয়র এবং গৃহায়ণ ও গণপূর্তমন্ত্রী হওয়ার সুবাদে ‘ঘুষ ও দুর্নীতির মাধ্যমে’ তিনি বিপুল সম্পদ ও অগাধ অর্থবিত্তের মালিক হন।

এসব অভিযোগে দুদক আইনের ২৭(১) ধারা, দণ্ডবিধির ১০৯ ধারা এবং মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ আইনের ১৩ ধারায় আব্বাস দম্পতির বিরুদ্ধে মামলাটি করা হয়েছে।

আরো পড়ুন:

এসজে/জেএইচ

মন্তব্য করুন

daraz
  • রাজনীতি এর পাঠক প্রিয়
আরও পড়ুন
বিএনপি এখন পথহারা পথিক : ওবায়দুল কাদের
কারাগার এখন বিএনপি নেতাকর্মীদের স্থায়ী ঠিকানা : রিজভী
বিএনপি-জামায়াতের ৩০ নেতাকর্মী কারাগারে
সন্ত্রাসীদের বিচারের মুখোমুখি হতে হবে : কাদের
X
Fresh