• ঢাকা শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১
logo

ডাকসু নির্বাচন: আজ ছাত্রসংগঠনগুলোর সঙ্গে বসছে প্রশাসন

তানভীর হাসান, ঢাবি

  ১০ জানুয়ারি ২০১৯, ১০:৫৫

দীর্ঘ ২৮ বছর পর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) ও হল সংসদ নির্বাচনের উদ্যোগে নিয়েছে প্রশাসন। নির্বাচনকে সামনে রেখে এরমধ্যে ডাকসুর গঠনতন্ত্র যুগোপযোগী করতে পাঁচ সদস্যের একটি গঠনতন্ত্র সংশোধনী কমিটি করা হয়েছে। গঠনতন্ত্র নিয়ে আলোচনা করতে ক্রিয়াশীল সকল ছাত্রসংগঠনের সঙ্গে আজ বৃহস্পতিবার মতবিনিময় সভার আয়োজন করেছে এই কমিটি। এই সংক্রান্ত একটি চিঠি ছাত্রসংগঠনগুলোর কাছে পৌঁছে দিয়েছে প্রশাসন।

ডাকসুর গঠনতন্ত্র সংশোধন কমিটির আহ্বায়ক অধ্যাপক মিজানুর রহমান স্বাক্ষরিত ওই চিঠিতে বলা হয়েছে, ‘আপনি জেনে আনন্দিত হবেন যে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ দীর্ঘদিন পর ডাকসু নির্বাচনের উদ্যোগ গ্রহণ করেছে। এ লক্ষ্যে, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) ও হল সংসদ গঠনতন্ত্র যুগোপযোগী করার জন্যে ক্রিয়াশীল ছাত্র সংগঠনের মতামত নিয়ে প্রয়োজনীয় সংশোধনী/পরিমার্জনের সুপারিশ প্রণয়নের জন্য মাননীয় উপাচার্য একটি কমিটি গঠন করেছেন। এর নিমিত্তে ছাত্রসংগঠনসমূহের সঙ্গে একটি মতবিনিময় সভা আগামী ১০ জানুয়ারি সকাল ১১টায় উপাচার্য কার্যালয় সংলগ্ন লাউঞ্জে অনুষ্ঠিত হবে।’

এ বিষয়ে অধ্যাপক ড. মিজানুর রহমান আরটিভি অনলাইনকে বলেন, বিদ্যমান গঠনতন্ত্র সামঞ্জস্যপূর্ণ কি না বা কোনও কিছু সংযোজন বিয়োজন করতে হবে কি না, সেটা জানতেই বৈঠকে ছাত্রসংগঠনগুলোর পরামর্শ নেওয়া হবে। কমিটি তাদের মতামত ও পরামর্শের ভিত্তিতে ভোটার ও প্রার্থী হওয়ার যোগ্যতা নির্ধারণের সুপারিশ করবে।

আসন্ন নির্বাচনে কারা ভোটার হতে পারবেন, কারা প্রার্থী হতে পারবেন তা নিয়ে সাধারণ শিক্ষার্থী থেকে শুরু করে ছাত্রসংগঠনগুলোর নেতা-কর্মীদের মধ্যে চলছে আলোচনা। ডাকসুর গঠনতন্ত্রের ৪ ধারার ১, ২ ও ৬ উপধারা অনুযায়ী, বিশ্ববিদ্যালয়ের আবাসিক ও অনাবাসিক সব নিয়মিত শিক্ষার্থীই ডাকসুর সদস্য। তবে তাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের সব আর্থিক প্রাপ্য পরিশোধ করতে হবে। বিশ্ববিদ্যালয়ের সব প্রিডিগ্রি, বিএফএ, এমফিল ও পিএইচডি শিক্ষার্থীরা ভোটার হতে পারবেন কিন্তু প্রার্থী হতে পারবেন না।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্রীয়াশীল ছাত্র সংগঠনগুলোর শীর্ষ নেতাদের বেশির ভাগই নিয়মিত শিক্ষার্থী নন। নেতাদের অনেকে বিভিন্ন বিষয়ে এমফিল বা পিএইচডি বা সান্ধ্যকালীন মাস্টার্সে ছাত্রত্ব টিকিয়ে রেখেছেন। তাদের পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে, আসন্ন নির্বাচনে যাতে প্রার্থী হ্ওয়ার বিষয়টি শিথিল করা হয়।

এ বিষয়ে ঢাবি ছাত্রলীগের সভাপতি সনজিৎ চন্দ্র দাস আরটিভি অনলাইনকে বলেন, পিএইচডি, এমফিলের শিক্ষার্থীদের গঠনতন্ত্র অনুযায়ী নির্বাচনে প্রার্থী হওয়ার সুযোগ নেই। কিন্তু সকল ছাত্রসংগঠনই নিয়মটি শিথিলের করা যায় কি না, সেটা ভাবছে। সেই ক্ষেত্রে একটি টাইমফ্রেম বেঁধে দেওয়া যায় কি না আমাদের সে প্রস্তাব থাকবে।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র ইউনিয়নের সভাপতি ফয়েজ উল্লাহ বলেন, ডাকসুর গঠনতন্ত্র পর্যালোচনা করার জন্য সাংগঠনিকভাবে আমারা একটা কমিটি করেছি। আগামীকাল (বুধবার) আমাদের হাতে কমিটির প্রস্তাবগুলো আসবে। সেই প্রস্তাবগুলো প্রশাসনের কাছে আমাদের পক্ষ থেকে তুলে ধরা হবে।

ছাত্রদলের বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সভাপতি মেহেদী হাসান বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে আমরা চিঠি পেয়েছি। ছাত্রদল ডাকসু নির্বাচনের ব্যাপারে সবসময় আন্তরিক। তবে বর্তমান সময়ের নির্বাচনগুলো থেকে আমরা আশাবাদী হতে পারছি না। আমাদের নেতাকর্মীদের ক্যাম্পাসে প্রবেশ করতে দেয়া হয় না। তাদের মারধর করা হয়, পুলিশে ধরিয়ে দেওয়া হয়। নির্বাচনের পরিবেশ আনতে ক্যাম্পাসে সহাবস্থান নিশ্চিত করা জরুরি।

উল্লেখ্য, স্বাধীনতার পর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে মাত্র সাত বার। সর্বশেষ ছাত্র সংসদ নির্বাচন হয় ১৯৯০ সালের ৬ জুন।

এসজে

মন্তব্য করুন

daraz
  • রাজনীতি এর পাঠক প্রিয়
X
Fresh