শ্রমিক খুন করে রাষ্ট্রীয় উন্নয়ন সম্ভব নয়: ছাত্র ইউনিয়ন
সাভার-উত্তরায় পোশাক শ্রমিকদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষে গুলিবিদ্ধ হয়ে শ্রমিক নিহতের ঘটনায় প্রতিবাদ জানিয়েছে ছাত্র ইউনিয়ন। একইসঙ্গে সংগঠনটি বলেছে, শ্রমিক খুন করে রাষ্ট্রীয় উন্নয়ন সম্ভব নয়। শ্রমিকদের দমন-পীড়ন বন্ধ করে নায্য দাবি মেনে নেওয়ার আহবানও জানিয়েছে সংগঠনটি।
শুক্রবার সকালে গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে এ মন্তব্য করেন সংগঠনটির ঢাকা জেলা সংসদের নেতৃবৃন্দ।
সরকারি মজুরি কাঠামো বৃদ্ধি, বাস্তবায়নের দাবিতে কয়েকদিন ধরে টানা আন্দোলন করে আসছে পোশাক শ্রমিকরা। গতকাল মঙ্গলবার সাভারে সংঘর্ষে এক শ্রমিকও নিহত হন।
এ ঘটনার প্রতিবাদ জানিয়ে ঢাকা জেলা সংসদের সভাপতি রাহাত বিন এস রহমান আবিদ ও সাধারণ সম্পাদক আরিফুল ইসলাম সাব্বির বলেন, সরকার মালিকপক্ষের সাথে মিলে মজুরি বৃদ্ধির নামে শ্রমিকদের সাথে যে প্রতারণা করেছে তার পরিণতিতেই আজ দেশের সর্ববৃহৎ শিল্পখাতে তীব্র শ্রমিক অসন্তোষ দেখা দিয়েছে। নতুন মজুরি কাঠোমোতে হেলপারের মজুরি কিছুটা বৃদ্ধি পেলেও শিল্পের অধিকাংশ শ্রমিকের মজুরি যৎসামান্য বৃদ্ধি করা হয়েছে। অপারেটরদের মজুরি কোনও কোনও ক্ষেত্রে কমে গিয়েছে।
নেতৃদ্বয় বলেন, সকল গ্রেডে একই হারে মজুরি বৃদ্ধির যে দাবি তার যৌক্তিকতা কোনোভাবেই খুন করা যায় না। বরং মালিক পক্ষের দ্বারা পরিচালিত হয়ে সরকার শ্রমিকদের সাথে মজুরি বৃদ্ধি নিয়ে যে প্রতারণা করেছে তার পরিণতিতেই বর্তমান অবস্থা সৃষ্টি হয়েছে। সরকার এই আন্দোলন দমন করতে শ্রমিকের রক্তে হাত রাঙিয়েছে। যা কোনও ভাবেই কাম্য নয়।
নেতৃবৃন্দ হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, সংকট সমাধানের পরিবর্তে যদি সরকার শক্তি দিয়ে আন্দোলন দমন করতে চায়, তবে তার পরিণতির দায়-দায়িত্ব সরকারকেই নিতে হবে। তারা আরও বলেন, শ্রমিক খুন করে রাষ্ট্রীয় উন্নয়ন সম্ভব নয়। তাদের রক্তে ঘামে গড়ে উঠা অর্থনীতির এসব চালকদের নিপীড়ন বন্ধ না করা হলে ছাত্র জনতা রাজপথে নেমে আসবে।
নেতৃবৃন্দ অবিলম্বে প্রকৃত শ্রমিক প্রতিনিধিদের সাথে আলোচনায় বসে শ্রমিকদের ন্যায্য দাবি মেনে নিয়ে সকল গ্রেডে একই হারে মজুরি নির্ধারণ করা এবং ন্যুনতম মূল মজুরী ১০ হাজার এবং মোট মজুরী ১৬ হাজার টাকা কার্যকর করার দাবি জানান।
এসজে
মন্তব্য করুন