আ.লীগ ক্ষমতায় থাকলে দেশের অগ্রযাত্রা অব্যাহত থাকবে: শেখ হাসিনা
আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, আগামীতে ক্ষমতায় গেলে দেশ গড়তে তরুণদের মেধা কাজে লাগাবো। স্বল্প আয়ের মানুষের জন্য ফ্ল্যাট করে দেব। আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় থাকলে দেশের অগ্রযাত্রা অব্যাহত থাকবে।
রাজধানীর গুলশানে ইয়ুথ ক্লাব মাঠে নির্বাচনী পথসভায় আজ শুক্রবার বিকেলে তিনি এ কথা বলেন।
তিনি আরও বলেন, নৌকায় ভোট দিয়ে স্বাধীনতা এসেছে, নৌকায় ভোট দিয়ে জীবনমান উন্নত হয়েছে। নিজেদের ভাগ্য গড়তে আসিনি। ক্ষমতায় এসে হাওয়া ভবন তৈরি করিনি। এতিমদের টাকা মারিনি।
তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশ আজ উন্নয়নের রোল মডেল হিসেবে সারা বিশ্বে স্বীকৃতি পেয়েছে। আগে যারা বিদেশে যেতেন বাংলাদেশের নাম শুনলেই নাক ছিটকাত। বাংলাদেশ মানে দরিদ্র দেশ, বাংলাদেশ মানে দুর্ভিক্ষের দেশ, বাংলাদেশ মানে ঘূর্ণিঝড় জ্বলোচ্ছাসের দেশ, প্রাকৃতিক দুর্যোগের দেশ। আল্লাহর রহমতে সেই বদনাম আর নাই। আজকের বাংলাদেশ আর পিছিয়ে পড়া বাংলাদেশ নয়। আজ উন্নয়নের রোল মডেল হিসেবে সারা বিশ্বে স্বীকৃতি পেয়েছে বাংলাদেশ। এখন আর কারও কাছে হাত পেতে চলতে হয় না।
শেখ হাসিনা বলেন, আমরা প্রায় ৭ দশমিক ৬ ভাগ বাজেট বৃদ্ধি করেছি, বিএনপির আমলে যেখানে বাজেট ছিল মাত্র ৬১ হাজার কোটি টাকা সেখানে আজ আমরা ৪ লাখ ৬৪ হাজার ৫৭৩ কোটি টাকার বাজেট দিয়েছি। ২০০৮ সালে নির্বাচনে বিজয়ী হয়ে ক্ষমতায় এসে দেখি ঢাকায় খাওয়ার বিশুদ্ধ পানি অভাব। পানি নাই, পানির জন্য হাহাকার। বিদ্যুৎ নাই, রাস্তাঘাট ভাঙাচোরা, চলাচলের উপায় ছিল না।
তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার পর পানির সমস্যা আমরা সমাধান করেছি। এক লিটার পানি বিশুদ্ধ করতে অনেক খরচ হয়। আপনাদের অনুরোধ করব আপনারা কেউ পানির অপচয় করবেন না। সার্বক্ষণিক বিদ্যুতের ব্যবস্থা করেছি। কেউ বিদ্যুতের অপচয় করবেন না। আমরা জানি ঢাকায় অনেক বস্তিবাসী মানুষ কষ্ট করে মানবেতর জীবন যাপন করছে। আমরা ক্ষমতায় গেলে এই কষ্ট থাকবে না। আমরা ইতোমধ্যে পরিকল্পনা হাতে নিয়েছি বস্তিবাসীর জন্য ভবন করার। তারা যেন ফ্ল্যাট ভাড়া করে থাকতে পারে সে ব্যবস্থা করব। মাদকের হাতে থেকে যুব সমাজকে রক্ষার জন্য কাজ করছি। তাদের পড়াশোনার জন্য বিশ্ববিদ্যালয় উন্মুক্ত করেছি। বেকার সমস্যা সমাধানের জন্য দেশে-বিদেশে প্রশিক্ষণের সুযোগ করেছি। ঢাকাবাসীর বিনোদনের জন্য হাতিরঝিলের মতো দৃষ্টিনন্দন স্থান করেছি।
প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি আরও বলেন, ১৯৮১ সালে দেশে ফেরার পর থেকেই বাংলাদেশের উন্নয়নে কাজ করছি। বঙ্গবন্ধুর আদর্শ নিয়ে দেশ সেবা করে যাচ্ছি। মানুষের ভাগ্য উন্নয়নের লক্ষ্য নিয়ে কাজ করছি। জনগণের ভাগ্য পরিবর্তই লক্ষ্য আমাদের, নিজেদের ভাগ্য পরিবর্তন নয়।
তিনি বলেন, বিএনপির মধ্যে যদি এতটুকু মনুষ্যত্ব থাকত তাহলে তারা জীবন্ত মানুষকে আগুন দিয়ে পেট্রোল বোমা দিয়ে পুড়িয়ে মারতে পারত না। খালেদা জিয়ার দুই ছেলেই দেশের টাকা পাচার করেছে। আমরা সেই টাকা ফিরিয়ে এনেছি। ধানের শীষে ভোট মানেই দুর্নীতি, মানি লন্ডারিং, আগুনসন্ত্রাসী আর জঙ্গিবাদকে ভোট দেয়া। আর নৌকা মার্কা মানেই সমৃদ্ধি, উন্নতি, নৌকা মার্কা মানেই স্বাধীনতা। এদেশের মানুষের উন্নতি হওয়া যার সুফল দেশের মানুষ পাচ্ছে।
এসময় ঢাকা-১৭ আসনের দলীয় প্রার্থী অভিনেতা ফারুক, ঢাকা-১১ একেএম রহমত উল্লাহ, ঢাকা-১২ আছাদুজ্জামান খাঁন কামাল, ঢাকা-১৩ সাদেক খান, ঢাকা-১৪ আসলামুল হক, ঢাকা-১৫ কামাল আহমেদ, ঢাকা-১৬ ইলিয়াস উদ্দিন মোল্লা, ঢাকা-১৭ সাহারা খাতুন এবং ঢাকা-১ আসনে সালমান এফ রহমানের পক্ষে নৌকা মার্কায় ভোট চান প্রধানমন্ত্রী।
আরএস/পি
মন্তব্য করুন