• ঢাকা বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১
logo

আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসলে মানুষের ভাগ্য খুলে : প্রধানমন্ত্রী

আরটিভি অনলাইন রিপোর্ট

  ১২ ডিসেম্বর ২০১৮, ১৮:৪৯

২১ বছর পর বাংলার মানুষ যখন আমাকে নৌকা মার্কায় ভোট দিয়ে নির্বাচিত করে। তখন আমি বাংলার মানুষের ভাগ্য পরিবর্তনের জন্য কাজ করি। আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসলে মানুষের ভাগ্য খুলে, ন্যায় বিচার পায়। বললেন আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়ায় শেখ লুৎফর রহমান আদর্শ সরকারি কলেজ মাঠে নির্বাচনী জনসভায় তিনি এসব কথা বলেন।

শেখ হাসিনা বলেন, ২০০১ ক্ষমতায় আসতে পারেনি। ২০০৮ ক্ষমতায় এসে আবার বাংলার মানুষের ভাগ্য উন্নয়নের জন্য কাজ শুরু করি। যে কমিউনিটি ক্লিনিকের মাধ্যমে মানুষের দোর গোড়ায় স্বাস্থ্যসেবা পৌঁছে গিয়েছিলো, সেটা খালেদা জিয়া বন্ধ করে দিয়েছিলেন। আমি আবার বাংলার জনগণের কথা ভেবে কমিউনিটি ক্লিনিক খুলে দিয়েছি।

কোটালীপাড়ার উদাহরণ দিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, আজকের বাংলাদেশ আপনারা কোটালীপাড়াবাসী দেখেন। রাস্তা ঘাট ছিলো না, কোনও পুল ব্রিজ ছিলো না। কোনও উন্নয়ন ছিলো না। প্রতিটি জায়গা ছিলো অত্যন্ত দুর্গম। আমি আমার নিজের গ্রামে ঠিক মতো পৌঁছাতে পারিনি। কিন্তু আজ কোটালীপাড়ার মতো সকল স্থানে উন্নয়ন করেছি। প্রতিটি মানুষ গ্রামে থেকে শহরের সুবিধা ভোগ করতে পারবে আমরা সেভাবে কাজ করে যাচ্ছি।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমি বাংলাদেশকে নিরক্ষরমুক্ত করতে চেয়েছি। সে প্রকল্প বন্ধ করে দিয়েছিলো বিএনপি। আজকে বাংলাদেশ নিরক্ষরতামুক্ত হওয়ার পথে।৭৩ ভাগ মানুষ এখন স্বাক্ষরতা অর্জন করেছে। বিনামুল্যে বই দিচ্ছি। প্রাইমারি অবতৈনিক করেছি। জাতির পিতা ৩৬ হাজার প্রাইমারি স্কুল জাতীয়করণ করেছে।

তিনি আরও বলেন, আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় এসে ২৬ হাজার প্রাইমারি স্কুল জাতীয়করণ করেছে। সারাদেশে ৪ কোটি শিক্ষার্থীর মধ্যে ২ কোটি ৪ লক্ষ শিক্ষার্থীকে আমরা উপবৃত্তি দিয়েছি। আমরা ৩শ ৩৩ কলেজ এবং ২শ ৫৭ টা স্কুল জাতীয়করণ করেছি। প্রতিটি উপজেলায় একটি করে স্কুল এবং কলেজ জাতীয়করণ করা হয়েছে। প্রত্যেকটা স্কুল উন্নত করেছি।

শেখ হাসিনা বলেন, দেশে একজনও বেকার থাকবে না। লার্নিং ও আর্নিং প্রকল্প নিয়েছে। যার মাধ্যমে একজন মানুষ প্রশিক্ষিত হয়ে নিজের পাশাপাশি আরও দশজন মানুষের কর্মসংস্থান করতে পারে।

আওয়ামী লীগ সভাপতি বলেন, ৭৫ সালের পর এই প্রথম বাংলার মানুষ আস্থা পেয়েছিলো। যে সরকার জনগণের সেবক। জাতির পিতা স্বাধীনতার পর যে সংবিধান দিয়েছিলেন, সেখানে মানুষের মৌলিক চাহিদা পূরণের কথা বলা হয়েছে। মানুষের স্বাস্থ্য শিক্ষা চিকিৎসা সকল সুযোগ সুবিধার কথা বলা হয়েছিল। আমরা পরিকল্পিতভাবে কাজ করে যাচ্ছিলাম। গৃহহারা মানুষের জন্য কাজ করছিলাম। মানুষের ঘরবাড়ি তৈরি করে দিয়েছিলাম। অনেক উন্নয়ন করেছিলাম। মাত্র পাঁচ বছর কাজ করেছিলাম। আমরা অনেক উন্নয়নও করেছিলাম। কিন্তু তারপর আমাদের দুর্ভাগ্য যে আমরা ক্ষমতায় আসতে পারেনি। যারা এর পরবর্তীতে এসেছিলো। তারা কারা? ৭৫ সালে জাতির পিতাকে হত্যা করেছিলো। যারা গণহত্যা চালিয়েছিলো। স্বাধীনতার সময় বাংলার মা বোনকে নির্যাতন করেছিল। যারা বলেছিল, মাটি চায় মানুষ চায় না।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, যে যুদ্ধাপরাধীদের বিচার জাতির পিতা শুরু করেছিলেন, সেই বিচার বন্ধ করে দিয়ে তারা যুদ্ধাপরাধীদের মন্ত্রী, এমপি, উপদেষ্টা বানিয়ে ছিলো। লাখো শহীদের রক্ত রঞ্জিত পতাকা তুলে দিয়েছিল।

শেখ হাসিনা আরও বলেন, আওয়ামী লীগ সরকার যুদ্ধাপরাধীদের বিচার করেছে। এখন সে বিচার চলছে। সেই বিচারের রায়ও কার্যকর করা হয়েছে।

আরও পড়ুন :

এমসি/আরসি/জেএইচ

মন্তব্য করুন

daraz
  • রাজনীতি এর পাঠক প্রিয়
আরও পড়ুন
মোদির বিরুদ্ধে ইসিতে ২০ হাজার নাগরিকের চিঠি
ছয়দিনের সফরে ব্যাংককে পৌঁছেছেন প্রধানমন্ত্রী 
ব্যাংককের উদ্দেশ্যে ঢাকা ছাড়লেন প্রধানমন্ত্রী
আজ থাইল্যান্ড যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী
X
Fresh