অনেক প্রশ্নের জন্ম দিয়েছে: ফখরুল
দুই বছরের বেশি সাজায় দণ্ডিতরা আপিল চলাকালেও নির্বাচনে অংশ নিতে পারবে না বলে যে আদেশ হাইকোর্ট দিয়েছে, তাতে জনগণের মনে অনেক প্রশ্নের জন্ম দিয়েছে। বললেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
তিনি বলেন, এ রায় নির্বাচনকে ব্যাহত করার জন্য। হাইকোর্টের এই আদেশের পেছনে ‘সরকারের ইচ্ছার প্রতিফলন’ রয়েছে।
মঙ্গলবার বিকেলে গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে সাংবাদিকদের কাছে এমন মন্তব্য করেন বিএনপি মহাসচিব।
নিম্ন আদালতে দুর্নীতি মামলায় দণ্ডিত পাঁচ বিএনপি নেতা নির্বাচনে অংশ নেয়ার জন্য হাইকোর্টে আপিল চলমান থাকা অবস্থায় তাদের দণ্ড বা সাজা স্থগিত করার আবেদন করেছিলেন। সেই আবেদন খারিজ করে বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি কে এম হাফিজুল আলমের হাই কোর্ট বেঞ্চ মঙ্গলবার যে আদেশ দিয়েছে, তাতেই খালেদার ভোটের পথ আটকে গেছে।
মির্জা ফখরুল বলেন, হাইকোর্টের এই আদেশ বিএনপিকে প্রতিহত করার জন্য, জাতীয় ঐক্যফ্রন্টকে প্রতিহত করবার জন্য, দেশের মানুষের অধিকারকে খর্ব করার জন্য এই আদেশ দেওয়া হয়েছে।
জিয়া এতিমখানা ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় ১০ বছর এবং জিয়া দাতব্য ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় ৭ বছরের দণ্ড নিয়ে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া গত ফেব্রুয়ারি থেকে আছেন কারাগারে। এরইমধ্যে নির্বাচনে অংশ নেয়ার জন্য তার দল ৩টি আসন থেকে তার পক্ষে মনোনয়ন দিয়েছে।
ফখরুল বলেন, হাই কোর্টের ওই আদেশ জনগণের মধ্যে অনেক প্রশ্নের জন্ম দিয়েছে।
তিনি বলেন, ঠিক নির্বাচনের পূর্বে দেশনেত্রীর বিরুদ্ধে আবারও এক রায় দেয়া হল যে, তিনি নির্বাচন করতে পারবেন না।… এটা কোনো মতেই জনগণের কাছে গ্রহণযোগ্য নয়। এই রায় জনগণ মেনে নিতে পারে না।
মির্জা ফখরুল এই আদেশের বিরুদ্ধে তীব্র প্রতিবাদও জানান।
আরও পড়ুন :
এসআর
মন্তব্য করুন