• ঢাকা বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১
logo

ভোটের হাওয়া: জয়পুরহাট- ১ ও ২

বড় দু’দলের প্রার্থীরা চান নেত্রীদের আসন উপহার দিতে

রাশেদুজ্জামান, জয়পুরহাট

  ১৩ নভেম্বর ২০১৮, ১৯:৫৪

একাদশ জাতীয় নির্বাচন ঘিরে জয়পুরহাটেও শুরু হয়েছে প্রার্থীদের দৌড়ঝাঁপ। জেলার দু’টি আসনেই রয়েছে আওয়ামী লীগের একাধিক সম্ভাব্য প্রার্থী। মহাজোটের শরীক দলের নেতারাও চাইছেন প্রার্থী হতে। অপরদিকে, নির্বাচনে অংশ নিতে প্রস্তুতি রয়েছে বিএনপিরও।

সীমান্ত ঘেঁষা জয়পুরহাট সদর এবং পাঁচবিবি উপজেলা নিয়ে জয়পুরহাট-১ আসন। ১৯৯১ থেকে ২০০৮ সাল পর্যন্ত বিএনপির নিয়ন্ত্রণে ছিল আসনটি। ২০১৪ সালের নির্বাচনে এ আসনে এমপি হন আওয়ামী লীগের সামছুল আলম দুদু। আগামী নির্বাচনেও মনোনয়ন পেতে জোর তৎপরতা চালাচ্ছেন তিনি।

জয়পুরহাট-১ এর সংসদ সদস্য সামছুল আলম দুদু বলেন, মানুষ এখন অপেক্ষা করছেন আওয়ামী লীগে ভোট দেয়ার জন্য, কারণ এ রকম উন্নয়ন আগে কেউ করতে পারেনি।

এছাড়া আওয়ামী লীগের মনোনয়ন প্রতিযোগিতায় শোনা যাচ্ছে পৌর মেয়র মোস্তাফিজুর রহমানসহ আরও কয়েকজনের নাম।

জয়পুরহাট পৌরসভার মেয়র মোস্তাফিজুর রহমান মোস্তাক বলেন, আমকে যদি নৌকা মার্কা দেয়, আমি এখান থেকে বিজয়ী হবো।

জয়পুরহাট সদর উপজেলা আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক জহুরুল ইসলাম বলেন, দল যাকেই নমিনেশন দিবে আমরা সবাই মিলে কাজ করে, তাকে জয়ী করবো।

আওয়ামী লীগ মনোনয়ন প্রত্যাশী তৌফিদুল ইসলাম বুলবুল বলেন, সাবেক ছাত্রনেতা হিসেবে আমি একাদশ সংসদ নির্বাচনে মনোনয়নপ্রত্যাশী। যদি প্রধানমন্ত্রী আমাকে নমিনেশন দেন আমি জয়ী হয়ে এ আসন তাকে উপহার দিতে পারবো।

এদিকে বিএনপি আছে কিছুটা কোণঠাসা অবস্থায়। তবে আসনটি পুনরুদ্ধারে প্রস্তুতির কথা জানান সম্ভাব্য প্রার্থীরা।

জেলা বিএনপির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মমতাজ উদ্দিন মণ্ডল বলেন, দুটি আসনেই ’৯১ থেকে আমরা জয় লাভ করেছি, এবারও আমরা জয়ী হব।

জেলা বিএনপির সহ-সভাপতি অধ্যক্ষ শামসুল হক বলেন, আমরা শান্তিপূর্ণভাবে আন্দোলন করে বেগম জিয়াকে মুক্ত করে তারপর নির্বাচনে যাবো।

জেলা বিএনপির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আব্দুল গফুর বলেন, আগামী নির্বাচনে বেগম খালেদা জিয়া অবশ্যই আমাকে মনোনয়ন দিবেন, সেই মনোনয়নে সবার থেকে বেশি ভোটে বিজয়ী হবো।

অন্যদিকে মহাজোট থেকে মনোনয়ন পেতে তৎপরতা চালাচ্ছেন, জাতীয় পার্টির জেলা সাধারণ সম্পাদক আ স ম মোক্তাদির তিতাস মোস্তফা। তিনি বলেন, এবারও জাতীয় পার্টি এ আসনটি জোরালোভাবে চাইবে, এবং জনগণের আশা পূরণে নির্বাচন করবো।

এদিকে, কালাই, ক্ষেতলাল ও আক্কেলপুর উপজেলা নিয়ে গঠিত জয়পুরহাট-২ আসনেও বইছে নির্বাচনী হাওয়া। আবারো আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পেতে সক্রিয় রয়েছে বর্তমান এমপি আবু সাঈদ আল মাহমুদ স্বপন।

আবু সাঈদ আল মাহমুদ স্বপন বলেন, যেটুকু উন্নয়ন জয়পুরহাটে হয়েছে বিগত ২৫ বছরেও এমন উন্নয়ন হয়নি, জয়পুরহাটে মানুষ সুশাসন ও উন্নয়নের জন্য নৌকায় ভোট দিবে।

জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এস এম সোলায়মান আলী বলেন, এলাকার মানুষের যাতে উন্নয়ন করতে পারি, এর জন্যই আমি এই আসনে মনোনয়ন প্রত্যাশী।

বিএনপির সম্ভাব্য প্রার্থী হিসেবেও শোনা যাচ্ছে বেশ কয়েকজনের নাম। এরই মধ্যে মাঠ গোছাতে কাজ শুরু করেছেন তারা।

জেলা বিএনপির সহসভাপতি ইঞ্জিনিয়ার গোলাম মোস্তফা বলেন, প্রত্যেকটি আন্দোলনে আমি নেতাকর্মীদের নিয়ে সক্রিয় ভূমিকা পালন করছি, আমার বিশ্বাস দেশনেত্রী আমাকে মনোনয়ন দিবেন।

বিএনপির মনোনয়ন প্রত্যাশী ইফতেখার রানা বলেন, আন্দোলন, সংগ্রাম করতে গিয়ে হামলা মামলার শিকার হয়েছি, এই আসনে আমি মনোনয়নপ্রত্যাশী।

জেএম/এসএস

মন্তব্য করুন

daraz
  • রাজনীতি এর পাঠক প্রিয়
আরও পড়ুন
যে কারণে ৬৪ নেতাকে বিএনপির শোকজ
সড়ক দুর্ঘটনায় প্রাণ গেল আওয়ামী লীগ নেতার
লালমনিরহাটে হত্যা মামলায় বিএনপির ৫ নেতা কারাগারে
বহিষ্কার করেও ভোটমুখী নেতাদের বাগে আনতে পারছে না বিএনপি
X
Fresh