• ঢাকা শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১
logo

ভোটের হাওয়ায় কেটলি ও কাপের সংখ্যা বৃদ্ধি

মাজেদুল হক মানিক, মেহেরপুর প্রতিনিধি

  ১২ নভেম্বর ২০১৮, ১৩:০০

একদিকে শীতের আগমন অপরদিকে জাতীয় নির্বাচনকে ঘিরে গ্রামের চায়ের দোকানগুলোতে বাড়তে শুরু করেছে ভিড়।

দোকানিরাও বাড়াচ্ছেন কেটলি ও কাপের সংখ্যা। নির্বাচনী প্রচারণার মধ্য দিয়ে গ্রামীণ অর্থনীতি চাঙ্গা হচ্ছে বলে জানালেন স্থানীয় দোকানিরা। এখন থেকেই দোকানে দোকানে শুরু হয়েছে নির্বাচন নিয়ে আড্ডা।

মেহেরপুর জেলার দুটি নির্বাচনী এলাকায় জনসংখ্যা প্রায় সাত লাখ। মেহেরপুর সদর ও মুজিবনগর উপজেলা নিয়ে মেহেরপুর-১ আসন এবং গাংনী উপজেলা নিয়ে মেহেরপুর-২ আসন। মেহেরপুর-১ আসনে দুই লাখ ৬৯ হাজার ৩৪৬ জন ও মেহেরপুর-২ আসনে দুই লাখ ২৬ হাজার ৪১৬ জন ভোটার রয়েছেন। এদের মধ্যে নারী-পুরুষ ভোটার প্রায় সমান সমান।

মাঠপর্যায়ে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, দুটি আসনে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের প্রায় দুই ডজন, বিএনপির অর্ধ ডজন ও অন্যান্য দল মিলে আরও কয়েকজন সম্ভাব্য প্রার্থী দলীয় মনোনয়ন দৌড়ে মাঠ চষে বেড়াচ্ছেন। তাই এখনই শুরু হয়েছে চায়ের দোকানে আপ্যায়নসহ মাঠপর্যায়ে অন্যান্য খরচ।

গাংনীর চা দোকানি রফিকুল ইসলাম রুলিম বলেন, আমার দোকানে সকাল থেকে রাত পর্যন্ত আলোচনা হয় শুধু নির্বাচন নিয়েই। আর কোনও আলোচনা কেউ করেন না। এ ফাঁকে চা বিক্রিও বেড়েছে।

সীমান্তবর্তী সহড়াতলা গ্রামের চা দোকানি আনারুল ইসলাম বলেন, কয়েকদিন আগে চারটি নতুন কেটলি ও ১০০ পিস চায়ের কাপ কিনেছি। সম্ভাব্য প্রার্থীদের স্থানীয় কর্মীরা এখনই চায়ের বিল করছেন। নেতার মাঠ ঠিক রাখতে পারলে তিনিও উপকৃত হবেন এই আশায় খরচ করছেন তারা।

মেহেরপুর ও গাংনী শহরের কয়েকটি হার্ডওয়্যার দোকানে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, চায়ের কেটলি বিক্রি মোটামুটি শুরু হয়েছে। প্রতিদিনই বিক্রি হচ্ছে। বিশেষ করে গ্রামের চায়ের দোকানদার চা তৈরির সক্ষমতা বৃদ্ধির জন্য কেটলি কিনছেন, আবার অনেকেই নতুন চায়ের দোকান তৈরির জন্যও কেটলি কিনছেন।

রাইপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক হাফিজুর রহমান মোকলেছ বলেন, বিকেল থেকে রাত ১০-১১টা পর্যন্ত চায়ের দোকানগুলো জমজমাট থাকছে।

উপজেলা পর্যায় থেকে নেতারা রাতেও গ্রামের চায়ের দোকানে গিয়ে গণসংযোগ করছেন। এতে দোকানিদের বিক্রি বেড়েছে। এছাড়াও নির্বাচনী অন্যান্য খরচ এখনই শুরু হয়ে যাওযায় গ্রামীণ অর্থনীতিতে চাঙ্গা ভাব তৈরি হয়েছে।

জানা গেছে, নির্বাচন কমিশন কর্তৃক প্রার্থীদের নির্বাচনী ব্যয় নির্ধারিত। বিষয়টি কাগজে-কলমে ঠিক থাকলেও কোনও প্রার্থীই এ ব্যয় ঠিক রাখতে পারে না। তাই নির্বাচন ঘিরে যেমনি উৎসব শুরু হয় তেমনি বেড়ে যায় গ্রামের সাধারণ মানুষের আয়। বিভিন্নভাবে আয়ের চেষ্টা করেন এক শ্রেণির মানুষ।

আরও পড়ুন :

জেবি

মন্তব্য করুন

daraz
  • রাজনীতি এর পাঠক প্রিয়
আরও পড়ুন
কেন্দ্রে ভোট দিতেন না উত্তম কুমার, মহানায়কের জন্য ছিল যে ব্যবস্থা
উপজেলা ভোটে ব্যর্থ হলে গণতন্ত্র ক্ষুণ্ন হবে : সিইসি
বহিষ্কার করেও ভোটমুখী নেতাদের বাগে আনতে পারছে না বিএনপি
রোহিঙ্গাদের ভোটার তালিকা চান হাইকোর্ট
X
Fresh