• ঢাকা শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১
logo

ইসি-ঐক্যফ্রন্টের সভায় উত্তপ্ত বাক্য বিনিময়

দল ও নির্বাচন কমিশন, কেউ কারও প্রতি আস্থা নেই

আরটিভি অনলাইন রিপোর্ট

  ০৫ নভেম্বর ২০১৮, ১৯:৫৭

আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে সোমবার (৫ নভেম্বর) ঐক্যফ্রন্টের নেতাদের সঙ্গে নির্বাচন কমিশনের সভা উত্তপ্ত বাক্য বিনিময়ের মধ্য দিয়ে শেষ হয়েছে। সভায় ঐক্যফ্রন্টের নেতারা নির্বাচন কমিশনকে দোষারোপ করেছেন আবার নির্বাচন কমিশনও রাজনৈতিক দলগুলোর প্রতি মানুষের আস্থা নেই বলে অভিযোগ করেছেন।

জাতীয় নির্বাচনের তফসিল পেছানো, বিচারিক ক্ষমতা দিয়ে সেনা মোতায়েন, ইভিএম বাতিল এবং ভোটের সুষ্ঠু পরিবেশ নিশ্চিত করার বিষয় নিয়ে সেখানে ইসির সঙ্গে ঐক্যফ্রন্ট নেতারা আলোচনা শুরু করেন।

এর আগে, বিকেল ৪টার দিকে জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের (জেএসডি)সভাপতি আ স ম আবদুর রবের নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধি দল আলোচনার জন্য নির্বাচন কমিশনে যায়। প্রতিনিধি দলে আরও উপস্থিত ছিলেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক মাহমুদুর রহমান মান্না, গণফোরামের প্রেসিডিয়াম সদস্য অ্যাডভোকেট সুব্রত চৌধুরী, জেএসডির সাধারণ সম্পাদক আব্দুল মালেক রতন, বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান বরকত উল্লাহ বুলু, গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের ট্রাস্টি ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী, ঐক্যফ্রন্ট নেতা সুলতান মোহাম্মদ মনসুর ও নঈম জাহাঙ্গীর।

প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কে এম নুরুল হুদার নেতৃত্বে বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন চার নির্বাচন কমিশনার মাহবুব তালুকদার, কবিতা খানম, রফিকুল ইসলাম ও ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) শাহাদাৎ হোসেন চৌধুরী।

বৈঠকে নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক মাহমুদুর রহমান মান্না বলেন, ‘এই নির্বাচন কমিশনের প্রতি মানুষের আস্থা নেই। ইভিএমে কারচুপির সুয়োগ রয়েছে।’

মান্নার এমন মন্তব্যের জবাবে নির্বাচন কমিশনার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) শাহাদাৎ হোসেন চৌধুরী বলেন, ‘রাজনৈতিক দলগুলোর প্রতি মানুষের আস্থা নেই।’ নির্বাচনে ইলেকট্রিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) ব্যবহার বিষয়ে তিনি বলেন, ‘ইভিএমে কারচুপির কোন সুযোগ নেই, এটা পরীক্ষিত।’

নির্বাচন কমিশনের উদ্দেশ্যে আ স ম রব বলেন, ‘নির্বাচনকালীন সময়ে আপনারা সরকারের একটি প্রতিষ্ঠানকেও নিয়ন্ত্রণ করতে পারেননি। রাজশাহী সিটি করপোরেশন নির্বাচনে একটি কেন্দ্রে দেড় হাজার ব্যালট পেপার কম পড়েছে। সেখানে আপনারা ব্যালট পেপার সরবরাহ করতে পারেননি।’

আগের নির্বাচনের অভিজ্ঞতা তুলে ধরে ঐক্যফ্রন্টের নেতা সুলতান মোহাম্মদ মনসুর বলেন, ‘নির্বাচনের আগের দিন পুলিশ বিরোধী দলের এজেন্টদের আটক করে নিয়ে যাচ্ছে। ইসি কিছু করতে পারেনি। ফলে আপনাদের দিয়ে কীভাবে সুষ্ঠু নির্বাচন হবে?’

উল্লেখ্য, গত ৩ নভেম্বর ঐক্যফ্রন্টের একটি প্রতিনিধি দল সিইসির কাছে একটি স্মারকলিপি দেয়। সেখানে সংলাপ শেষ না হওয়া পর্যন্ত একাদশ জাতীয় নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা না করার আহ্বান জানানো হয়। কিন্তু তার পরও গতকাল ৪ নভেম্বর নির্বাচন কমিশনের পক্ষ থেকে জানানো হয় আগামী ৮ নভেম্বর তফসিল ঘোষণা করা হবে।

আরও পড়ুন :

পি

মন্তব্য করুন

daraz
  • রাজনীতি এর পাঠক প্রিয়
X
Fresh