নবীজীর বিরুদ্ধে কিছু বললেই ব্যবস্থা: প্রধানমন্ত্রী
নবীজীর (স) বিরুদ্ধে কেউ কিছু বললেই ব্যবস্থা নেয়া হবে। কাউকে ছাড় দেয়া হবে না। বললেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
রোববার রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে আয়োজিত ‘শুকরানা মাহফিলে’ তিনি এসব কথা বলেন।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে অনেক অপপ্রচার হয়। কোনও অপপ্রচার বিশ্বাস করবেন না। দ্বীনি শিক্ষার মানুষেরা এদেশে কোনোদিন অবহেলিত হবেন না।
তিনি বলেন, সত্যিকার ইসলামে বিশ্বাসীরা জঙ্গি হয় না।যারা জঙ্গি কর্মকাণ্ডে জড়িয়ে পড়ছে, তারা ইসলামে বিশ্বাস করে না।
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের অবদানের কথা স্মরণ করে ভাষণের প্রথমে তিনি বলেন, এখন টঙ্গিতে যে বিশ্ব ইজতেমা হয় সেটি শেখ মুজিবুর রহমান করেছিলেন। ওআইসির স্বীকৃতি লাভ তার সময়ে হয়েছিল। তিনি কওমি শিক্ষার্থীদের স্বীকৃতি দেওয়ার উদ্যোগ নিয়েছিলেন। কিন্তু জাতির জনক সেটা করে যেতে পারেননি। আওয়ামী লীগ সরকার তার সেই উদ্যোগ বাস্তবায়ন করেছে।
১৯৭৫ সালে আমি পরিবারের সবাইকে হারিয়েছি। ১৯৭৭ সালে যারা ক্ষমতায় এসেছিল তারা কওমির স্বীকৃতি দেওয়ার পথ বন্ধ করে দিয়েছিল। আমি অবাক হয়েছিলাম। কওমী শিক্ষার্থীদের দাঁড়াতে সরকার সব রকম সহায়তা করবে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, এক সময় এই পাক-ভারত উপমহাদেশের মুসলমানদের শিক্ষা গ্রহণের একমাত্র ক্ষেত্রই ছিল এই কওমী মাদ্রাসা। এই কওমী মাদ্রাসার মধ্যদিয়েই মুসলমানদের শিক্ষা গ্রহণের শুরু।
ব্রিটিশ বিরোধী আন্দোলন যারা শুরু করেছিলেন তাদের হাত ধরেই এই কওমী মাদ্রাসার শিক্ষার প্রচলন। যাদের আমরা সবসময় সম্মান করি।
বঙ্গবন্ধু কন্যা বলেন, আমি কোথায় থাকবো, কি খাবো, কিছুই জানি না, কেবল আল্লাহর ওপর ভরসা করেই আমি দেশে চলে এসেছিলাম। আত্মীয়-স্বজনের বাড়িতে কোনরকম কষ্ট করে থেকেছি। আর দেশের জন্য কাজ করার চেষ্টা করেছি। কারণ, আমার বাবা এদেশ স্বাধীন করেছিলেন।
শেখ হাসিনা বলেন, আপনাদের দোয়া চাই সামনে নির্বাচন আছে। আল্লাহ রাব্বুল আলামিন যদি ইচ্ছা করেন তাহলে তিনি নিশ্চয়ই আবার বাংলাদেশের জনগণের খেদমত করাবার সুযোগ আমাকে দেবেন।
আর যদি না দেন আমার কোন আফসোস থাকবে না। কারণ, আমি সবকিছু আল্লাহর ওপরই ছেড়ে দিয়েছি।
এসজে/পি
মন্তব্য করুন