• ঢাকা মঙ্গলবার, ১৬ এপ্রিল ২০২৪, ৩ বৈশাখ ১৪৩১
logo

জনগণের ইচ্ছের বিরুদ্ধে ইভিএম ব্যবহার করছে ইসি: রিজভী

আরটিভি অনলাইন রিপোর্ট

  ২৯ আগস্ট ২০১৮, ১৫:৫১
ফাইল ছবি

বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম-মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী আহমেদ বলেছেন- সরকারের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী জনগণের ইচ্ছের বিরুদ্ধে নির্বাচন কমিশন একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ইভিএম নামে এক বিতর্কিত মাধ্যম ব্যবহারের চিন্তা করছে। নির্বাচনে ইভিএম ব্যবহারের দূরভিসন্ধিমূলক পরিকল্পনা মূলত ইলেকশন ইঞ্জিনিয়ারিং রচনার পটভূমি।

রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আজ বুধবার সকালে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।

রিজভী আহমেদ বলেন- ইভিএম নিয়ে বিশ্বজুড়ে যখন হতাশা ও সমালোচনার ঝড় বইছে, তখন এ ধরনের উদ্যোগ কার ইশারায় এবং কিসের ইঙ্গিতবাহী তা জাতির কাছে সুস্পস্ট।

রিজভী আরও বলেন- একমাত্র সরকারি দল ছাড়া নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে সংলাপে বিভিন্ন রাজনৈতিক দল, সুধীজন, পেশাজীবী সংগঠনগুলোর অধিকাংশই আগামী জাতীয় নির্বাচনে ইভিএম ব্যবহার না করার জন্য মতামত দিয়েছিল। ইসিও দীর্ঘদিন ধরে বলে এসেছে, সব দল না চাইলে ইভিএম ব্যবহার করা হবে না। কিন্তু বেশিরভাগ রাজনৈতিক দল ও শ্রেণি-পেশার মানুষের মতামতকে উপেক্ষা করে তড়িঘড়ি করে আরপিও সংশোধনের মাধ্যমে ইভিএম ব্যবহারের উদ্যোগ ও নানা ষড়যন্ত্রের কথা শোনা যাচ্ছে।

-------------------------------------------------------
আরও পড়ুন : শর্তসাপেক্ষে সমাবেশের মৌখিক অনুমতি পেলো বিএনপি
-------------------------------------------------------

তিনি বলেন-ইভিএমে ভোট জালিয়াতি ও ভোট চুরির অফুরন্ত সুযোগ থাকবে বলেই বাংলাদেশের অবৈধ সরকার নির্বাচন কমিশনকে দিয়ে জাতীয় নির্বাচনের প্রাক্কালে ইভিএম ব্যবহারে ব্যতিব্যস্ত হয়ে পড়েছে। ভোটারবিহীন সরকারের দিক থেকে ভোটাররা মুখ ফিরিয়ে নিয়েছে বলেই এখন ডিজিটাল মেশিন কারচুপির ওপর নির্ভর করছে অবৈধ শাসকগোষ্ঠী।

তিনি আরও বলেন- সরকারের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী নির্বাচন কমিশন কাজ করছে। নির্বাচন কমিশন একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ইভিএম নামে এক বিতর্কিত মাধ্যম ব্যবহারের চিন্তা করছে যা জনগণের ইচ্ছের বিরুদ্ধে। নির্বাচনে ইভিএম ব্যবহারের দূরভিসন্ধিমূলক পরিকল্পনা মূলত ইলেকশন ইঞ্জিনিয়ারিং রচনার পটভূমি। ইভিএম নিয়ে বিশ্বজুড়ে যখন হতাশা ও সমালোচনার ঝড় বইছে, তখন এ ধরনের উদ্যোগ কার ইশারায় এবং কিসের ইঙ্গিতবাহী তা জাতির কাছে সুস্পস্ট।

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে ভারতের ‘ইকোনোমিক টাইমস’ পত্রিকার প্রতিবেদন তুলে ধরে রিজভী দাবি করেন, বিশ্বের ২০০টি দেশের মধ্যে মাত্র চারটি দেশে ইভিএম ব্যবহার করা হয়। সেসব দেশেও ইভিএম ব্যবহার নিয়ে তুমুল সমালোচনা চলছে। উন্নত গণতান্ত্রিক দেশগুলো আজ পর্যন্ত ইভিএমের গ্রহণযোগ্য ব্যবহার ঘটেনি। যেসব অল্প সংখ্যক দেশে ইভিএম আংশিকভাবে ব্যবহার করা হয় সেখানেও ভোট প্রক্রিয়ায় ও ফল নির্ধারণে ভয়াবহ কারচুপির প্রমাণ মিলেছে।

রিজভী আরও দাবি করেন, বিভিন্ন গবেষণা ও অনুসন্ধানী প্রতিবেদন থেকে এটি সুস্পষ্ট যে, ইভিএম সহজে হ্যাক করা যায়। চাইলে এক মুহূর্তের মধ্যে ইভিএমের সব ফলাফল পরিবর্তন করা সম্ভব। ভোটারের সংখ্যা বাড়ানো-কমানো থেকে শুরু করে যেকোনও প্রার্থীর প্রাপ্ত ভোটকেও পাল্টে দেয়া যায়। ইভিএম দিয়ে ভোটারের নাম, বয়স, ঠিকানা, মোবাইল ফোন, পরিবার ইত্যাদিসহ যাবতীয় তথ্য পাওয়া যায়। হুমকি-ভীতি প্রদান থেকে শুরু করে ভোটারের অনুপস্থিতিতে তার নামেও জালভোট দেয়া সম্ভব।

বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম-মহাসচিব অভিযোগ করেন- ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে বিএনপি নেতাকর্মীদের বাড়িতে পুলিশ হানা দিচ্ছে। এমনকি পরিবারের লোকজনের সঙ্গে খারাপ ব্যবহার করছে। সরকার নিজেদের পতন ঠেকাতে আতঙ্ক তৈরি করতেই দেশব্যাপী ধরপাকড় শুরু করেছে।


আরও পড়ুন :

এমসি/পি

মন্তব্য করুন

daraz
  • রাজনীতি এর পাঠক প্রিয়
আরও পড়ুন
জনগণের সেবা করলে ভোট নিয়ে চিন্তা থাকবে না : প্রধানমন্ত্রী
‌‘ইন্ডিয়া আউট যারা বলছে, তারাই জনগণ থেকে আউট হয়ে গেছে’
স্বাধীনতা দিবসে ভারতের শুভেচ্ছা
বিএনপি-জামাতের উদ্দেশ্য জনগণের ওপর অত্যাচার : শেখ পরশ
X
Fresh