ধূমপানে বছরে দেড় লাখ মানুষ মারা যায়: স্বাস্থ্যপ্রতিমন্ত্রী
স্বাস্থ্যপ্রতিমন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেছেন, দেশে প্রতিবছর দেড় লাখ মানুষ তামাকজাত দ্রব্য সেবনে অসুস্থ হয়ে মারা যান। পরোক্ষ ধূমপানে প্রতিবছর অসুস্থ হচ্ছে ১৩ থেকে ১৫ শতাংশ মানুষ। আর ধূমপান আট শতাংশ কমলেও ভায়বহভাবে বেড়েছে ইয়াবা আসক্তি। বর্তমানে দেশে ৬০ থেকে ৭০ লাখ মানুষ ইয়াবা আসক্ত।
আজ বুধবার সচিবালয়ে পরোক্ষ ধূমপানে ক্ষতির বিষয়ে তৈরি নতুন টিভি স্পট ‘বিষধোঁয়া’ক্যাম্পেইনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি এসব তথ্য বলেন।
এসময় অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন স্বাস্থ্য সুরক্ষা বিভাগের সচিব সিরাজুল হক খান, ‘ভাইটাল স্ট্র্যাটেজিস’এর কান্ট্রি অ্যাডভাইজার শফিকুল ইসলাম, মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব হাবিবুর রহমান প্রমুখ।
--------------------------------------------------------
আরও পড়ুন : গুলি করে হত্যার হুমকি: কোটা আন্দোলনকারীর জিডি নেয়নি পুলিশ
--------------------------------------------------------
স্বাস্থ্যপ্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘১৫ থেকে ৬৮ বছর বয়সী ৪৩ দশমিক ৩ শতাংশ মানুষ তামাক সেবন করেন। এই সংখ্যা চার কোটি ৩০ লাখ। এর মধ্যে ৪৫ শতাংশ পুরুষ ও ১ দশমিক ৫ শতাংশ নারী। শুধু তামাক সেবন করেন প্রাপ্তবয়স্ক ২৬ শতাংশ পুরুষ আর নারী ২৮ শতাংশ। দেশে প্রতিবছর ১৩ থেকে ১৫ শতাংশ মানুষ পরোক্ষ ধূমপানের কারণে অসুস্থ হয়।’
স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রী জানান, দেশের ২০ শতাংশ মানুষ এখনও দরিদ্রসীমার নিচে জীবনযাপন করছে। দেশের মানুষ তামাক পরিহার করলে এই দরিদ্রসীমার সংখ্যা একেবারেই কমে যাবে। ইয়াবা মহামারী আকারে দেশে প্রবেশ করছে। যা উদ্ধার হচ্ছে তা প্রবেশ করা ইয়াবার মাত্র ৪ শতাংশ। আমরা ইয়াবা ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেবো।’
স্বাস্থ্যপ্রতিমন্ত্রী আরও বলেন, দেশে মাদকাসক্তদের চিকিৎসার পুর্ণাঙ্গ ব্যবস্থা নেই। আমরা পূর্ণাঙ্গ ব্যবস্থা নেবো। ২০৪০ সালের মধ্যে বাংলাদেশকে আমরা ধূমপানমুক্ত করার ঘোষণা দিয়েছি।
সচিব সিরাজুল হক খান বলেন, ২০০৯ সালের হিসাব অনুযায়ী দেশে প্রাপ্তবয়স্ক ৪৩ শতাংশ মানুষ ধূমপান করেন। তবে ২০১৭ সালের জরিপ অনুযায়ী তা ৩৫ শতাংশে নেমে এসেছে। এই ৮ শতাংশ কমে যাওয়ার তথ্য এখনও প্রকাশ করা হয়নি। আমাকে অনেকেই তথ্য দিয়ে জানিয়েছে, ধূমপান কমে এলেও ইয়াবা আসক্তি বেড়েছে।
আরও পড়ুন :
পি
মন্তব্য করুন