বেগম খালেদা জিয়ার বিদেশ যাত্রা নিয়ে সংবাদ সম্মেলন ডেকেছে বিএনপি
বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া বিদেশে চিকিৎসার উদ্দেশে যাত্রা উপলক্ষে সংবাদ সম্মেলন ডেকেছে দলটি।
বিএনপির গুলশান চেয়ারপারসন কার্যালয়ে সোমবার (৬ জানুয়ারি) দুপুরে এ সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে।
এতে বিএনপি স্থায়ী কমিটির সদস্য অধ্যাপক ডা. এ জেড এম জাহিদ হোসেন বক্তব্য রাখবেন।
এর আগে, রোববার রাতে খালেদা জিয়ার সঙ্গে দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্যরা সাক্ষাৎ করেন। পরে, দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর জানান, উন্নত চিকিৎসার জন্য খালেদা জিয়া আগামী মঙ্গলবার চিকিৎসার উদ্দেশে লন্ডনে যাত্রা করবেন।
তিনি বলেন, গণতন্ত্রের জন্য আমাদের যে সংগ্রাম চলছে, সেই সংগ্রামে তিনি যেন নেতৃত্ব দেন এবং সফল করেন। বাংলাদেশের মানুষেরও সেই প্রত্যাশা।
আরটিভি/আরএ-টি
মন্তব্য করুন
প্রিজন ভ্যান থেকে যা বললেন পলক
আওয়ামী লীগ সরকারের সাবেক তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলককে জুলাই-আগস্টের গণহত্যা ও মানবতাবিরোধী অপরাধে জড়িত থাকার অভিযোগে দায়ের করা এক মামলায় আজ আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে হাজির করা হয়। পরে হাজিরা শেষে তিনি প্রিজন ভ্যানে উঠলে সাংবাদিকরা তাকে প্রশ্ন করেন- কেমন আছেন? জবাবে পলক বলেন, ‘দোয়া করবেন ভাই, বোবা হয়ে আছি, বোবা।’
মঙ্গলবার (১৭ ডিসেম্বর) দুপুরে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের সামনে এ ঘটনা ঘটে।
প্রিজন ভ্যান ছেড়ে যাওয়ার সময় উপস্থিত সাংবাদিকরা সাবেক প্রতিমন্ত্রীকে ফের প্রশ্ন করেন, পলক ভাই কেমন আছেন? এ কথা শোনার পর তাকে মুখে আঙুল দিয়ে কিছুক্ষণ চুপ থাকতে দেখা যায়। পরে ভেন্টিলেটর দিয়ে বাইরে তাকিয়ে তিনি সাংবাদিকদের উদ্দেশে বলেন- ‘আপনারা মুক্ত আছেন তো? আমরা বোবা।’
এ সময় কয়েকজন গণমাধ্যমকর্মী তাকে উদ্দেশ করে বলেন, ‘পলক ভাই, ইন্টারনেট আছে? তবে জবাবে পলক কোনো কথা বলেননি।
তারপর পলকসহ আরও কয়েকজন হেভিওয়েট আসামিকে নিয়ে প্রিজন ভ্যানটি ট্রাইব্যুনাল ছেড়ে চলে যায়।
প্রসঙ্গত, জুলাই-আগস্টের গণহত্যা ও মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে গ্রেপ্তার পতিত আওয়ামী লীগ সরকারের সাবেক ১২ মন্ত্রীসহ ১৬ আসামিকে আজ আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে হাজির করা হয়।
এই ১৬ জনের মধ্যে ৯ মন্ত্রী ও প্রতিমন্ত্রীসহ ১৩ জনকে গত ১৮ নভেম্বর ট্রাইব্যুনালে হাজির করা হয়। প্রসিকিউশনের আবেদন মঞ্জুর করে ওই দিন ১৩ জনকে কারাগারে পাঠান চেয়ারম্যান বিচারপতি মো. গোলাম মর্তূজা মজুমদারের নেতৃত্বে তিন সদস্যের আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল।
সেদিন চিফ প্রসিকিউটর ট্রাইব্যুনালের কাছে আসামিদের বিরুদ্ধে সব প্রমাণ জমা দেওয়ার জন্য দুই মাসের সময় চাওয়া হয়। তবে আদালত এক মাস সময় দেন। সে অনুযায়ী আসামিদের বিষয়ে তদন্তের অগ্রগতি প্রতিবেদন দাখিলের দিন ছিল আজ।
আরটিভি/আইএম/এআর
বিএনপিকে যে আহ্বান জানাল বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন
বিএনপি এবং তার অঙ্গ সংগঠনগুলোকে শান্তিপূর্ণ অবস্থানের আহ্বান জানিয়েছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন।
মঙ্গলবার (১৭ ডিসেম্বর) রাতে সংগঠনটির মুখপাত্র উমামা ফাতেমার পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ আহ্বান জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গত ১৫ ডিসেম্বর চাঁদপুরে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন আয়োজিত বিক্ষোভ ও সংহতি সমাবেশে চাঁদাবাজি ও নৈরাজ্যের বিরুদ্ধে অবস্থান স্পষ্ট করেন গণঅভ্যুত্থানের আহত যোদ্ধা আ. হাই লাভলু। চাঁদাবাজির বিরুদ্ধে জোরালো অবস্থান ব্যক্ত করায় সমাবেশ পরবর্তী সময়ে চাঁদপুর পৌর যুবদলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক কামরুল ইসলাম সোহান ও তার সঙ্গীরা আ. হাই লাভলু এবং তার ভাইয়ের ওপর হামলা চালিয়ে গুরুতর জখম করে। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন এ হামলার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানায়।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, গণঅভ্যুত্থান পরবর্তী বাংলাদেশে এমন হামলা ও আক্রমণের ঘটনা অপ্রত্যাশিত। বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল এবং তাদের অঙ্গ সংগঠনসমূহ গণঅভ্যুত্থানের অন্যতম অংশীজন। কিন্তু, অভ্যুত্থান পরবর্তী রাষ্ট্রগঠনকালীন সময়ে গণঅভ্যুত্থানেরই আহত যোদ্ধার ওপর যুবদল নেতা এবং তার সঙ্গীদের হামলার ঘটনা দুঃখজনক।
এ ঘটনায় ভুক্তভোগী থানায় একটি মামলা করলেও মূল অপরাধীদের এখনও গ্রেপ্তার করা হয়নি। অতি দ্রুত অপরাধীদের গ্রেপ্তার করে শাস্তির আওতায় আনার জোর দাবি বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের।
আরটিভি/এসএইচএম
প্রতিশোধ নিলেন না, উদারতা দেখালেন ইঞ্জিনিয়ার ইশরাক
উদারতা ও মহানুভবতার পরিচয় দিয়েছেন বিএনপির আর্ন্তজাতিকবিষয়ক কমিটির সদস্য ও ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির সিনিয়র সদস্য ইঞ্জিনিয়ার ইশরাক হোসেন। নিজের ওপর হামলার প্রতিশোধ না নিয়ে উল্টো হামলাকারীকে ক্ষমা করে দিয়েছেন। সেই সঙ্গে শিক্ষার্থীদের অনুরোধে নিজের করা মামলার এজহারভুক্ত আসামিকে আটকের পর ছেড়ে দেওয়ারও ব্যবস্থা করে দিয়েছেন তিনি।
মঙ্গলবার (১৭ ডিসেম্বর) রাতে রাজধানীর কোতোয়ালী থানায় এই ঘটনা ঘটে।
জানা গেছে, ২০২২ সালের ডিসেম্বর ৪ বিএনপির ঢাকা বিভাগীয় মহাসমাবেশকে ঘিরে পুরান ঢাকায় জনসংযোগ চালানো অবস্থায় জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের সামনে ছাত্রলীগের হামলার শিকার হন ইশরাক হোসেন। পুলিশ মামলা না নিলেও পরবর্তীতে সেই ঘটনায় আদালতে মামলা করেন তিনি। তাতে এজহারভুক্ত আসামি হিসেবে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ৪র্থ বর্ষের শিক্ষার্থী মাইনুদ্দীনকে শনাক্ত করেন সাধারণ শিক্ষার্থীরা। পরে মঙ্গলবার রাতে তাকে ধরে নিয়ে রাজধানীর কোতোওয়ালী থানায় সোপর্দ করেন বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদল নেতারা। আটকের খবরে মাইনুদ্দীনের আইন বিভাগের বন্ধুরা বিএনপি নেতা ইশরাক হোসেনের সঙ্গে দেখা করতে তার বাসায় যান। সে সময় তিনি বাসায় না থাকায় রাতেই কোতোয়ালী থানার সামনে জড়ো হন শিক্ষার্থীরা। সেখান থেকে ইশরাক হোসেনের সঙ্গে ভিডিও কলে কথা হলে তারা বন্ধুকে মাফ করে দিয়ে থানা থেকে ছাড়ানোর দাবি জানান। হামলার ঘটনায় ভুল করেছে উল্লেখ তার কাছে ক্ষমাও চান অভিযুক্ত মাইনুদ্দীনসহ তার বন্ধুরা। একই সঙ্গে ছাত্র-জনতার আন্দোলনে তাদের জোরালো ভূমিকার কথাও উল্লেখ করেন। শিক্ষার্থীদের অনুরোধে ইশরাক তাদের দাবি মেনে নিয়ে অভিযুক্ত মাইনুদ্দীনকে ছেড়ে দেওয়ার অনুরোধ জানান। রাত পৌনে ৩টায় তাকে থানা থেকে ছেড়ে দেয় পুলিশ।
এ বিষয়ে ইশরাক হোসেন বলেন, ‘২০২২ সালে আমার ওপর যে ন্যাক্কারজনক হামলা করেছিল ছাত্রলীগ। সেখানে আমার গাড়ি ভাঙচুর করেছিল তারা। আমিসহ বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের বেশ কয়েকজন নেতা-কর্মী মারাত্মকভাবে আহত হয়েছিলেন। সে সময়কার ঘটনার জন্য ওরা দুঃখ প্রকাশ করেছে। ঘটনায় ভুল করে এবং অনেকটা বাধ্য হয়েই অংশ নিয়েছিলেন জানিয়ে এজন্য ক্ষমাও চান অভিযুক্ত ওই ছেলেটি। ছাত্র আন্দোলনে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে তার ভূমিকার কথা বিবেচনা করেছি।’
তবে ছাত্রলীগ নিয়ে তার অবস্থান কঠোর বলেও জানান ইশরাক হোসেন।
এ বিষয়ে কোতোয়ালী থানার ওসি তদন্ত নাসির উদ্দির বলেন, ‘শিক্ষার্থীদের অনুরোধে ইশরাক হোসেন আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলে নেন। একই সঙ্গে তাকে ছেড়ে দেওয়ার অনুরোধও করেন। বাদীর অনুরোধে আসামিকে রাতেই ছেড়ে দিয়েছি।’
আরটিভি/এসএপি
নির্বাচন নিয়ে প্রধান উপদেষ্টার বক্তব্যে হতাশ বিএনপি
নির্বাচন নিয়ে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস বক্তব্যে বিএনপি হতাশ বলে জানিয়েছেন দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
বৃহস্পতিবার (১৯ ডিসেম্বর) সকালে রাজধানীর গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন।
মির্জা ফখরুল বলেন, নির্বাচন নিয়ে সরকার যে সময় নিচ্ছে বিএনপি সেটিকে যৌক্তিক মনে করে না। নির্বাচন কমিশন গঠন হয়েছে, এখন নির্বাচনের রোডম্যাপের কোনো বাঁধা নেই। নির্বাচন সংক্রান্ত প্রয়োজনীয় সংস্কার শেষ করেই দ্রুত নির্বাচন দেওয়া যেতে পারে।
গতকাল বুধবার হওয়া বিএনপির স্থায়ী কমিটির সভা প্রসঙ্গ টেনে তিনি বলেন, নির্বাচন নিয়ে সবাই মনে করে ড. ইউনূসের বক্তব্য অস্পষ্ট। কোনো সুনির্দিষ্ট বক্তব্য রাখা হয়নি।
বিএনপির মহাসচিব আরও বলেন, বিজয় দিবসে দেওয়া জাতির উদ্দেশে ভাষণে ২০২৫ সালের ডিসেম্বর অথবা ২০২৬-এর প্রথমার্ধে নির্বাচন করার কথা বলেছেন প্রধান উপদেষ্টা যা একেবারে অস্পষ্ট। সুনির্দিষ্ট সময়ের উল্লেখ নেই। আবার প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব বলেছেন ২০২৬ সালের জুনের কথা যা পরস্পরবিরোধী। বিভ্রান্তি সৃষ্টি করবে।
সোমবার মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে জাতির উদ্দেশে দেওয়া ভাষণে প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস বলেন, মোটাদাগে বলা যায়, ২০২৫ সালের শেষ দিক থেকে ২০২৬ সালের প্রথমার্ধের মধ্যে নির্বাচনের সময় নির্ধারণ করা যায়।
তিনি বলেন, আমি সকল প্রধান সংস্কারগুলো সম্পন্ন করে নির্বাচন আয়োজন করার ব্যাপারে বারবার আপনাদের কাছে আবেদন জানিয়ে এসেছি। তবে রাজনৈতিক ঐকমত্যের কারণে আমাদের যদি, আবার বলছি ‘যদি’, অল্প কিছু সংস্কার করে ভোটারতালিকা নির্ভুলভাবে তৈরি করার ভিত্তিতে নির্বাচন সম্পন্ন করতে হয় তাহলে ২০২৫ সালের শেষের দিকে নির্বাচন অনুষ্ঠান হয়তো সম্ভব হবে। আর যদি এরসঙ্গে নির্বাচন প্রক্রিয়া এবং নির্বাচন সংস্কার কমিশনের সুপারিশের পরিপ্রেক্ষিতে এবং জাতীয় ঐকমত্যের ভিত্তিতে প্রত্যাশিত মাত্রার সংস্কার যোগ করি তাহলে অন্তত আরও ছয় মাস অতিরিক্ত সময় লাগতে পারে।
এদিকে মঙ্গলবার সন্ধ্যায় ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে নিয়মিত প্রেস ব্রিফিংকালে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম বলেন, প্রধান উপদেষ্টা ঘোষিত রোডম্যাপ অনুযায়ী আগামী সাধারণ নির্বাচন ২০২৬ সালের ৩০ জুনের মধ্যে অনুষ্ঠিত হবে।
তিনি বলেন, প্রধান উপদেষ্টা নির্বাচনের একটি সুস্পষ্ট রোডম্যাপ ঘোষণা করেছেন। যা থেকে এটি স্পষ্ট যে, ২০২৬ সালের ৩০ জুনের মধ্যে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। এখন নির্বাচনের নির্দিষ্ট সময় ও তারিখ নির্ধারণ করার দায়িত্ব নির্বাচন কমিশনের।
আরটিভি/একে-টি
যে কারণে ড. ইউনূসকে ধন্যবাদ জানালেন মির্জা ফখরুল
ক্ষুদ্রঋণ কার্যক্রম নিয়ে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. ইউনূসকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
ঠাকুরগাঁওয়ে ইকো সোশ্যাল ডেভেলপমেন্ট অর্গানাইজেশনের (ইএসডিও) ৩৬তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উপলক্ষে শুক্রবার (২০ ডিসেম্বর) দুপুরে এক সভায় ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে তিনি এ ধন্যবাদ জানান।
মির্জা ফখরুল বলেন, বর্তমানে দেশে তৃণমূল পর্যায়ে আর্থ সামাজিক যে অবস্থা—এতে ক্ষুদ্রঋণের ভূমিকা অপরিসীম। আর এটি অনেক আগেই ড. ইউনূস শুরু করেছেন। সে জন্য আমি তাকে ধন্যবাদ জানাতে চাই।
তিনি বলেন, তৃণমূল পর্যায়ে যে গরিব-অসহায় মানুষ ব্যাংক থেকে সহায়তা পান না, তারা এনজিওর মাধ্যমে অর্থনীতির উন্নয়ন ঘটিয়েছেন।
বিএনপির এই নেতা বলেন, ক্ষুদ্রঋণের যে মুভমেন্ট তা দিয়ে বাংলাদেশের অর্থনীতির পরিবর্তন শুরু হয়েছে। এই পুঁজির কারণেই বাংলাদেশের অর্থনীতি একটি জায়গায় পৌঁছেছে।
মির্জা ফখরুল বলেন, তৃণমূল থেকে আমার উঠে আসা। আমার ক্ষুদ্র অভিজ্ঞতায় যা দেখেছি তা উপলব্ধি করি দেশের প্রত্যেকটি এনজিও তাদের জায়গা থেকে দেশের উন্নয়নে কাজ করছে। এই কাজগুলো সমন্বয় করে মূল অর্থনীতির ধারায় প্রসারিত করা গেলে অবশ্যই অর্থনীতির পরিবর্তন ঘটবে।
অনুষ্ঠানে স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের সচিব সাইদুর রহমান, পল্লী কর্ম সহায়ক ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান জাকির আহমেদ খান, এনজিও বিষয়ক ব্যুরোর ভারপ্রাপ্ত মহাপরিচালক আনোয়ার হোসেন, বিভিন্ন দাতা সংস্থার প্রতিনিধি ও ইএসডিওর কর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
আরটিভি/আরএ/এআর
২৯ ডিসেম্বর লন্ডন যাচ্ছেন খালেদা জিয়া
চিকিৎসার জন্য আগামী ২৯ ডিসেম্বর লন্ডনের উদ্দেশ্যে ঢাকা ত্যাগ করবেন বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া।
রোববার (২২ ডিসেম্বর) রাতে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘আশা করছি সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে ২৯ ডিসেম্বর তিনি লন্ডনে যাবেন। ম্যাডামের সঙ্গে তার চার-পাঁচজন চিকিৎসক যাবেন। ইতোমধ্যে প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে।’
জানা গেছে, শারীরিকভাবে নতুন কোনো সমস্যা উদয় না হলে ২৯ ডিসেম্বর (রোববার) দিনের বেলায় কোনো এক ফ্লাইটে লন্ডনের উদ্দেশ্যে ঢাকা ত্যাগ করবেন খালেদা জিয়া। বিএনপির চেয়ারপারসনের সঙ্গে সফরকারীদের মধ্যে রয়েছেন মেডিক্যাল বোর্ডের সদস্য ডা. শাহাবউদ্দিন, ব্যক্তিগত চিকিৎসক ডা. এ জেড এম জাহিদ হোসেনসহ কয়েকজন।
এর আগে, গত ২৯ অক্টোবর অধ্যাপক জাহিদ হোসেন জানিয়েছিলেন, ‘উন্নত চিকিৎসার জন্য খালেদা জিয়াকে প্রথমে ‘লং ডিসটেন্স স্পেশালাইজড এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে লন্ডনে নিয়ে যাওয়া হবে। এরপর সেখান থেকে তাকে তৃতীয় একটি দেশে মাল্টিডিসিপ্ল্যানারি মেডিক্যাল সেন্টারে নেওয়া হবে।’
আরটিভি/এসএপি-টি
সচিবালয়ে আগুন, ফেসবুকে যা লিখলেন ইঞ্জিনিয়ার ইশরাক
দেশের প্রশাসনিক প্রাণকেন্দ্র সচিবালয়ের ৭ নম্বর ভবনে মধ্যরাতে আগুন লাগার ঘটনা ঘটে। পরে ফায়ার সার্ভিস কর্মীদের অক্লান্ত প্রচেষ্টায় আজ সকালে তা নিয়ন্ত্রণে আসে। এ ঘটনায় বিএনপির আন্তর্জাতিক বিষয়ক কমিটির সদস্য ইঞ্জিনিয়ার ইশরাক হোসেন নিজের প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছেন।
বৃহস্পতিবার (২৬ ডিসেম্বর) সকালে নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে এক স্ট্যাটাসের মাধ্যমে তিনি এ প্রতিক্রিয়া জানান।
ইশরাক হোসেন লিখেছেন, জ্বলছে সচিবালয়। হাসিনা পরিবার ও তার দোসরদের দুর্নীতির নথিপত্র ধ্বংস করার জন্যে কি এই পরিকল্পিত অগ্নিকাণ্ড?
তিনি লিখেছেন, দৈনিক সমকাল থেকে পাওয়া খবরের অংশ দেখাচ্ছে, মেগা দুর্নীতির মন্ত্রণালয়ের অফিস পুড়ে গেছে। যতদিন যাবে সংকট আরও গভীর হবে। তাই আমরা নির্বাচনের কথা বার বার বলছি। রাজনৈতিক সরকার ছাড়া আওয়ামী ও বিদেশি ষড়যন্ত্র মোকাবিলা সম্ভব না।
বিএনপির আন্তর্জাতিক বিষয়ক কমিটির এই সদস্য লিখেছেন, নির্বাচন শব্দটি শুনলেই যারা মহাবিরক্ত হোন, দয়া করে বোঝেন। বিএনপি অভিজ্ঞতা থেকেই দেশ রক্ষার্থে পরামর্শ দিচ্ছে। অন্য কাউকে বিশ্বাস না করলেও তারেক রহমানের ওপর ভরসা করুন।
স্ট্যাটাসে দৈনিক সমকালের উদ্ধৃতি দিয়ে ইশরাক হোসেন আরও লিখেছেন, সচিবালয়ের ৭ নম্বর ভবনে বেশ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রণালয়সহ বিভাগের অফিস রয়েছে। এই ভবনে রয়েছে- পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়; যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়; ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্য প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়; ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগ; স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়, স্থানীয় সরকার বিভাগ, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় বিভাগ; শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়; অর্থ মন্ত্রণালয়, অর্থ বিভাগ, আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগ, অভ্যন্তরীণ সম্পদ বিভাগ; সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়, সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগ।
এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত স্ট্যাটাসটিতে দেড় হাজারেরও বেশি পাঠক মন্তব্য করেছেন।
ফরহাদ হোসেন নামে একজন লিখেছেন, নির্বাচিত একটি সরকারই পারে দেশকে স্থিতিশীল অবস্থায় ফিরিয়ে আনতে। কারণ, দেশের ভেতরে ও বাইরে ষড়যন্ত্র চলছে। অভিজ্ঞতাসম্পন্ন রাজনৈতিক দলগুলোই পারবে এসব ষড়যন্ত্র রুখে দিয়ে দেশকে এগিয়ে নিতে।
আহসান আহমেদ ফকির লিখেছেন, ১০০% পরিকল্পিত।
আবু তালহা লিখেছেন, আগুন লাগলো কিভাবে সেটা আমার প্রশ্ন।
মোহাম্মদ লাবু ইসলাম নামে আরেকজন লিখেছেন, সচিবালয়ের মতো একটি গুরুত্বপূর্ণ জায়গায় আগুন তো আর উড়ে এসে লাগেনি, এটা গভীর ষড়যন্ত্রের অংশ মাত্র।
আরটিভি/আইএম