ভুয়া বিজ্ঞপ্তি নিয়ে রিজভীর বিবৃতি
ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়া ভুয়া বিজ্ঞপ্তি নিয়ে বিবৃতি দিয়েছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী।
সোমবার (১১ নভেম্বর) গণমাধ্যমে পাঠানো বিবৃতিতে বলা হয়, আমি বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী এ মর্মে দলের সকল পর্যায়ের নেতাকর্মীদের জ্ঞাতার্থে জানাচ্ছি যে, কোনো স্বার্থান্বেষী কুচক্রী মহল আমার সই জাল করে ফেসবুকে একটি প্রেস বিজ্ঞপ্তি পোস্ট করে।
রিজভী বলেন, পোস্টকৃত প্রেস বিজ্ঞপ্তিটি মিথ্যা, বানোয়াট ও অসৎ উদ্দেশ্যপ্রণোদিত।
বিবৃতিতে তিনি আরও বলেন, বিজ্ঞপ্তিটি আমার স্বাক্ষরে বিএনপির দপ্তর থেকে গণমাধ্যমে পাঠানো হয়নি। এটি বানোয়াট ও ভুয়া।
এ বিষয়ে দলের সব পর্যায়ের নেতাকর্মীকে বিভ্রান্ত না হওয়ারও অনুরোধ জানান বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব।
আরটিভি/আইএম/এসএ
মন্তব্য করুন
ইসি গঠনে সার্চ কমিটির কাছে ৫ নাম প্রস্তাব বিএনপির
নতুন নির্বাচন কমিশন (ইসি) গঠনে সার্চ কমিটির কাছে ৫ জনের নাম প্রস্তাব করেছে বিএনপি।
বুধবার (৬ নভেম্বর) দুপুরে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সচিবের কাছে এই নামের তালিকা জমা দেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমেদ ও যুগ্ম মহাসচিব শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানি। পরে বিএনপির মিডিয়া সেলের সদস্য শায়রুল কবির খান গণমাধ্যমকে এ তথ্য জানান।
তিনি বলেন, সচিবালয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিবের কাছে বিএনপির দুই সদস্যের প্রতিনিধি দল মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের গোপন চিঠি পৌঁছে দিয়েছেন।
বিএনপি সূত্রে জানা গেছে, বিএনপির প্রস্তাবিত তালিকায় সাবেক বিচারপতি, সাবেক আমলা ও সাবেক সেনা কর্মকর্তার পাশাপাশি একজন নারীর নামও রয়েছে।
এদিকে, একই দিনে ১২ দলীয় জোটের পক্ষ থেকে ৫ সদস্যের নামের তালিকা জমা দেওয়া হয়েছে। বিকেলে বাংলাদেশ এলডিপির চেয়ারম্যান শাহাদাত হোসেন সেলিম ও বাংলাদেশ জাতীয় দলের চেয়ারম্যান সৈয়দ এহসানুল হুদা মন্ত্রী পরিষদ বিভাগের সচিবের কাছে নির্বাচন কমিশনার হিসাবে ৫ জনের নাম জমা দেন।
এর আগে, গত রোববার নতুন নির্বাচন কমিশন (ইসি) গঠনে নাম চেয়ে এ বিষয়ে বিজ্ঞপ্তি জারি করে সার্চ কমিটি।
এতে বলা হয়, প্রধান নির্বাচন কমিশনার ও অন্যান্য নির্বাচন কমিশনার নিয়োগ আইন, ২০২২ অনুযায়ী প্রধান নির্বাচন কমিশনার ও অন্যান্য নির্বাচন কমিশনারদের নিয়োগ দেওয়ার জন্য যোগ্যতাসম্পন্ন ব্যক্তিদের নাম প্রেসিডেন্টের কাছে সুপারিশ করার লক্ষ্যে গঠিত অনুসন্ধান কমিটি আগ্রহী ব্যক্তিদের নাম আহ্বান করছে।
রাজনৈতিক দল ও পেশাজীবী সংগঠনগুলো আগামী ৭ নভেম্বর বিকেল ৫টার মধ্যে প্রধান নির্বাচন কমিশনার ও অন্যান্য নির্বাচন কমিশনার পদে সুপারিশ করার জন্য অনধিক ৫ জনের নাম প্রস্তাব করতে পারবে। ব্যক্তিগত পর্যায়েও আগ্রহী ব্যক্তিরা তাঁদের নিজ নিজ নাম প্রস্তাব করতে পারবেন।
আরটিভি/আইএম
খাঁচায় বন্দি হয়ে আসলেন শেখ হাসিনা
জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস উপলক্ষে বিএনপির ১০ দিনের কর্মসূচির অংশ হিসাবে রাজধানীতে শোভাযাত্রা শুরু করেছে দলটি। এতে খাঁচায় বন্দি অবস্থায় প্রতীকী শেখ হাসিনাকে প্রদর্শন করেছেন বিএনপির নেতাকর্মীরা।
শুক্রবার (৮ নভেম্বর) বিকেলে বিএনপির শোভাযাত্রায় এই খাঁচাটি দেখা গেছে। এরই মধ্যে এ সম্পর্কিত একটি ভিডিও সামাজিক মাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে।
ভিডিওতে দেখা গেছে, চোখে আছে কালো চশমা, টিয়া রঙের শাড়ি ও সাদা ব্লাউজ পরিয়ে রাজধানীর এই শোভাযাত্রায় দেশের সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে খাচার ভিতরে ভরে প্রদর্শন করছেন বিএনপির কর্মী সমর্থকরা। র্যালিতে উপস্থিত নেতাকর্মীরা সেই খাঁচা ঘিরে উপহাস করছেন।
জানা গেছে, এদিন বিকেলে শোভাযাত্রাটি নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে থেকে শুরু হবে। এটি কাকরাইল মোড়, কাকরাইল মসজিদ, মৎস্যভবন, ইঞ্জিনিয়ারিং ইনস্টিটিউট, শাহবাগ, হোটেল শেরাটন, বাংলামোটর, কারওয়ান বাজার, ফার্মগেট হয়ে মানিক মিয়া এভিনিউতে গিয়ে শেষ হবে। শুধু ঢাকা মহানগরীই নয়, আশপাশের জেলা থেকেও নেতাকর্মীরা যোগ দিচ্ছেন দলটির ওই শোভাযাত্রায়।
এরই মধ্যে কেন্দ্রীয় নেতারা বক্তব্য দেওয়া শুরু করেছেন। বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান এ কর্মসূচির উদ্বোধন করেছেন।
আরটিভি/এসএপি
সুইজারল্যান্ডে আসিফ নজরুলকে হেনস্তা, যা বললেন তারেক রহমান
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বলেছেন, অন্তর্বর্তী সরকারের আইন উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুলের সঙ্গে সুইজারল্যান্ডের জেনেভা বিমানবন্দরে আওয়ামী লীগ সমর্থিত কতিপয় ব্যক্তির অসৌজন্যমূলক আচরণ শুধু অনভিপ্রেতই নয়, দেশ ও জনগণের আত্মমর্যাদার ওপর প্রচণ্ড আঘাত।
শুক্রবার (৮ নভেম্বর) এক বিবৃতিতে এসব কথা বলেন তিনি।
তারেক রহমান বলেন, ‘বৃহস্পতিবার স্থানীয় সময় সন্ধ্যায় ফ্রান্সে যাওয়ার পথে সুইজারল্যান্ডের জেনেভা এয়ারপোর্টের সামনে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের আইন উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুলের সঙ্গে কতিপয় আওয়ামী দুষ্কৃতকারী উদ্ধত আচরণ করে। বিদেশের মাটিতে নিজ দেশের সরকারের একজন উপদেষ্টার সঙ্গে এহেন শিষ্টাচারবহির্ভূত আচরণ শুধু অনভিপ্রেতই নয়, বরং দেশ ও জনগণের আত্মমর্যাদার ওপর প্রচণ্ড আঘাত।’
তিনি বলেন, ‘ফ্যাসিবাদের হিংস্ররূপ এখনও দেশ-বিদেশের অনেক স্থানে মাথাচাড়া দিয়ে উঠছে। প্রবাসে আওয়ামী নেতাকর্মীরাও শেখ হাসিনার ফ্যাসিবাদের অভয়ব ধারণ করে সুযোগ পেলেই গণতান্ত্রিক শক্তির ওপর আক্রমণ চালাচ্ছে। আইন উপদেষ্টার সঙ্গে তাদের উচ্ছৃঙ্খল আচরণে আবারও প্রমাণিত হলো: এরা বিশৃঙ্খলা, হানাহানি, বিভাজন, সংকীর্ণতা, অনৈক্য, রাষ্ট্রীয় অর্থনীতির হরিলুট এবং বিপুল অঙ্কের অর্থ পাচারসহ অসৎ অনাচারের মাধ্যমে কর্তৃত্ববাদী শেখ হাসিনার হত্যা ও গুমের রাজনীতির বিশ্বাস থেকে সরে আসেনি। এরা গণতন্ত্র স্বীকৃত মানবাধিকার, আইনের শাসন, বিচার বিভাগের স্বাধীনতা ও জনগণের নাগরিক স্বাধীনতায় বিশ্বাসী নয়।’
তিনি আরও বলেন, ‘গণতন্ত্রের সঙ্গে শত্রুতা আওয়ামী লীগের চিরদিনের বৈশিষ্ট্য। রক্তাক্ত পন্থায় ছাত্র-জনতার আন্দোলনকে পরাজিত করতে না পেরে দেশ ছেড়ে চলে যাওয়ায় শেখ হাসিনার ক্রোধ যেমন থামছে না, তেমনি দেশ-বিদেশে তার সমর্থকরাও প্রচণ্ড হতাশা নিয়ে সুযোগ পেলেই গণতন্ত্রকামী মানুষকে হত্যা করছে বা শারীরিকভাবে আঘাতসহ নানাভাবে হয়রানির কর্মসূচি চালিয়ে যাচ্ছে। সুইজারল্যান্ডের জেনেভা এয়ারপোর্টের সামনে ড. আসিফ নজরুলের সঙ্গে অশোভন আচরণ শেখ হাসিনার তৈরি করা সেই দুঃশাসনেরই অভিব্যক্তি।’
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান বলেন, ‘পতিত শেখ হাসিনা দেশের রাজনীতিকে জটিল করে তুলতে বাইরে থেকে সব ধরনের প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। আওয়ামী লুটপাটের সুবিধাভোগীরা বিদেশে গভীর চক্রান্তে মেতে উঠেছে। গণতন্ত্রের সপক্ষের ব্যক্তিদের হেনস্তা করাসহ বাংলাদেশের ভেতরেও অন্তর্ঘাত সৃষ্টির গভীর চক্রান্তজাল বুনে যাচ্ছে। লুটপাটের স্বর্গরাজ্য পুনরুদ্ধারের জন্য উদ্গ্রীব ফ্যাসিবাদের দোসররা দেশ-বিদেশে নানা এজেন্ডা নিয়ে কাজ করছে।’
তিনি বলেন, ‘আওয়ামী লীগ বরাবরই ক্ষমতার নেশায় আচ্ছন্ন, অপরাধপ্রবণ রাজনৈতিক দল। ক্ষমতা হারানোর মনোবেদনায় এরা দিশেহারা হয়ে পড়েছে। এরা মতপ্রকাশের স্বাধীনতা বিশ্বাস করে না বলেই সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড বেছে নেয়। আত্মপ্রত্যয়হীন, যুক্তিবিমুখ, মানবতাবিরোধী আওয়ামী ফ্যাসিবাদের সন্ত্রাসী দোসরদের চিহ্নিত করে রাখতে হবে। এদের আইনের আওতায় এনে উপযুক্ত শাস্তির ব্যবস্থা করতে হবে।’
তিনি বলেন, ‘বিদেশে গণতন্ত্রকামী প্রবাসী বাংলাদেশিরা ফ্যাসিবাদী দোসরদের বিষয়ে সংশ্লিষ্ট দেশের আইন ও বিচার বিভাগকে অবহিত করতে হবে। বাংলাদেশে আওয়ামী দৈত্যকে জনগণই বোতলবন্দি করেছে। আন্তর্জাতিক পরিসরে এসব আওয়ামী কুচক্রীকে বিচারের আওতার মধ্যে আনতে ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করতে হবে। আমি আসিফ নজরুলের সঙ্গে ফ্যাসিস্ট দোসরদের অসৌজন্যমূলক আচরণের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি।’
প্রসঙ্গত, আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থার (আইএলও) গভর্নিং বডির মিটিং যোগ দিতে সুইজারল্যান্ডের জেনেভায় যান অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক উপদেষ্টা অধ্যাপক আসিফ নজরুল। বৃহস্পতিবার (৭ নভেম্বর) দেশে ফিরছিলেন তিনি। উপদেষ্টা গাড়ি থেকে বিমানবন্দরে নামার পর কয়েকজন লোক এসে তাকে ঘিরে ধরেন। তাদের মধ্যে আওয়ামী লীগের সুইজারল্যান্ড শাখার সভাপতি নজরুল ইসলাম জমাদার ও সাধারণ সম্পাদক শ্যামল খান ছিলেন। জেনেভা বিমানবন্দরে প্রবেশের আগ পর্যন্ত উপদেষ্টাকে বিরক্ত ও হেনস্তা করেন তারা। তখন তারা জয়বাংলা, জয়বন্ধু শ্লোগানও দেন।
আরটিভি/এসএপি
আমু গ্রেপ্তারের পর আলোচনায় পালিত মেয়ে, কে এই সুমাইয়া
হত্যা মামলায় আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য ও সাবেক মন্ত্রী আমির হোসেন আমুকে বৃহস্পতিবার (৭ নভেম্বর) ৬ দিনের রিমান্ডে পাঠিয়েছেন আদালত। এরই মধ্যে আলোচনায় উঠে এসেছে তার পালিত মেয়ে সুমাইয়া হোসেন।
জানা গেছে, অনেক বছর আগে শ্যালিকা মেরী আক্তারের মেয়ে সুমাইয়া হোসেনকে দত্তক নেন নিঃসন্তান আমির হোসেন আমু। সুমাইয়ার আসল পিতা কিরন। তিনি সর্বশেষ শিল্পমন্ত্রী নূরুল মজিদ হুমায়ুনের আপন ছোট ভাই ও শিল্পমন্ত্রী থাকাকালে আমুর এপিএস ছিলেন।
স্থানীয় আওয়ামী লীগের নেতারা জানিয়েছেন, নরসিংদীতে বাড়ি হলেও কিরন থাকতেন আমির হোসেন আমুর নির্বাচনী এলাকা ঝালকাঠিতে। সেখানে শুধু সম্পদ ভাণ্ডারের দেখাশোনা আর পার্সেন্টেজ আদায় নয়, নির্বাচনী এলাকায় আমুর রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডও দেখাশোনা করতেন তিনি। কিরনের মাধ্যমেই নির্বাচনি এলাকা থেকে অবৈধ পথে শত শত কোটি টাকা আয় করেছেন আমু।
যার প্রায় পুরোটাই এখন দুবাইতে আমুর পালিত মেয়ে সুমাইয়ার কাছে। হুন্ডির মাধ্যমে তার কাছে শতকোটি টাকা পাঠয়েছেন আমু। দুবাইয়ে বসবাসকারী সুমাইয়া সেখানে বাংলাদেশি ব্যবসায়ীকে বিয়ে করেছেন।
আরটিভি/এসএপি/এআর
রোববার ঢাবিতে ছাত্রদলের কর্মসূচি
তিন দফা দাবিতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে (ঢাবি) প্রতিবাদ মিছিল ও অবস্থান কর্মসূচি করবে ঢাবি ছাত্রদল।
রোববার (১০ নভেম্বর) দুপুর ১টায় মিছিলটি কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার প্রাঙ্গণ থেকে শুরু হয়ে পুরো ক্যাম্পাস প্রদক্ষিণ করে সন্ত্রাসবিরোধী রাজু ভাষ্কর্যে অবস্থান কর্মসূচির মাধ্যমে শেষ হবে।
শনিবার (৯ নভেম্বর) সন্ধ্যায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রদলের সভাপতি গণেশ চন্দ্র রায় সাহস ও সাধারণ সম্পাদক নাহিদুজ্জামান শিপনের সই করা এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
ছাত্রদলের তিন দফা দাবি
১. বিদেশের মাটিতে ড. আসিফ নজরুলের ওপর বিদেশের মাটিতে হামলা ও হেনস্তা করার অপচেষ্টাকারী বিদেশে পলাতক ফ্যাসিবাদী আওয়ামী দুষ্কৃতকারীদের দ্রুত আইনের আওতায় নিয়ে আসা।
২. বিগত ১৫ বছর ধরে সাধারণ শিক্ষার্থীদের ওপর নির্যাতনকারী ও ছাত্র রাজনীতিকে কলুষিত করা নিষিদ্ধ সংগঠন ছাত্রলীগের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট অপরাধীদের দ্রুত গ্রেপ্তার ও বিচারের আওতায় নিয়ে আসা।
৩. আওয়ামী সরকারের আমলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে সাধারণ শিক্ষার্থীদের ওপর ছাত্রলীগের সন্ত্রাসীদের নৃশংস হামলার ঘটনায় দায়েরকৃত মামলার আসামীদের দ্রুত গ্রেপ্তার ও বিচারের আওতায় আনা।
উপরোক্ত দাবিসমূহ আদায়ের লক্ষ্যে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল প্রতিবাদ মিছিল ও অবস্থান কর্মসূচির আয়োজন করেছে।
আরটিভি/এসএপি-টি
‘হাসিনা জুতা পরার সময় পায়নি, আপনারাও পালানোর সময় পাবেন না’
গণঅভ্যুত্থান পরবর্তী বাংলাদেশে ফ্যাসিবাদের কোনো জায়গা নেই জানিয়ে গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক নুর বলেছেন, শেখ হাসিনা জুতা পরার সময় পাননি, আপনারাও পালিয়ে যাওয়ার সময় পাবেন না।
শনিবার (৯ নভেম্বর) বিকেলে নেত্রকোনা শহরের মোক্তারপাড়া মাঠে এক সমাবেশে তিনি এ হুঁশিয়ারি দেন।
নুরুল হক নুর বলেন, আওয়ামী লীগের দোসর হিসেবে যারা ফ্যাসিবাদ কায়েম করেছে, তাদের আস্ফালন থামেনি। কেউ আওয়ামী লীগের নাম নিলে তার পরিণতি ভালো হবে না। আওয়ামী লীগের দোসরদের কোনো জায়গা হবে না।
তিনি বলেন, গণঅভ্যুত্থানের মধ্যদিয়ে যে পরিবর্তন এসেছে, সেই পরিবর্তনকে স্থায়ী করতে অন্তর্বর্তী সরকারকে সময় দেওয়া হবে। আমরা এই সরকারকে স্থিতিশীল করতে চাই, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে সহযোগিতা করতে চাই।
গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি বলেন, রাষ্ট্র সংস্কার ও নির্বাচন একইসঙ্গে ভাবতে হবে। রাষ্ট্র সংস্কারের আগে নির্বাচন দিলে জনগণের ভাগ্যের কোনো পরিবর্তন হবে না।
এ সময় গণঅধিকার পরিষদ ৩০০ আসনে নির্বাচনের ঘোষণা দিয়ে নেত্রকোনা-২ আসনে হাসান আল মামুনের নাম প্রার্থী হিসেবে নাম ঘোষণা করেন।
সমাবেশে গণঅধিকার পরিষদ কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক রাশেদ খাঁন, কেন্দ্রীয় যুব অধিকার পরিষদর সাধারণ সম্পাদক নাদিম হাসান, যুব অধিকার পরিষদের সভাপতি রাজু রায়হানসহ অনেকেই উপস্থিত ছিলেন।
আরটিভি/আরএ-টি
তারেক রহমানের জন্মদিনে অনুষ্ঠান নয়, করলেই ব্যবস্থা
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের জন্মদিন আগামী ২০ নভেম্বর। এ উপলক্ষে ওইদিন কোনো অনুষ্ঠান পালন না করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিএনপি। এরইমধ্যে সিদ্ধান্তটি নেতাকর্মীদের জানিয়ে দেওয়া হয়েছে। যদি কেউ এই নির্দেশনা অমান্য করেন, তবে তার বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
সোমবার (১১ নভেম্বর) সন্ধ্যায় বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
এতে বলা হয়, আগামী ২০ নভেম্বর বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের জন্মদিন। দেশব্যাপী বিএনপি এবং এর অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের সব ইউনিটের নেতাকর্মীদের বিশেষভাবে জানানো যাচ্ছে যে, ওইদিন তারেক রহমানের জন্মদিন নিয়ে কোনো অনুষ্ঠান উদযাপন হবে না।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, এর ব্যত্যয় হলে সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
আরটিভি/আইএম