সাবেক রাষ্ট্রপতি বদরুদ্দোজা চৌধুরীর শারীরিক অবস্থার অবনতি
দীর্ঘদিন ধরে অসুস্থ সাবেক রাষ্ট্রপতি ও বিকল্পধারা বাংলাদেশের সভাপতি অধ্যাপক ডা. এ কিউ এম বদরুদ্দোজা চৌধুরীর (বি. চৌধুরী) শারীরিক অবস্থার অবনতি হয়েছে।
বুধবার (২ অক্টোবর) ভোরে তাকে উত্তরার মেডিকেল কলেজ ফর উইমেন অ্যান্ড হসপিটালে ভর্তি করা হয়।
বি. চৌধুরীর ছেলে সাবেক সংসদ সদস্য মাহি বি চৌধুরী জানান, তার বাবা মঙ্গলবার সারারাত শয্যাগত ছিলেন। ব্লিডিং হয়েছে। অবস্থা কতটা গুরুতর এখনো বোঝা যাচ্ছে না। তিনি সবার কাছে দোয়া চেয়েছেন।
তার মেয়ে ডা. শায়লা চৌধুরী গণমাধ্যমকে বলেন, বাবাকে হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে। আরও পরে বিস্তারিত বলা যাবে।
জানা যায়, ৯৫ বছর বয়সী সাবেক এই রাষ্ট্রপতি নানা রোগে ভুগছেন। গত কয়েক দিন ধরে বাড়িতেই চিকিৎসা নিচ্ছিলেন।
আরটিভ/একে-টি
মন্তব্য করুন
বিএনপির বিরুদ্ধে কঠিন প্রতিপক্ষ ধেয়ে আসছে: আযম খান
বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট আহমেদ আযম খান বলেছেন, বিএনপির বিরুদ্ধে কঠিন প্রতিপক্ষ ধেয়ে আসছে।
শনিবার (১৪ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যায় টাঙ্গাইলের বাসাইল প্রেসক্লাবে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় তিনি এ কথা বলেন।
আযম খান বলেন, আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন ইতিহাসের সবচেয়ে কঠিন নির্বাচন হবে। ইতোমধ্যে বিএনপির বিরুদ্ধে তথ্য সন্ত্রাস শুরু হয়েছে। বিএনপির বিরুদ্ধে দুর্নীতির তকমা লাগানোর চেষ্টা চলছে।
বিএনপির এই নেতা বলেন, বাংলাদেশে আর ফ্যাসিবাদের জন্ম হবে না। এ জন্য বিএনপি সদা প্রস্তুত রয়েছে। বিএনপি প্রতিষ্ঠার পর দেশে গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনার জন্য বিভিন্ন সময়ে নানামুখী উদ্যোগ গ্রহণ করেছে। পরবর্তী সময়েও দেশের গণতন্ত্র রক্ষায় বিএনপি ভূমিকা রাখবে।
বিএনপি থেকে বহিষ্কার হওয়া নেতাকর্মীদের প্রসঙ্গে তিনি বলেন, শৃঙ্খলা ভঙ্গের দায়ে বিএনপির যেসব নেতাকর্মীর সদস্যপদ বাতিল ও স্থগিত করা হয়েছে, তাদের ব্যাপারে সংগঠন যদি মনে করে তারা শৃঙ্খলায় ফিরেছে তবে তাদের সদস্যপদ ফিরিয়ে দিতে পারে।
মতবিনিময় সভায় উপজেলা বিএনপির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মামুন আল জাহাঙ্গীর, সাধারণ সস্পাদক নূর নবী আবু হায়াত খান নবু, পৌর বিএনপির সভাপতি আক্তারুজামান তুহিন, সাধারণ সম্পাদক আবুল কালাম আজাদ পিন্টুসহ অন্যান্য নেতাকর্মী উপস্থিত ছিলেন।
বাসাইল প্রেসক্লাবের সভাপতি আবুল কাশেম মিয়ার সভাপতিত্বে ও সাবেক সাধারণ সম্পাদক মাহমুদুল হাসানের সঞ্চালনায় উপস্থিত ছিলেন—বাসাইল প্রেসক্লাবের প্রধান উপদেষ্টা মুসলিম উদ্দিন আহমেদ, উপদেষ্টা আশিকুর রহমান পলাশ, সাধারণ সম্পাদক এনায়েত করিম বিজয় প্রমুখ।
আরটিভি/একে/এআর
সাবেক জনপ্রশাসনমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন গ্রেপ্তার
সাবেক জনপ্রশাসনমন্ত্রী ও মেহেরপুর-১ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য ফরহাদ হোসেনকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব।
শনিবার (১৪ সেপ্টেম্বর) রাতে রাজধানীর ইস্কাটন এলাকা থেকে র্যাব-২ এর একটি দল তাকে গ্রেপ্তার করে।
গ্রেপ্তারের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন আদাবর থানার ওসি মাহফুজ ইমতিয়াজ ভূঁইয়া।
তিনি বলেন, সাবেক জনপ্রশাসনমন্ত্রী ফরহাদ হোসেনকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব। পরে র্যাব তাকে আদাবর থানায় হস্তান্তর করেছে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে র্যাবের লিগ্যাল অ্যান্ড মিডিয়া উইংয়ের সিনিয়র সহকারী পরিচালক আ ন ম ইমরান খান বলেন, সাবেক জনপ্রশাসনমন্ত্রী ফরহাদ হোসেনকে রাজধানীর ইস্কাটন এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব।
উল্লেখ্য, গত ৫ আগস্ট বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালীন ছাত্র-জনতার ওপর গুলিবর্ষণ ও হত্যার ঘটনায় মামলা হয় তার বিরুদ্ধে। সেই মামলায় তাকে আদাবর থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।
আরটিভি/এমকে
আন্দোলনে নিহত ৮৭৫ জনের মধ্যে ৪২২ জনই বিএনপির: ফখরুল
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ঘিরে গড়ে ওঠা ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে নিহত ৮৭৫ জনের মধ্যে ৪২২ জনই বিএনপির রাজনীতি সঙ্গে জড়িত ছিল বলে দাবি করেছেন দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
রোববার (১৫ সেপ্টেম্বর) গুলশানে বিএনপির চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এই দাবি করেন তিনি।
মির্জা ফখরুল বলেন, বিভিন্ন প্রতিবেদন অনুযায়ী জুলাই গণহত্যায় ১৩ আগস্ট পর্যন্ত সারাদেশে শহীদ হন ৮৭৫ জন। যার মধ্যে কমপক্ষে ৪২২ জন মানুষ বিএনপির রাজনীতির সঙ্গে জড়িত ছিল। দেশজুড়ে শহীদ হওয়া সব শ্রেণি-পেশা-রাজনীতির মানুষের বিশাল অংশ যে বিএনপির নেতাকর্মী এটি কোনো বিচ্ছিন্ন ঘটনা নয়। বরং আমাদের সুদীর্ঘ রাজনৈতিক সংগ্রামের অনিবার্য ফল।
তিনি আরও বলেন, এই ৪২২ জনের নাম-গ্রামসহ সম্পূর্ণ তালিকা আমাদের কাছে আছে। এটি আমাদের ওয়েবসাইট প্রকাশ করা হবে।
বিএনপি মহাসচিব বলেন, বস্তুত ২০২৪ সালের গণ-অভ্যুত্থানে শহীদ ৪২২ জন, ২০২৩ সাল পর্যন্ত শহীদ এক হাজার ৫৫১ জন, গুম ৪২৩ জন (সকল রাজনৈতিক দল ও সাধারণ মানুষ মিলিয়ে প্রায় ৭০০ জন), আসামি ৬০ লাখ এবং মামলা দেড় লাখ। এসব কেবল বিএনপির ত্যাগের পরিসংখ্যানই নয়, বরং বাংলাদেশের দ্বিতীয় স্বাধীনতা অর্জনের পথে দলটির অবিচল সংগ্রাম ও অবদানের প্রতিফলন।
এ সময় আন্দোলনের কৃতিত্ব নয়, স্বৈরাচার পতন নিশ্চিত করাই বিএনপির লক্ষ্য ছিল বলে মন্তব্য করেন মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
অন্তর্বর্তীকালীন সরকার প্রসঙ্গে তিনি বলেন, অন্তর্বর্তীকালীন সরকার এখনও ফ্যাসিবাদ মুক্ত হতে পারেনি। পোশাক শিল্পে অস্থিরতার জন্য ফ্যাসিবাদের দোসররা দায়ী।
আন্দোলন ঘিরে ঠিক কতজন প্রাণ হারিয়েছেন সে ব্যাপারে সরকারের পক্ষে এখনও সুস্পষ্ট কোনো তথ্য দেওয়া হয়নি। তবে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে গত ১৬ জুলাই থেকে ৯ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ৮৭৫ জন নিহত এবং ৩০ হাজারের বেশি আহত হয়েছেন বলে জানিয়েছে মানবাধিকার সংগঠন ‘হিউম্যান রাইটস সাপোর্ট সোসাইটি (এইচআরএসএস)’। ১৩ সেপ্টেম্বর গণমাধ্যমে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
উল্লেখ্য, সরকারি চাকরিতে কোটা পদ্ধতির সংস্কার দাবিতে গত জুলাইয়ের শুরুতে আন্দোলনে নামে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন। এক পর্যায়ে কর্মসূচি ঘিরে ১৬ জুলাই আন্দোলনে হামলা হয়। সহিংসতা ছড়িয়ে পড়ে দেশজুড়ে। আন্দোলনকারীদের বিক্ষোভের মুখে শেষ পর্যন্ত ৫ আগস্ট প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে পদত্যাগ করে ভারতে চলে যান আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা।
আরটিভি/একে/এসএ
অনির্দিষ্টকালের জন্য অন্তর্বর্তী সরকারকে মেনে নেবে না জনগণ: ফখরুল
অনির্দিষ্টকালের জন্য অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে জনগণ মেনে নেবে না বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
সোমবার (১৬ সেপ্টেম্বর) দুপুরে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে এক সভায় তিনি এ মন্তব্য করেন।
মির্জা ফখরুল বলেন, অনির্দিষ্টকালের জন্য অন্তর্বর্তী সরকারকে মেনে নেবে না জনগণ। নির্বাচিত সরকারই ঠিক করবে কী সংস্কার হবে, পার্লামেন্টেই সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে সংবিধান পরিবর্তন হবে কি না।
তিনি বলেন, বিগত বছরগুলোতে বিএনপি নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে হওয়া সব মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার করতে হবে এবং শহীদদের ক্ষতিপূরণ দিতে হবে।
এ সময় প্রশাসন থেকে ফ্যাসিস্টদের সমর্থক, দোসর ও মদতদাতাদের সরাতে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রতি দাবি জানান মির্জা ফখরুল।
আরটিভি/এফএ/এসএ
নির্বাচিত সরকার পেতে সারজিসের দুই পরামর্শ
জাতীয় সংসদ নির্বাচন চাইলে সব রাজনৈতিক দল ও দেশবাসীকে দুটি কাজ করার পরামর্শ দিয়েছেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কেন্দ্রীয় সমন্বয়ক সারজিস আলম।
তিনি বলেন, দেশের সিস্টেমগুলোতে ক্যান্সার ধরেছে। যত দ্রুত সম্ভব ক্যান্সার নির্মূল করে জনগণের ভোটের মাধ্যমে একটি নির্বাচিত সরকার আনতে হবে। এটার জন্য দুটি কাজ আমাদের করতেই হবে। এক: আমাদের ধৈর্য্য ধরে এই অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে সহযোগিতা করতে হবে, দুই: আমাদের রাজনৈতিক আদর্শ, দলাদলি ও মুখোমুখি হবার যে ট্রেডিশন, সেটি থেকে কিছু সময়ের জন্য বিরত হয়ে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে।
সোমবার (১৬ সেপ্টেম্বর) বিকেলে রংপুর পাবলিক লাইব্রেরি মাঠে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন আয়োজিত ছাত্র-নাগরিক মতবিনিময় সভায় এসব কথা বলেন তিনি।
সারজিস আলম বলেন, আমরা যদি বিগত সময়ের কাজগুলো থেকে শিক্ষা না নিই তাহলে শেখ হাসিনা, সালমান এফ রহমান, ডিবি হারুনের মতো একই অবস্থা হবে। সেটা আজ হোক, আর দশ বা ষোল বছর পরই হোক, ওই একই অবস্থা হবে। গণঅভ্যুত্থানে অংশ নেওয়া ছাত্র-জনতা কোনো অথোরিটি নয়। আমরা একটা প্রেশার গ্রুপ। আমরা যদি কিছু করতে চাই, তা অবশ্যই আইনগতভাবে হতে হবে। আমাদের কেউ যেন ক্ষমতার অপব্যবহার না করি।
তিনি বলেন, আমাদের আজকের অনুষ্ঠানে অসংখ্য ভাই এসেছেন, যারা আজকে নির্দ্বিধায় পাঞ্জাবি-টুপি-পায়জামা পরে আসতে পেরেছেন। এটাই চব্বিশের ছাত্র-জনতার সবচেয়ে বড় স্বাধীনতা। কারণ বিগত ১৬ বছরে এসব কাপড় পরিধান করলে তাদেরকে ইচ্ছে মতো ট্যাগ দেওয়া হয়েছে।
সারজিস বলেন, দেশকে এগিয়ে নিতে আমাদের পরবর্তী প্রজন্মকে শিক্ষিত করতে হবে। দেশকে ১০০ বছর এগিয়ে নিতে চাইলে আমাদের কোয়ালিটিফুল রিসোর্স লাগবে। বাংলাদেশে ভারতসহ বিদেশের অসংখ্য দেশ তাদের জনবল দিয়ে এখান থেকে লক্ষ কোটি ডলার নিয়ে যায় বেতন হিসেবে। আমাদের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ কাজ হচ্ছে ওই কাজগুলোর জন্য নিজেদেরকে কোয়ালিটিফুল হিসেবে গড়ে তোলা। ২০২৪ সালের স্পিরিটকে ধরে রাখতে চাইলে আমাদের তরুণ প্রজন্মকে বাঁচাতে হবে। মাদকের ছোবল, সোশ্যাল মিডিয়ার অপব্যবহার থেকে বাঁচাতে হবে। নীতি-নৈতিকতা ও পারিবারিক শিক্ষার পাশাপাশি শৃঙ্খল হতে হবে।
রংপুর বিভাগকে অন্যান্য বিভাগের মতো এগিয়ে রাখতে হলে দ্বিতীয় সারিতে না রাখার দাবি জানান এ ছাত্রনেতা। তিনি বলেন, বছরের পর বছর ধরে আমরা তিস্তা মহাপরিকল্পনার কথা শুনেছি কিন্তু বিগত সরকার তা বাস্তবায়ন করেনি। ফ্যাসিস্ট সরকার পদ্মা সেতু এবং পদ্মা রেল সেতু করতে প্রায় ৭০ হাজার কোটি টাকা খরচ করেছে। অথচ রংপুরের তিস্তাপাড়ের কোটি মানুষ প্রতিবছর ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। তিস্তা মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়নের জন্য ১ হাজার কোটি টাকা দরকার ছিল সেটি ওই ফ্যাসিস্ট সরকার করতে পারেনি। বাংলাদেশে এ গ্রেডের কিছু জেলা ও প্রথম সারির কিছু সিটি কর্পোরেশন যেই বাজেট পায় বছরে, পুরো রংপুর বিভাগ সেই বাজেট পায়নি ১৬ বছরে।
মতবিনিময় সভায় আরও বক্তব্য দেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক তরিকুল ইসলাম, রকিব মাসুদ, আবু সাঈদ লিয়ন ও আব্দুল মুনঈম। এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন এস আই শাহিন, মিশু আলি সুহাস, জহির রায়হান, ফিহাদুর রহমান, সুমন কিবরিয়া, সজিব ইসলাম, আব্দুর রউফ, ইমরান আহমেদ প্রমুখ।
আরটিভি/এসএইচএম
ভুল করে থাকলে জনগণের কাছে ক্ষমাপ্রার্থী জাপা: জি এম কাদের
সংসদে থাকা অবস্থায় জাতীয় পার্টিকে (জাপা) অনেক কিছুই আওয়ামী লীগের চাপে বাধ্য হয়ে করতে হয়েছে বলে দাবি করে জনগণের কাছে ক্ষমা চেয়েছেন দলটির চেয়ারম্যান জি এম কাদের।
সোমবার (১৬ সেপ্টেম্বর) পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী (সা.) উপলক্ষ্যে বনানীতে জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যানের কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিলে এ কথা বলেন তিনি।
জি এম কাদের বলেন, অন্যায়ভাবে আমাদের দিয়ে অনেক কিছু করানো হয়েছে। আমাদের ওপর অন্যায়-নিপীড়ন করা হয়েছে। আমরা জনগণের পাশে ছিলাম এবং আছি। আমরা কোনো ভুল করে থাকলে জনগণের কাছে ক্ষমাপ্রার্থী।
তিনি বলেন, ২০১৪ সালের জাতীয় নির্বাচনে বিএনপি অংশ না নেওয়ায় হুসেইন মুহম্মদ এরশাদও নির্বাচন বর্জন করেছিলেন; কিন্তু জাতীয় পার্টিকে জোর করে আনা হয়েছিল। ২০১৪ সালের পর থেকে জাতীয় পার্টিকে দুই ভাগ করে ব্ল্যাকমেইল করা হয়েছে।
বিগত তিনটি জাতীয় নির্বাচনে অংশগ্রহণের সিদ্ধান্ত ভুল ছিল জানিয়ে জি এম কাদের বলেন, বিগত ৩টি নির্বাচন বিতর্কিত ছিল। তাতে অংশগ্রহণের সিদ্ধান্ত সঠিক ছিলো না। জাতীয় পার্টি তিন নির্বাচনই বর্জন করার চেষ্টা করেছিল। আমরা সব আমলেই নির্যাতিত হয়েছি।
জাপা চেয়ারম্যান আরও বলেন, ১৯৭১ সালে বাংলাদেশ স্বাধীন হয়েছে কিন্তু বৈষম্য থেকে স্বাধীন হতে পারেনি, নিজেদের স্বাধীনতা ধরে রাখতে পারেনি। স্বাধীনতা আনতে ‘৭১-এর মতো এবারও (২০২৪) ছাত্রদের জীবন দিতে হয়েছে। আর এ সাফল্যে জাপা খুশি। কোটা সংস্কার আন্দোলনের শুরু থেকে জাতীয় পার্টির সমর্থন ছিল। দলের নেতাকর্মীরা আন্দোলনে সক্রিয় ছিল, এজন্য অনেকে নির্যাতনের শিকার হয়েছে।
আরটিভি/এসএইচএম/এআর
নিবন্ধন পেল জোনায়েদ সাকির গণসংহতি আন্দোলন
রাজনৈতিক দল হিসেবে নিবন্ধন পেয়েছে মো. জোনায়েদ সাকির দল গণসংহতি আন্দোলন। দলটির নির্বাচনী প্রতীক ‘মাথাল’।
মঙ্গলবার (১৭ সেপ্টেম্বর) দলটির নিবন্ধনের প্রজ্ঞাপন ও নির্বাচনী প্রতীক আনুষ্ঠানিকভাবে হস্তান্তর করা হয়। এসময় নির্বাচন কমিশন সচিব শফিউল আজিমের কাছ থেকে নিবন্ধনের কপি নেন গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক জোনায়েদ সাকি।
গণসংহতি আন্দোলনের নিবন্ধন নম্বর ৫৩। দলীয় প্রতীক ‘মাথাল’।
ইসি সচিব শফিউল আজিম স্বাক্ষরিত নিবন্ধন-সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগের রায় ও আদেশের পরিপ্রেক্ষিতে গণসংহতি আন্দোলনকে পুনরাদেশ না দেওয়া পর্যন্ত বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশন রাজনৈতিক দল হিসেবে নিবন্ধন করেছে।
রাজনৈতিক দল হিসেবে নিবন্ধন চেয়ে ২০১৭ সালের ২৮ ডিসেম্বর নির্বাচন কমিশনের কাছে আবেদন করে গণসংহতি আন্দোলন। তবে ইসি থেকে তা অগ্রাহ্য হওয়ায় গণসংহতি আন্দোলনের পক্ষে প্রধান সমন্বয়ক মো. জোনায়েদ সাকি হাইকোর্টে রিট করেন। ২০১৯ সালের ১১ এপ্রিল ৩০ দিনের মধ্যে নিবন্ধন দিতে নির্দেশ দেন হাইকোর্ট। এর বিরুদ্ধে নির্বাচন কমিশন আপিল আবেদন করেন। তবে ছাত্র জনতার গণঅভ্যুত্থানের পরিপ্রেক্ষিতে শেখ হাসিনার সরকারের পদত্যাগের পর কমিশন তার সিদ্ধান্ত পরিবর্তন করে।
আরটিভি/এআর/ ডিসিএনই