জরুরি সংবাদ সম্মেলন ডেকেছে বিএনপি
জরুরি সংবাদ সম্মেলন ডেকেছে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি)।
সোমবার (৩০ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যা ৭টায় গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে এ সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে।
বিএনপির মিডিয়া সেলের সদস্য শায়রুল কবির খান এ তথ্য জানিয়েছেন।
জানা গেছে, বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য অধ্যাপক ডা. এ জেড এম জাহিদ হোসেন সংবাদ সম্মেলনে কথা বলবেন।
আরটিভি/এসএপি
মন্তব্য করুন
কোকোর স্ত্রী শর্মিলা ঢাকায়
লন্ডন থেকে ঢাকায় এসেছেন বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার ছোট ছেলে প্রয়াত আরাফাত রহমান কোকোর স্ত্রী শর্মিলা রহমান সিঁথি।
বৃহস্পতিবার (৫ সেপ্টেম্বর) দুপুরে তিনি গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের বাসভবন ফিরোজায় পৌঁছেছেন।
বিএনপির মিডিয়া সেলের সদস্য শায়রুল কবির খান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
এর আগে, সবশেষ চলতি বছরের ২৮ জানুয়ারিতে ঢাকায় এসেছিলেন শর্মিলা রহমান।
উল্লেখ্য, খালেদা জিয়ার ছোট ছেলে কোকো প্রায় এক দশক আগে মারা যান। তারপর থেকে শর্মিলা রহমান সন্তানদের নিয়ে লন্ডনে থাকছেন। সেখানে খালেদা জিয়ার বড় ছেলে তারেক রহমান সপরিবারে ‘রাজনৈতিক আশ্রয়ে’ রয়েছেন।
জানা গেল হাছান মাহমুদের অবস্থান
সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ দুবাই-জার্মানি হয়ে বেলজিয়ামে গেছেন। জার্মান শাখার আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মোবারক আলী ভূঁইয়া বকুল গণমাধ্যমকে এ তথ্য জানিয়েছেন।
গত ৫ আগস্ট ছাত্রজনতার গণঅভ্যুত্থানে শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পরের দিন ৬ আগস্ট ঢাকার শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে সাবেক ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক ও সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাছান মাহমুদ গ্রেপ্তার হন বলে গণমাধ্যমে খবর ছড়িয়ে পড়ে। এর কয়েকদিন পর জুনাইদ আহমেদ পলককে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। তবে হদিস মেলেনি সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাছান মাহমুদের।
জানা গেছে, তার দেশ ছাড়ার ৬ দিন পর দুদকের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে আদালত গত ২ সেপ্টেম্বর হাছান মাহমুদের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা দেয়। হাছান মাহমুদ এখন বেলজিয়ামের লিমবুর্গ প্রদেশের হ্যাসেল্ট সিটিতে তার নিজের বাড়িতেই একমাত্র ছেলে আর স্ত্রী নুরান ফাতেমাকে নিয়ে আছেন।
ঢাকা থেকে সরাসরি বেলজিয়াম যাননি হাছান মাহমুদ। আমিরাতের ফ্লাইটে তিনি দুবাই হয়ে প্রথম জার্মানির ডসেলড্রপ বিমানবন্দরে যান গত ২৬ আগস্ট বিকেল পৌনে ৩টায়। সেখান থেকে সড়কপথে গাড়ি চালিয়ে তাকে বেলজিয়ামের বাড়িতে পৌঁছে দেন জার্মান শাখার আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মোবারক আলী ভূঁইয়া বকুল।
এ বিষয়ে মোবারক আলী ভূঁইয়া বকুল বলেন, তিনি এখানে আছেন এবং নিরাপদে আছেন, এইটুকু আরকি। আর পরশুদিন আমাদের বেলজিয়ামে একটা মিটিং ছিল, ওইখানে তিনি উপস্থিত থাকতে পারবেন না, সেটি আগেই বলে দিয়েছেন। তিনি এখানে কারো সঙ্গে যোগাযোগ করতেছেন না, কারো সঙ্গেই তার যোগাযোগ নেই।
দেশ ছাড়লেও সরকার পতনের পর হাছান মাহমুদের বিরুদ্ধে ঢাকা-চট্টগ্রামে অনেকগুলো হত্যা মামলা হয়েছে।
দেখা মিলল শামীম ওসমানের
ছেলে ও রাজনৈতিক অনুসারীদের নিয়ে ছাত্র-জনতার আন্দোলনে গুলি চালিয়ে তুমুল সমালোচনার মুখে পড়েন নারায়ণগঞ্জের প্রভাবশালী আওয়ামী লীগের সাবেক সংসদ সদস্য শামীম ওসমান। গত ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা পদত্যাগ করে দেশ ছেড়ে পালালে ওসমান পরিবারের সদস্যদের আর দেখা পাওয়া যায়নি। শামীম ওসমান ও তার স্বজনরা দেশে নাকি বাইরে আছেন তা নিয়েও ছিল আলোচনা-সমালোচনা। এরই মধ্যে দেখা মিলল সাবেক এ সংসদ সদস্যের।
শুক্রবার (৬ সেপ্টেম্বর) রাতে শামীম ওসমানকে ভারতের দিল্লির নিজাম উদ্দিন আউলিয়ার মাজারে দেখা গেছে।
ভারতের একটি বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যয়নরত বাংলাদেশি শিক্ষার্থী আকাশ হক তাকে মাজারে দেখেছেন। রাত ৯টা ৫ মিনিটে শামীম ওসমানের ছবিও তুলেছেন তিনি। এ নিয়ে আকাশ হকের সঙ্গে যোগাযোগ করেছে দেশের একটি গণমাধ্যম।
আকাশ হক গণমাধ্যমটিকে জানান, রাতে তিনি দিল্লির নিজাম উদ্দিন আউলিয়ার মাজার জিয়ারত করতে যান। এ সময় তিনি শামীম ওসমানকে দেখতে পান। শামীম ওসমানের সঙ্গে তার পরিবারের সদস্যরাও ছিলেন। প্রমাণস্বরুপ তিনি ছবিও তুলে রেখেছেন বলেও জানান।
এয়ার অ্যাম্বুলেন্স আনার চেষ্টা, খালেদা জিয়াকে যে দেশে নেওয়া হতে পারে
বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া দীর্ঘদিন ধরে লিভার সিরোসিস, হৃদরোগ, ডায়াবেটিস, আর্থ্রাইটিস ও কিডনিসহ বিভিন্ন জটিল রোগে ভুগছেন। উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে বিদেশ পাঠাতে কাতার থেকে এয়ার অ্যাম্বুলেন্স আনার চেষ্টা করছে বিএনপি। ইতোমধ্যে সে প্রক্রিয়া শুরু করেছে। তবে এখনও বিমানে লম্বা সময় ভ্রমণের মতো শারীরিকভাবে উপযুক্ত নন তিনি। মেডিকেল বোর্ড সায় দিলেই চিকিৎসার জন্য বিদেশ যাবেন তিনি। সেখানকার মাল্টিপল ডিজিজ সেন্টারে তার লিভার প্রতিস্থাপনসহ জটিল চিকিৎসাগুলো করানো হবে।
শুক্রবার (৬ সেপ্টেম্বর) খালেদা জিয়ার চিকিৎসায় গঠিত মেডিকেল বোর্ডের একাধিক সদস্য এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
মেডিকেল বোর্ডের সদস্য ডা. আল-মামুন বলেন, আমরা চেষ্টা করছি। বিমানে ওঠার জন্য ফিজিক্যালি তিনি ফিট নন। আরও কিছুটা সময় লাগবে। ধরুন এ অবস্থায় যদি তাকে বিমানে ওঠানো হয়, বিমানে রিস্ক হয়ে গেলে কে দায় নেবে। এয়ার অ্যাম্বুলেন্স আর বিমান বলেন, সেখানে তো উঠতে হবে; ওঠার পর যদি ওনার প্রেশার ফল করে কিংবা মাঝপথে যদি অন্য জটিলতা সৃষ্টি হয় তা হলে এর বিকল্প কী? ওনাকে তো এশিয়া মহাদেশের কোনো দেশে নেওয়া হচ্ছে না। তাই স্বাভাবিকভাবেই দীর্ঘ সময় বিমানে থাকতে হবে। এসব বিষয় নিয়ে আমরা চিন্তাভাবনা করছি। ওনার জন্য দেশের বাইরে থেকে এয়ার অ্যাম্বুলেন্স আনা হবে।
এই চিকিৎসক বলেন, আমাদের প্রধান উদ্দেশ্য খালেদা জিয়ার লিভার প্রতিস্থাপন করা। তবে এর আগে তার পুরো শরীর চেকআপ করে অন্য জটিলতাগুলো কমিয়ে আনতে হবে। প্রথমেই লিভার প্রতিস্থাপনের সিদ্ধান্ত নেওয়া যায় না। তাই শারীরিক অবস্থা বুঝে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
বিএনপি চেয়ারপারসন এখন কেমন আছেন জানতে চাইলে তিনি বলেন, আগের চেয়ে ভালো আছেন। প্রতিদিন চিকিৎসকরা নিয়ম করে বাসায় গিয়ে ফলোআপ করছেন। বিএনপিসহ বিভিন্ন দলের নেতারা আসছেন। তিনি সবার সঙ্গে কুশল বিনিময় করছেন। পরিবারের লোকজনের সঙ্গে সময় কাটাচ্ছেন। তার ঘুম ও খাওয়া-দাওয়া স্বাভাবিক নিয়মে হচ্ছে। স্বাস্থ্যের গুরুত্বপূর্ণ প্যারামিটারগুলো সঠিক মাত্রায় রয়েছে। তবে বয়সের কারণে মাঝেমধ্যেই কিছু জটিলতা দেখা দেয়।
বিএনপি চেয়ারপারসনের ব্যক্তিগত চিকিৎসক ও মেডিকেল বোর্ডের সমন্বয়ক ডা. এ জেড এম জাহিদ হোসেন বলেন, ‘আমরা যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্যের কয়েকটি হাসপাতালের সঙ্গে আলোচনা চালিয়ে যাচ্ছি। যুক্তরাজ্যে নেওয়া হলে ৮ থেকে ১৩ ঘণ্টা সময় লাগে। যুক্তরাষ্ট্রে প্রয়োজন ১৮ থেকে ২১ ঘণ্টা ফ্লাইং আওয়ার। কাজেই এই যাত্রার জন্য তার শারীরিক সুস্থতা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। তাই কিছুটা সময় লাগবে। বেশ কিছু জটিল চিকিৎসা করাতে অনেকটা সময় তাকে বিদেশে থাকতে হবে।
রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালের হৃদরোগ বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক শাহাবুদ্দিন তালুকদারের নেতৃত্বে একটি মেডিকেল বোর্ডের তত্ত্বাবধানে খালেদা জিয়ার চিকিৎসা চলছে। গত জুনে অসুস্থ হয়ে পড়লে খালেদা জিয়াকে এভারকেয়ারের করোনারি কেয়ার ইউনিটে ভর্তি করা হয়। পরে তার হৃদযন্ত্রে পেসমেকার বসানো হয়।
এর আগে গত বছরের অক্টোবরে তার লিভার সিরোসিস রোগের চিকিৎসা করতে ঢাকায় আসেন যুক্তরাষ্ট্রের বিশ্বখ্যাত জনস হপকিন্স হাসপাতালের তিন চিকিৎসক। চিকিৎসা শেষে গত ২ জুলাই এভারকেয়ার হাসপাতাল থেকে গুলশানের বাসা ফিরোজায় ফেরেন বিএনপি চেয়ারপারসন।
সবশেষ গত ৮ জুলাই হঠাৎ প্রেশার ও রক্তে হিমোগ্লোবিনের পরিমাণ কমে যাওয়ায় হাসপাতালে ভর্তি হন। সেই থেকে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন তিনি। চার বছর আগে সরকারের নির্বাহী আদেশে শর্তসাপেক্ষে মুক্তির পর খালেদা জিয়াকে বিভিন্ন সময়ে এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি হয়ে থাকতে হয়েছে। গত ছয় বছরে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় ও এভারকেয়ার হাসপাতালে দেড় বছরেরও বেশি সময় ভর্তি থাকতে হয়েছে তাকে। গত তিন বছরে পরিবারের সদস্যরা চিকিৎসার জন্য খালেদা জিয়াকে বিদেশে নিতে কয়েক দফা অনুমতি চাইলেও শেখ হাসিনা সরকার তা প্রত্যাখ্যান করে। গত ৫ আগস্ট শেখ হাসিনার পতনের পরদিনই খালেদা জিয়ার দণ্ড মওকুফ করে সরকার।
এদিকে যুক্তরাজ্য থেকে ঢাকায় পৌঁছেছেন খালেদা জিয়ার ছোট ছেলে প্রয়াত আরাফাত রহমান কোকোর স্ত্রী শর্মিলা রহমান সিঁথি। বৃহস্পতিবার দুপুরে তিনি গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের বাসভবন পৌঁছেছেন। বিএনপির মিডিয়া সেলের সদস্য শায়রুল কবির খান এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। এর আগে চলতি বছরের ২৮ জানুয়ারি সব শেষ ঢাকায় এসেছিলেন শর্মিলা রহমান সিঁথি।
বিএনপির আরও এক নেতা বহিষ্কার
দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গের দায়ে বিএনপির ঢাকা মহানগর উত্তরের পল্লবী থানাধীন ২নং ওয়ার্ড সভাপতি গোলাম মোস্তফা মাস্টারকে বহিষ্কার করা হয়েছে।
শনিবার (৭ সেপ্টেম্বর) বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী স্বাক্ষরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
এতে বলা হয়, দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গ এবং নীতি ও আদর্শ পরিপন্থি অনৈতিক কর্মকাণ্ডে লিপ্ত থাকার সুস্পষ্ট অভিযোগের ভিত্তিতে ঢাকা মহানগর উত্তর পল্লবী থানাধীন ২নং ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি গোলাম মোস্তফা মাস্টারকে দলের প্রাথমিক সদস্যসহ সব পর্যায়ের পদ থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে।
এর আগে, গত ৫ সেপ্টেম্বর গাজীপুরে শ্রীপুরে দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গের অভিযোগে বিএনপির দুই নেতাকে দলটি থেকে বহিষ্কার করা হয়।
বহিষ্কৃতরা হলেন শ্রীপুর উপজেলা বিএনপির সহ-সভাপতি ও গাজীপুর ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি মো. মশিউর রহমান এবং শ্রীপুর উপজেলা বিএনপির কৃষি বিষয়ক সম্পাদক ও গাজীপুর ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক এম এ গণি মৈশাল।
জনগণের সরকার না আসা পর্যন্ত আন্দোলন চলবে: তারেক রহমান
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বলেছেন, স্বৈরাচারের পতন হয়েছে কিন্তু ষড়যন্ত্র এখনো অব্যাহত রয়েছে। এসব ষড়যন্ত্রের বিষদাঁত ভেঙে দিয়ে জাতীয়তাবাদী শক্তিকে সঙ্গে নিয়ে মানুষের অধিকার ও গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করতে হবে। এ জন্য আমাদের আন্দোলন এখনো শেষ হয়নি। গণতন্ত্র ও মানুষের ভোটের অধিকার ফিরে না পাওয়া পর্যন্ত বিএনপির আন্দোলন চলবে।
রবিবার (৮ সেপ্টেম্বর) বিকেলে সাতক্ষীরা জেলার কলারোয়া হাইস্কুল ফুটবল মাঠে কলারোয়া উপজেলা ও পৌর বিএনপি আয়োজিত জনসভায় প্রধান অতিথির ভার্চুয়াল বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। সভায় সভাপতিত্ব করেন, সাবেক সংসদ সদস্য ও বিএনপির কেন্দ্রীয় প্রকাশনা বিষয়ক সম্পাদক হাবিবুল ইসলাম হাবীব।
প্রতিবেশী দেশের ফাঁদে পা দিয়ে কিছু রাজনৈতিক দল বিভ্রান্ত হয়ে বিভিন্ন কথা বলেছেন দাবি করে তারেক রহমান বলেন, এ জন্য আমাদের সজাগ থাকতে হবে। দেশের ভেতরে-বাইরে যারা কলকাঠি নাড়ছে তারা চায় না দেশে গণতন্ত্র ফিরে আসুক। এক যুগেরও বেশি সময় ধরে সমগ্র বাংলাদেশের মানুষ নির্যাতিত হয়েছে। কলারোয়া সাতক্ষীরার মানুষ এর প্রমাণ। দুই যুগ ধরে আন্দোলনের মাধ্যমে দেশ স্বৈরাচারমুক্ত হয়েছে।
বাংলাদেশের প্রত্যেক অঞ্চলে যেসব সম্ভাবনা আছে, তা সামনে এনে দেশকে এগিয়ে নেওয়া হবে জানিয়ে তিনি বলেন, বিএনপির রাজনীতি হলো উন্নয়ন ও উৎপাদনের রাজনীতি। আসুন আমরা দৃঢ় শপথ গ্রহণ করি যে, এই দেশের হারিয়ে যাওয়া গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারে আমরা আন্দোলন চালিয়ে যাব।
তিনি আরও বলেন, সম্ভাবনাগুলো বাস্তবায়ন করতে হলে নির্বাচিত সরকার দরকার। জনগণের সরকারই জনগণকে নিয়ে ভাবে। শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান জনগণের ভোটে নির্বাচিত ছিল বলেই কৃষকের জন্য খাল খনন করেছিলেন। দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া শিক্ষার্থীদের জন্য বিনামূল্যে বইয়ের ব্যবস্থা করেছিলেন। জনগণের সরকারই জনগণের ভোটাধিকার প্রতিষ্ঠা করতে পারবে।
সভায় বক্তব্য রাখেন, কেন্দ্রীয় তথ্য বিষয়ক সম্পাদক আজিজুল বারী হেলাল, রংপুর বিভাগীয় সহসাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুল খালেক, খুলনা বিভাগীয় সহসাংগঠনিক সম্পাদক জয়ন্ত কুমার কুন্ডু, বিএনপি চেয়ারপারসনের প্রেস উইংয়ের কর্মকর্তা শামসুদ্দিন দিদার, জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য ডা. শহিদুল আলম, সাবেক এমপি কাজী আলাউদ্দীন, শাহানারা আক্তার বকুল, সাতক্ষীরা জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক তারিকুল হাসান, আইনুল ইসলাম নান্টাসহ অনেকে।
নেতাকর্মীদের বিশেষ বার্তা বিএনপির
দেশের চলমান পরিস্থিতিতে দলীয় নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্যে বিশেষ বার্তা দিয়েছে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি)।
রোববার (৮ সেপ্টেম্বর) দলের জাতীয় নির্বাহী কমিটি, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ও তৃণমূল পর্যায়ে এ-সংক্রান্ত চিঠি পাঠানো হয়েছে।
দলের সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী স্বাক্ষরিত ওই চিঠিতে উল্লেখ করা হয়েছে, ‘এতদ্বারা বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল-বিএনপি এবং এর সকল অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতৃবৃন্দসহ সংশ্লিষ্ট সকলের অবগতির জন্য নির্দেশক্রমে জানানো যাচ্ছে যে, আপনাদের অধিনস্থ কোনো ইউনিটে সাংগঠনিক কাজের উদ্দেশ্যে সফরকালে কোনো ধরনের মটরসাইকেল বহর ও কারসহ অন্য কোনো যানবাহনে শোভাযাত্রা পরিহার করতে হবে। এই সমস্ত শোভাযাত্রার কারণে পাশ দিয়ে চলাচলরত সাধারণ মানুষের যানবাহন বা পথচারীদের যাতায়াতে ভয়ানক বিঘ্ন ঘটে। যে এলাকায় সাংগঠনিক সভা, কর্মিসভা অথবা জনসভা অনুষ্ঠিত হয় সেই এলাকায় ঊর্ধ্বতন নেতাদের আগমন ঘটলে শোভাযাত্রার কারণে প্রচণ্ড যানযটের সৃষ্টি হয় এবং মানুষকে চরম দুর্ভোগ পোহাতে হয়-যা কোনোভাবেই কাম্য হতে পারে না।’
চিঠিতে এ-ও বলা হয়েছে, ‘ইতোমধ্যে লক্ষ্য করা যাচ্ছে যে, ঢাকাসহ সারাদেশে বিএনপি এবং এর অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীদেরকে রং-বেরঙের পোস্টার, ব্যানার, ফেষ্টুন প্রদর্শণ করতে। এটি অত্যন্ত দৃষ্টিকটু, অনভিপ্রেত এবং দলের শৃঙ্খলা পরিপন্থী। দলের অতি উৎসাহী কতিপয় নেতৃবৃন্দ নিজেদের ছবি সম্বলিত পোষ্টার প্রকাশ করছেন এবং ফেষ্টুন ও ব্যানার ঝুলিয়ে রাখছেন। এহেন পোস্টার, ব্যানার, ফেস্টুন প্রদর্শন করা থেকে নেতাকর্মীদের বিরত থাকার জন্য নির্দেশ প্রদান করা হচ্ছে।’