অন্তর্বর্তী সরকারের কাছে যুব অধিকারের ৭ প্রস্তাবনা
যুব সমাজের মুক্তির লক্ষ্যে অন্তর্বর্তী সরকারের কাছে ৭ দফা প্রস্তাবনা দেবে বাংলাদেশ যুব অধিকার পরিষদ।
রোববার (১৫ সেপ্টেম্বর) গণঅধিকার পরিষদের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এই প্রস্তাবনাগুলো তুলে ধরা হয়।
প্রস্তাবনাগুলো হলো-
১। সকল ধরনের বৈষম্যমুক্ত চাকরি ও কর্মসংস্থানকে মৌলিক অধিকার হিসেবে সাংবিধানিক স্বীকৃতি ও বাস্তবায়নে অগ্রাধিকার দিতে হবে। প্রতিবছর নিয়মিত বেকারত্বের জরিপ প্রতিবেদন আকারে প্রকাশ করতে হবে।
২। শিক্ষার সকল স্তরে চাহিদাভিত্তিক ও কর্মমুখী শিক্ষাব্যবস্থা প্রণয়ন ও বাস্তবায়নে অগ্রাধিকার দিতে হবে। আইসিটি (তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি) বিভাগে তরুণদের দক্ষ হিসেবে গড়ে তুলতে কার্যকরী পদক্ষেপ নিতে হবে।
৩। সকল প্রকার চাকরিতে আবেদন ফি, অবৈধ সুপারিশ, যেকোনো জামানত ও বয়সসীমা মুক্ত চাকরির ব্যবস্থা করতে হবে। ঘুষ ও দুর্নীতির মতো অসদুপায়ে নিয়োগের সকল প্রক্রিয়া বন্ধ এবং সরকারি ও বেসরকারি চাকরির বৈষম্যের অবসান ঘটাতে হবে।
৪। স্থানীয় পর্যায়ে সরকারি ব্যবস্থাপনায় প্রশিক্ষণকেন্দ্র তৈরি এবং স্থানীয় উৎপাদন ব্যবস্থা শক্তিশালী করতে হবে। তরুণদের সম্পৃক্ত করে দেশের স্থানীয় উৎপাদিত পণ্যের উৎপাদন ও আন্তর্জাতিক বাজার ব্যবস্থা তৈরি করতে হবে।
৫। শিক্ষা ও প্রশিক্ষণ সনদ জামানতে সুদবিহীন ঋণ প্রদান, শিক্ষিত ও শিক্ষার বিভিন্ন স্তরে ঝরে পড়াদের এই আওতায় আত্মকর্মসংস্থানের অগ্রাধিকার দিতে হবে। ক্ষুদ্র ও মাঝারি উদ্যোক্তাদের দেশের মোট ঋণ প্রদানের ৫০ শতাংশ ঋণ প্রদান করতে হবে। কর্ম ও ঋণের আওতার বাইরে সকল তরুণদের প্রয়োজনে নির্দিষ্ট সময় পর্যন্ত বেকার ভাতা প্রদান করতে হবে।
৬। দেশের সকল প্রতিবন্ধী জনগোষ্ঠীকে শতভাগ চাকরি ও কর্মসংস্থানের আওতায় আনতে হবে। চাকরি ও কর্মসংস্থানের আওতার বাইরে থাকাদের উপযুক্ত ভাতা প্রদান করতে হবে।
৭। বিদেশে জনশক্তি রপ্তানির ক্ষেত্রে সরকারি ব্যবস্থাপনায় আন্তর্জাতিক মানের প্রশিক্ষণ ও প্রশিক্ষিতদের রাষ্ট্রীয় অর্থায়নে বা সুদমুক্ত ঋণ সুবিধার আওতায় বিদেশে পাঠাতে হবে। বিদেশে তরুণদের জন্য যোগ্যতা ও দক্ষতার ভিত্তিতে অবাধ কর্মসংস্থানের সুযোগ তৈরি করতে হবে। তাদের দেশে অবস্থানরত পরিবারের সদস্যদের শিক্ষা, চিকিৎসা ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে। প্রবাস গমনে তৃতীয় পক্ষের দৌরাত্মের অবসান, প্রবাসে সকল চিকিৎসা, দেশের দূতাবাসগুলো প্রবাসীবান্ধব ও দুর্নীতিমুক্ত করতে হবে। প্রবাসীদের প্রবাসে থাকা অবস্থায় সকল জাতীয় ও স্থানীয় নির্বাচনে ভোট প্রদানের অধিকার নিশ্চিত করতে হবে। বিদেশ প্রেরণের প্রতিটি স্তরে গুরুত্বপূর্ণ নাগরিক (ভিআইপি) মর্যাদা নিশ্চিত করতে হবে।
বাংলাদেশ যুব অধিকার পরিষদ উপরোক্ত ৭ দফা প্রস্তাবনার পক্ষে জনমত তৈরিতে দেশব্যাপী কর্মসূচি ঘোষণা করেছে। এরই অংশ হিসেবে জেলা ও মহানগরের গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টে ইউনিটগুলোর আয়োজনে শুক্রবার (২০ সেপ্টেম্বর) মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হবে। এছাড়া রোববার (২২ সেপ্টেম্বর) জেলা শহরগুলোর প্রতিনিধিদলের মাধ্যমে মন্ত্রণালয় বরাবর জেলা প্রশাসকের নিকট স্মারকলিপি দেওয়া হবে। পাশাপাশি কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে বুধবার (২৫ সেপ্টেম্বর) সংগঠনটি মন্ত্রণালয়ে স্মারকলিপি প্রদান করবে।
আরটিভি/আইএম
মন্তব্য করুন