গণতন্ত্র ধ্বংসের জন্য নির্বাচন কমিশনকেও দায়ী করলেন রিজভী
দেশের গণতন্ত্র ধ্বংসের জন্য নির্বাচন কমিশনও দায়ী বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী।
বৃহস্পতিবার (৫ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর নয়া পল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন।
সদ্য পদত্যাগ করা সিইসির সমালোচনা করে রিজভী বলেন, দখল-ডাকাতির নির্বাচনে আপনি এককভাবে ফলাফল ঘোষণা করেছেন, আপনি কেন পদত্যাগ করেনি? আপনারা কাছে দেশ-রাষ্ট্রের চাইতে চাকরিটাই বড় ছিল?
তিনি বলেন, গণতন্ত্র ধ্বংস করার পেছনে যারা দায়ী, তার মধ্যে অন্যতম নির্বাচন কমিশন। সাংবিধানিক ব্যবস্থা লঙ্ঘন করার জন্য যারা দায়ী, তাদের আইনের মাধ্যমে বিচার দাবি করছি। আইনের কাঠগড়ায় দাঁড় করানো উচিত।
বিএনপির এই নেতা বলেন, শিশু-কিশোরদের আন্দোলনের মধ্য দিয়ে এক ভয়াবহ দানবের পতন হয়েছে। স্বৈরাচারের দোসরদের সঙ্গে আঁতাত করা মানে শহীদের রক্তের সঙ্গে সম্পূর্ণভাবে বেইমানি করা।
রিজভী বলেন, গণহত্যাকারীদের ও গণহত্যায় জড়িত আইনশৃঙ্খলা বাহিনীসহ জড়িতদের অবশ্যই বিচার করতে হবে। এখনও সব অফিস আদালতে শেখ হাসিনার প্রেতাত্মা রয়েছে। বর্তমানে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে একটি বিশেষ গোষ্ঠীর লোকদের নিয়োগ দেওয়া হচ্ছে।
গণমাধ্যমের বিষয়ে তিনি বলেন, ১৯৯৭ সালের সব গণমাধ্যম বন্ধ করেছিল, শুধু চারটি পত্রিকা রেখে আওয়ামী লীগ বাকশাল কায়েম করেছিল। এবার ভিন্নরূপে বাকশাল কায়েম করেছিল আওয়ামী লীগ। পত্রিকা বন্ধ করেনি, (তবুও দিগন্ত টিভি, ইসলামিক টিভি, আমার দেশ, দিনকাল বন্ধ করেছে) কিন্তু মালিকানা দিয়েছে আওয়ামী লীগের একনিষ্ঠদের।
বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব বলেন, গণমাধ্যমের মূল কাজ সত্য উদঘাটন করে নিষ্ঠাবস্তু খবর পরিবেশন করা। এটাই গণতন্ত্র। এর বাইরে গেলে সেটা গণমাধ্যম নয়, প্রচারমাধ্যম বা স্বৈরাচারের ডাণ্ডা।
মন্তব্য করুন