টিটি প্লাটফর্মকে গণমাধ্যমের সঙ্গে গুলিয়ে ফেলেছেন মির্জা ফখরুল : তথ্যমন্ত্রী

ওভার দ্য টপ (ওটিটি) কনটেন্টভিত্তিক পরিষেবা দেওয়া এবং পরিচালনার খসড়া নীতিমালাকে গণমাধ্যমের কণ্ঠরোধের পাঁয়তারা বলে বর্ণনা করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল। এ কথার প্রেক্ষিতে তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ তির্যক মন্তব্য করেছেন।

তিনি বলেছেন, ওটিটি প্লাটফর্মের সঙ্গে গণমাধ্যম বা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের কোনো সম্পর্ক নেই। মির্জা ফখরুল সাহেব না পড়ে, না বুঝে এটি নিয়ে যে মন্তব্য করেছেন তা সবজান্তা মাতব্বরের মতো।

খালেদা জিয়া যেমন বলেছিলেন, সাবমেরিন ক্যাবলে যুক্ত হলে দেশের সব তথ্য পাচার হয়ে যাবে, ফখরুল সাহেবের বক্তব্যটাও ঠিক সে রকম। যেমন নেত্রী, তেমনি তার সচিব। ওনার কথায় মনে হচ্ছে যে, পার্টির মহাসচিবের দায়িত্বের পাশাপাশি উনি ভেতরে ভেতরে নাটক-সিনেমা নিয়েও বিশেষজ্ঞ হয়ে গেছেন। কিন্তু ওটিটি প্লাটফর্মকে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম বা গণমাধ্যমের সঙ্গে গুলিয়ে ফেলেছেন।

রোববার সন্ধ্যায় তথ্য ভবন মিলনায়তনে গণযোগাযোগ অধিদপ্তর আয়োজিত জেলা তথ্য অফিসার সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।

বিএনপি মহাসচিব শনিবার (১২ মার্চ) দলীয় কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে ওভার দ্য টপ (ওটিটি) কনটেন্টভিত্তিক পরিষেবা দেওয়া এবং পরিচালনা নীতিমালা-২০২১ খসড়াকে গণমাধ্যমের কণ্ঠরোধের পাঁয়তারা বলে বর্ণনা করেন।

এ বিষয়ে তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী বলেন, ওটিটি প্লাটফর্ম এমন একটি প্লাটফর্ম যেখানে নাটক-সিনেমার মতো এন্টারটেইনমেন্ট কনটেন্ট আপলোড দেওয়া হয়। বাংলাদেশে চরকিসহ কয়েকটি এ ধরনের প্লাটফর্ম আছে। অন্যান্য দেশেরও কিছু ওটিটি প্লাটফর্ম যেমন জি-ফাইভ, হৈচৈ রয়েছে।

তিনি বলেন, এই প্লাটফর্মে এমন ধরনের কনটেন্ট আপলোড করা হচ্ছিল যেগুলো আমাদের কৃষ্টি, সংস্কৃতি এবং মূল্যবোধের পরিপন্থী, এমনকি কিছু ছিল যা প্রায় পর্নোগ্রাফির কাছাকাছি। এগুলো নিয়ে এর আগে বাংলাদেশে অনেক আলোচনা-সমালোচনা হয়েছে, গণমাধ্যমেও ব্যাপক সমালোচনা হয়েছে এবং গণমাধ্যমের অনেকেই এটি নিয়ে একটি নীতিমালা করার তাগিদ দিয়েছেন।

হাইকোর্টের আদেশের প্রেক্ষিতে একটি নীতিমালা আমরা প্রণয়ন করছি উল্লেখ করে তথ্যমন্ত্রী বলেন, ওটিটি প্লাটফর্ম যাতে আরও বিকশিত হয় এবং একটি সুষ্ঠু নীতিমালার ভিত্তিতে পরিচালিত করতে নীতিমালা প্রণয়নের কাজ চলছে। খসড়াটি সবার জন্য উন্মুক্ত করে মন্ত্রণালয়ের ওয়েবসাইটেও দেওয়া হয়েছে।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন, মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মো. মিজান-উল আলম, গণযোগাযোগ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মো. জসীম উদ্দিন।