‘দ্রব্যমূল্য না কমলে রাস্তা ছাড়বে না জাতীয় পার্টি’
জাতীয় পার্টির মহাসচিব মুজিবুল হক চুন্নু বলেছেন, দ্রব্যমূল্য না কমলে এবং বিদেশে অর্থপাচার বন্ধ না হলে জাতীয় পার্টি এ যে তিন বছর পর রাস্তায় নেমেছে আর ফিরে যাবে না।
বৃহস্পতিবার (৩ মার্চ) দুপুরে কাকরাইল জাতীয় পার্টির কার্যালয়ের সামনে আয়োজিত দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির প্রতিবাদে এ মানববন্ধনে এসব কথা বলেন তিনি।
চুন্নু বলেন, এ মুহূর্তে বাংলাদেশ কঠিন সময় পার করছে, যখন দেশে দ্রব্যমূল্য লাফিয়ে বাড়ছে। সংসার চালাতে মানুষ হিমশিম খাচ্ছে। বিশেষ করে করোনাকালে যারা কর্মহীন হয়ে পড়েছে তাদের সবার কর্মসংস্থান হয়নি। সব মিলিয়ে দেশে বেকারের সংখ্যা অন্তত ৫ কোটি। এমন বাস্তবতায় যেভাবে দ্রব্যমূল্য বাড়ছে তাতে মনে হয় দেশের মানুষের প্রতি সরকারের কোনো দরদ নেই।
সরকার মানুষের কষ্ট বোঝে না দাবি করে চুন্নু বলেন, মানুষের মনের ভাষা বোঝে না। ধনী আরও ধনী হচ্ছে। আর দেশের বেশির ভাগ মানুষ দিন দিন আরও গরিব হচ্ছে। মানুষের আয় নেই, কিন্তু ব্যয় বেড়েছে কয়েকগুণ।
তিনি আরও বলেন, সাধারণ মানুষের অভিযোগ, যারা সরকারি দল করে তারাই শুধু ভালো আছে, আর যারা দল করে না (সাধারণ মানুষ) তারা প্রতিদিনের বাজার করতে পারছে না, প্রয়োজনীয় ওষুধ কিনতে পারছে না। অর্থের অভাবে প্রয়োজনীয় চিকিৎসা নিতে পারছে না। শুধু অর্থের অভাবে অনেক সন্তান তার পিতা-মাতার খোঁজ নিতে পারে না।
হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ যখন রাষ্ট্রক্ষমতা ছেড়ে দেন তখন প্রতি কেজি চালের দাম ৮-১০ টাকা ছিল দাবি করে জাপা মহাসচিব বলেন, গত ৩১ বছরে প্রতি কেজি চালের দাম বেড়ে বর্তমানে ৬০-৮০ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে। পল্লীবন্ধুর সময় যে সয়াবিন তেল ২০-২৫ টাকা লিটার বিক্রি হয়েছে, এখন তা ১৮০ টাকা দামে বিক্রি হচ্ছে। আবার পেট্রোলের দাম ছিল ৭-১০ টাকা লিটার, এখন ৯০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। গত তিন বছরের মূল্য বৃদ্ধি পর্যালোচনা করলে দেখা যায়, ২০১৯ সালের জানুয়ারিতে যে সয়াবিনের দাম প্রতি লিটার ছিল ১০৪ টাকা তার বর্তমান মূল্য ১৮০ টাকা। এভাবে চার বছরে প্রতি কেজি চিনি ৫০ টাকা থেকে বেড়ে ৮০ টাকা, মোটা চাল ৪০ থেকে বেড়ে ৫০ টাকা, আটা ২৮ থেকে বেড়ে ৩৮ টাকা, মসুর ডাল ৫৫ থেকে বেড়ে ১০৫ টাকায় দাঁড়িয়েছে।
মন্তব্য করুন