• ঢাকা বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১
logo

পদত্যাগ করেই জয়ের বক্তব্য নিয়ে ২৮ মিনিটের স্ট্যাটাস মুরাদের

আরটিভি নিউজ

  ০৭ ডিসেম্বর ২০২১, ১৬:১৩

তোপের মুখে পড়ে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনায় সদ্য পদত্যাগপত্র জমা দেন তথ্য প্রতিমন্ত্রী ডা. মুরাদ হাসান। পরে প্রধানমন্ত্রীর আইসিটি উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয়ের একটি বক্তব্য নিয়ে তার ভেরিফাইড ফেইসবুক পেজে স্ট্যাটাস দেন তিনি।স্ট্যাটাসটি দেওয়ার পর পর সেটির স্ক্রিনশট আরটিভির কাছে আসে। কিন্তু স্ট্যাটাসটি দেওয়ার মাত্র ২৮ মিনিটের মধ্যে তা আবার সরিয়ে দেন তিনি।স্ট্যাটাসটি হুবহু তুলে ধরা হলো।

মহান মুক্তিযুদ্ধ বাঙালির আবেগের জায়গা, আর বিএনপি সেটা নিয়েই খেলে বলে মন্তব্য করেছেন প্রধানমন্ত্রীর আইসিটি উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয়।

শনিবার (৪ ডিসেম্বর) সজীব ওয়াজেদ জয় নিজের ভেরিফায়েড ফেজবুক পেজে এক পোস্টের মাধ্যমে এ মন্তব্য করেছেন। তিনি বলেন, বাংলাদেশের মহান স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী চলছে। ২০২১ সালের ২৬ মার্চ স্বাধীনতা ঘোষণার এবং ১৬ ডিসেম্বর বিজয় অর্জনের ৫০ বছর পূর্তি। দেশের স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষে বছরব্যাপী বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করছে সরকার। ৭ মার্চের বেশ কয়েকদিন আগে, এই দিবসটি পালনের ঘোষণা দেয় বিএনপি। তখন দেশের মানুষ মুক্তকণ্ঠে তাদের প্রশংসা করতে শুরু করে।

কিন্তু ৭ মার্চ বিএনপির অনুষ্ঠানে দেখা যায়, সেখানে বিএনপি নেতারা জিয়াউর রহমানকে স্বাধীনতার নায়ক ও খালেদা জিয়া-তারেক রহমানকে দেশের সেরা মানুষ হিসেবে দাবি করে। অনুষ্ঠানটি ৭ মার্চ ও মুক্তিযুদ্ধকে কেন্দ্র করে আয়োজন করার ঘোষণা দিলেও বাস্তবে তারা স্বাধীনতার ইতিহাসকে বিকৃত করে উপস্থাপন করেছে। মুক্তিযুদ্ধ ও স্বাধীনতাকে ঢাল হিসেবে ব্যবহার করে জিয়াউর রহমান যেমন উগ্রবাদ প্রতিষ্ঠা করেছে, খালেদা জিয়াও তেমনি মুক্তিযোদ্ধার স্ত্রী পরিচয় ব্যবহার করে দেশকে দুর্নীতিতে চ্যাম্পিয়ন করেছে। তিনি আরও বলেন, জিয়াউর রহমানের ছেলে ও বিএনপির কার্যত প্রধান তারেক রহমানের নেতৃত্বে মির্জা ফখরুলরা আজ যেভাবে সাধারণ মানুষের মুক্তিযুদ্ধের আবেগ নিয়ে খেলা করছে, ঠিক একইভাবে প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকেই এই কাজ করে আসছে বিএনপি। মুক্তিযুদ্ধে পক্ষের শক্তি দাবি করে, সরলপ্রাণ মানুষদের আবেগের সঙ্গে প্রতারণার করে, নিয়মিত মুক্তিযুদ্ধের আদর্শ বিরোধী কাজের নেতৃত্ব দিয়েছে এই বিএনপি। এমনকি স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীর বিষয়ে এতোদিন চুপ থাকলেও, হঠাৎ করেই মাঠে নেমেছে তারা। কারণ, তাদের রাজনীতির অস্তিত্বই টিকে আছে এই কপটতার ওপর। মুক্তিযুদ্ধ বাঙালির আবেগের জায়গা, আর বিএনপি সেটা নিয়েই খেলে। তাদের এই লুকোচুরি খেলার ছদ্মবেশ উন্মোচিত হয়ে পড়লে তারা প্রকৃত অর্থেই পথে বসে যাবে।

তাই যেকোনো মূল্যে ইতিহাস বিকৃত করে, মুক্তিযুদ্ধকে ট্রাম্পকার্ড হিসেবে ব্যবহার করে আসছে তারা। সজীব ওয়াজেদ জয় বলেন, ত্রিশ লাখ মানুষের প্রাণ ও প্রায় চার লাখ নারীর সম্ভ্রমের বিনিময়ে অর্জিত এই মহান স্বাধীনতাকে নিয়ে যারা এহেন নিচুকর্মে লিপ্ত, তারা নৈতিক বিচারে অপরাধী। তাদের এই অপরাধ অমার্জনীয়। দেশবিরোধী এবং মুক্তিযুদ্ধের আদর্শকে নস্যাৎ করার সর্বোচ্চ চেষ্টা চালানোর দায়ে বিএনপির নেতাকর্মীদের দণ্ডপ্রাপ্য। তারা এ দেশকে ধ্বংস করার জন্য যা করেছে, গালভরা বুলি দিয়ে তা ভুলিয়ে দেওয়া যাবে না।

এমএন

মন্তব্য করুন

daraz
  • রাজনীতি এর পাঠক প্রিয়
আরও পড়ুন
ওবায়দুল কাদেরের পদত্যাগ চাওয়ায় শাহবাগ থানায় জিডি
উপজেলা নির্বাচনে অংশ নিতে পদত্যাগ করতে হবে না ইউপি চেয়ারম্যানদের 
পদত্যাগের হুমকি দিলেন এমপি ওদুদ
নেতানিয়াহুর পদত্যাগ দাবিতে উত্তাল ইসরায়েল
X
Fresh