ধর্মান্ধ চক্রান্তের সঙ্গে বিএনপির রাজনৈতিক সম্পর্ক রয়েছে: ১৪ দল
বিএনপি যতদিন ধর্মান্ধদের মাথার ওপরে ছাতা ধরে রাখবে, ততদিন উগ্রবাদীদের আক্রমণের সম্ভাবনা থেকেই যাবে। ধর্মান্ধ চক্রান্তের সঙ্গে বিএনপির একটা রাজনৈতিক সম্পর্ক রয়েছে।
আজ সোমবার (২৫ অক্টোবর) জাতীয় প্রেসক্লাবের তফাজ্জল হোসেন মানিক মিয়া হলে 'সাম্প্রতিক সাম্প্রদায়িক সন্ত্রাস: রাষ্ট্র ও রাজনৈতিক দলের ভূমিকা' শীর্ষক গোলটেবিল আলোচনায় ১৪ দল নেতারা এসব কথা বলেন।
১৪ দলের অন্যতম শরিক জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল (জাসদ) এই গোলটেবিল আলোচনার আয়োজন করে।
সভায় আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য মতিয়া চৌধুরী বলেন, হিন্দুদের মন্দির ও ঘরবাড়িতে হামলার পেছনে গভীর চক্রান্ত রয়েছে। সাম্প্রদায়িক হামলার অজুহাত তৈরি করতে এটিও কেউ সুপরিকল্পিতভাবে করিয়েছে।
জাসদের সভাপতি হাসানুল হক ইনু বলেন, 'আজকের প্রধান চ্যালেঞ্জ হচ্ছে, উগ্রবাদীদের আক্রমণ বাংলাদেশে আর হবে না- এটা নিশ্চিত করা। এই গুরুত্বপূর্ণ রাজনৈতিক প্রশ্নকে নিষ্পত্তি করতে ধর্মান্ধ শত্রুদের চিহ্নিত করতে হবে। এই ধর্মান্ধ চক্রের একটা সংযোগ আছে। এদের সম্পৃক্ততা আছে রাজাকার, জামায়াতে ইসলামী ও পাকিস্তানপন্থার সঙ্গে। সর্বশেষ এই ধর্মান্ধ চক্রান্তের একটা রাজনৈতিক সম্পর্ক আছে বিএনপির সঙ্গে।
হিন্দু সম্প্রদায়ের উদ্দেশ্যে তরিকত ফেডারেশনের সভাপতি নজিবুল বশর মাইজভান্ডারী বলেন, 'নিজেদের সংখ্যালঘু ভাববেন না। দেশের এমন অনেক এলাকা আছে যেখানে হিন্দুরাই সংখ্যাগুরু। যেখানে হিন্দুদের ভোটেই গুরুত্বপূর্ণ নেতা-নেত্রী নির্বাচিত হওয়ার সুযোগ পান। আত্মমর্যাদা নিয়ে থাকবেন, এক থাকবেন। তাহলেই দেশে সংখ্যালঘু-সংখ্যাগুরুর বিষয়টা থাকবে না।'
আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য অ্যাডভোকেট জাহাঙ্গীর কবির নানক বলেন, বিএনপি-জামায়াতের সংঘবদ্ধচক্র মানুষকে বিভাজন করে রাজনৈতিক ফায়দা হাসিলের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে তাদের সেই নীলনকশা কখনোই সফল হবে না।
এসএস/এসকে
মন্তব্য করুন