সাঈদ খোকন ও তার বোনের ৮ ব্যাংক হিসাব ফ্রিজের নির্দেশ
ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) সাবেক মেয়র সাঈদ খোকনের তিনটি প্রতিষ্ঠানসহ মোট ৮টি ব্যাংক হিসাব ফ্রিজের (অবরুদ্ধ) নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। এছাড়া তার মা ফাতেমা হানিফের একটি, বোন শাহানা হানিফের দুটি ও স্ত্রী ফারহানা আলমের দুটি অ্যাকাউন্ট রয়েছে।
সোমবার (২৮ জুন) ঢাকার সিনিয়র স্পেশাল জজ কে এম ইমরুল কায়েস দুদকের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে এ আদেশ দেন।
দুদকের পাবলিক প্রসিকিউটর মাহমুদ হোসেন জাহাঙ্গীর গণমাধ্যমকে বলেন, অভিযোগের ভিত্তিতে দুদক রোববার (২৭ জুন) সাঈদ খোকনের তিনটি প্রতিষ্ঠান, স্ত্রী ফারহানা আলমের দুইটি, বোন শাহানা হানিফের দুইটি ও মায়ের একটি ব্যাংক হিসাব ফ্রিজের আবেদন করে। আদালত আবেদনটি মঞ্জুর করেন।’
এসজে
মন্তব্য করুন
গণতন্ত্র মঞ্চ ও ১২-দলীয় জোটের সঙ্গে বৈঠক, বিদেশ যাচ্ছেন ফখরুল
গণতন্ত্র মঞ্চ ও ১২-দলীয় জোটের নেতারা বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের সঙ্গে বৈঠক করেছেন।
শনিবার (২ মার্চ) বিকেল ৪ টায় গুলশানের বিএনপির চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে ১২-দলীয় জোটের সঙ্গে বৈঠক হয়।
জানা গেছে, পৃথক বৈঠকে বিগত আন্দোলন-কর্মসূচির বিষয়ে সংক্ষিপ্ত পর্যালোচনা ছাড়াও চলমান আন্দোলন এবং পরবর্তী করণীয় বিষয়ে মতবিনিময় হয়। প্রথম বৈঠকে জাতীয় পার্টির (কাজী জাফর) চেয়ারম্যান মোস্তফা জামাল হায়দারের নেতৃত্বে জোট নেতারা উপস্থিত ছিলেন। এরপর সন্ধ্যায় গুলশানে মহাসচিবের বাসায় গণতন্ত্র মঞ্চের নেতাদের সঙ্গে মতবিনিময় হয়। এই বৈঠকে নাগরিক ঐক্যের মাহমুদুর রহমান মান্না, জেএসডির তানিয়া রব, ভাসানী অনুসারী পরিষদের শেখ রফিকুল ইসলাম বাবলুসহ ছয় নেতা উপস্থিত ছিলেন। তবে বৈঠকে আলোচ্য বিষয় সম্পর্কে জোটের নেতারা কিছু খোলাসা করতে রাজি হননি।
বিএনপির সূত্রে জানা গেছে, চিকিৎসার জন্য সোমবার (৪ ফেব্রুয়ারি) সিঙ্গাপুর যাচ্ছেন মির্জা ফখরুল। সেই কারণে সরকারবিরোধী যুগপৎ আন্দোলনের দুই মিত্র জোট গণতন্ত্র মঞ্চ ও ১২-দলীয় জোটের নেতাদের সঙ্গে মতবিনিময় করলেন তিনি।
গণতন্ত্র মঞ্চের অন্যতম শীর্ষ নেতা ও বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক বলেন, বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর চিকিৎসার জন্য দেশের বাইরে যাচ্ছেন। আমরা তার স্বাস্থ্যের খোঁজখবর নিয়েছি, এটি মূলত তার সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাত ছিল।
যে কারণে বিএনপির সঙ্গে বেহেশতেও যেতে চান না কাদের সিদ্দিকী
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বিদেশে বসে নেতৃত্ব দিলে দলটির সঙ্গে বেহেশতে যাবেন না বলে মন্তব্য করেছেন কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের সভাপতি বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী।
রোববার (৩ মার্চ) জাতীয় প্রেস ক্লাব মিলনায়তনে এক এক আলোচনা সভায় তিনি এ মন্তব্য করেন।
বঙ্গবীর বলেন, আমাদের ভাতিজা তারেক রহমান ইংল্যান্ডে বসে যদি বিএনপির নেতা হন, নেতৃত্ব দেন তাহলে আমি সেই বিএনপির সঙ্গে বেহেশতে যেতে চাই না। এ ছাড়া আল্লাহ যদি জামায়াতের সঙ্গেও আমাকে বেহেশতে নিতে চান তাহলেও আমি যাব না।
তিনি বলেন, তারেক রহমান লন্ডনে থেকে বাংলাদেশের মানুষকে নেতৃত্ব দিতে পারবে না। এতে যদি আমার ফাঁসিও হয়, সেটাকেও মঞ্জুর করব। তারপরেও লন্ডনে বসা তারেকের নেতৃত্ব কোনোমতেই গ্রহণ করব না।
এ সময় বিএনপির সঙ্গে যুগপৎ আন্দোলনে থাকা নেতাদের উদ্দেশে কাদের সিদ্দিকী বলেন, জনগণকে দেশের মালিক করার জন্য যদি সংগ্রাম করতে পারেন, সেই সংগ্রামে আমি মৃত্যু পর্যন্ত আপনাদের সঙ্গে আছি।
তিনি বলেন, এই আওয়ামী লীগ মওলানা ভাসানী ও বঙ্গবন্ধুর আওয়ামী লীগ নয়। এটা লুটপাটকারীদের আওয়ামী লীগ। সে জন্য এ দেশের মানুষের হাতে ক্ষমতা ফিরিয়ে আনার জন্য আমাদের সবাইকে একত্র হয়ে সংগ্রাম করতে হবে।
জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের (জেএসডি) এই আলোচনা সভায় বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আবদুল মঈন খান, বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক, বাংলাদেশ জাসদের সাধারণ সম্পাদক নাজমুল হক প্রধান, জাতীয় শ্রমিক জোটের সভাপতি মেজবাহ উদ্দিন আহমেদ, নাগরিক ঐক্যের সাধারণ সম্পাদক শহিদুল্লাহ কায়সারসহ অনেকেই উপস্থিত ছিলেন।
‘বিএনপি নির্বাচনে যাবে কি না, বলারও সুযোগ দেয়নি সরকার’
‘দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিএনপি নির্বাচনে যাবে কি যাবে না, সরকার সে কথা বলারও সুযোগ দেয়নি’ বলে অভিযোগ করেছেন দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস।
মঙ্গলবার (৫ মার্চ) বিকেলে রাজধানীর নয়াপল্টনে দলীয় কার্যালয়ে যুবদলের নিহত দুই নেতার পরিবারকে আর্থিক সহায়তাদান অনুষ্ঠানে তিনি এই অভিযোগ তোলেন।
মির্জা আব্বাস বলেন, পরিকল্পনা করেই গত বছরের ২৮ অক্টোবরের মহাসমাবেশ পণ্ড করেছে সরকার। মূলত বিএনপিকে নির্বাচন থেকে দূরে রাখতেই এমনটা করা হয়েছে।
তিনি বলেন, আমরা বারবার বলেছি, নির্বাচনে যাওয়ার জন্য পরিবেশ তৈরি করতে হবে। কিন্তু তারা (সরকার) তা করেনি। ক্ষমতায় টিকে থাকতে হাজারও পরিবারকে শেষ করা হয়েছে। ৪০ বছর পরে যদি কোনো নেতার বিচার হতে পারে, এসব হত্যাকাণ্ডের বিচার হবে। এই সরকার কখনোই টিকে থাকতে পারবে না। জনরোষে তাদের বিদায় নিতে হবে।
এবারের জেলের তিক্ত অভিজ্ঞতা তুলে মির্জা আব্বাস বলেন, আমি ১৯৭৮ সাল থেকে কারাগারে আসা-যাওয়ার কারণে অভ্যস্ত হয়ে গেছি। এবার জেলখানায় একজন মানুষ ঢোকা মানে হলো তার মৃত্যুদণ্ড নিয়ে ঢোকা। আমাকে একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা স্পষ্টভাবে বললেন, আপনাদের বাইরে গিয়ে চিকিৎসা দেওয়া নিষেধ।
বিএনপির ২ নেতা হাসপাতালে ভর্তি
শারীরিক অসুস্থতা নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান বরকতউল্লাহ বুলু এবং সাংগঠনিক সম্পাদক শামা ওবায়েদ।
বুধবার (৬ মার্চ) বিএনপির মিডিয়া সেলের সদস্য শায়রুল কবির খান এ তথ্য জানিয়েছেন।
তিনি বলেন, বিএনপির এই দুই নেতাই রাজধানীর এভার কেয়ার হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন। এরমধ্যে মঙ্গলবার (৫ মার্চ) সকালে শামা ওবায়েদ এবং রাতে বরকতউল্লাহ বুলু ভর্তি হন।
জানা গেছে, ডা. মনোয়ারা বেগমের তত্ত্বাবধানে শামা ওবায়েদের একটি অপারেশন হয়েছে। তবে, কি সমস্যা নিয়ে তিনি হাসপাতালে ভর্তি ও অপারেশন করিয়েছেন তা জানা যায়নি।
এ ছাড়া বুকের ব্যথা নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন বরকতউল্লাহ বুলু।
নতুন কর্মসূচি ঘোষণা বিএনপির
বিদ্যুৎ, গ্যাস ও জ্বালানিসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের অস্বাভাবিক মূল্যবৃদ্ধির প্রতিবাদে নতুন কর্মসূচি ঘোষণা করেছে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল- বিএনপি।
নতুন কর্মসূচি অনুযায়ী আগামী শনিবার ঢাকা মহানগরসহ দেশব্যাপী বিএনপির উদ্যোগে লিফলেট বিতরণ ও গণসংযোগ অনুষ্ঠিত হবে।
বুধবার (৬ মার্চ) বিকালে রাজধানীর নয়াপল্টন দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এই কর্মসূচি ঘোষণা করেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী।
তিনি বলেন, বিদ্যুৎ, গ্যাস, জ্বালানি ও নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের অস্বাভাবিক মূল্যবৃদ্ধির প্রতিবাদে আগামী ৯ মার্চ (শনিবার) ঢাকাসহ দেশব্যাপী লিফলেট বিতরণ ও গণসংযোগ কর্মসূচি পালন করা হবে।
বিএনপির এই নেতা বলেন, ক্ষমতায় আসার পর আওয়ামী লীগ সরকার জ্বালানি খাতে বিনিয়োগ আকৃষ্ট করার জন্য লন্ডন ও সিঙ্গাপুরে রোড-শো করেছিল। কিন্তু এ খাতে তারা বিদেশি বিনিয়োগ আনতে পারেনি।
রিজভী বলেন, বিদ্যুৎ খাতকে লোপাট করে আইনের হাত থেকে রেহাই পেতে ইনডেমনিটি আইন তৈরি করেছে। গত ১৪ বছরে বিদ্যুতের দাম বেড়েছে ১৩০ শতাংশ। ১৩ বার দাম বাড়ানো হয়েছে।
চিনি, খেজুরের দাম বৃদ্ধির কথা তুলে ধরে বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব বলেন, মানুষ আর খেজুর কিনতে পারছে না। প্রতি কেজিতে খেজুরের দাম ৫০০-৭০০ টাকা বেড়েছে। এটা অস্বাভাবিক ঘটনা।
শিল্পমন্ত্রীর বরই দিয়ে ইফতারের পরামর্শে রিজভী বলেন, ডামি সরকারের মন্ত্রীরা সাধারণ মানুষের সাথে তুচ্ছতাচ্ছিল্য ব্যবহার করছেন। মুক্তির চেতনা বিক্রি করা আওয়ামী লীগ মুক্তিযোদ্ধাদের বেশি অপমানিত করেছে বলে জানান তিনি।
পিটার হাসের সঙ্গে জি এম কাদেরের ঘণ্টাব্যাপী বৈঠক
ঢাকায় নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার ডি হাসের সঙ্গে হঠাৎ বৈঠক করেছেন জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান ও বিরোধীদলীয় নেতা জি এম কাদের।
বুধবার (৬ মার্চ) বিকেলে যুক্তরাষ্ট্র দূতাবাসে তারা ঘণ্টাব্যাপী বৈঠক করেন। বেলা তিনটা থেকে চারটা পর্যন্ত এই বৈঠক চলে।
এ সময় জি এম কাদেরের সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন তার রাজনৈতিক উপদেষ্টা মাশরুর মওলা। বৈঠকের বিষয়টি নিশ্চিত করেন তিনি।
মাশরুর মওলা বলেন, নির্বাচনের পর সৌজন্য সাক্ষাৎ হয়েছে। নানা বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। সংসদে বিরোধী দল হিসেবে জাতীয় পার্টির অবস্থান নিয়েও কিছু আলোচনা হয়েছে।
সরকারি অর্থে মডেল মসজিদ তৈরি সংবিধান পরিপন্থি : শাহরিয়ার কবির
সরকারের নিজস্ব অর্থায়নে সারাদেশে মডেল মসজিদ তৈরি সংবিধানের পরিপন্থি বলে মন্তব্য করেছেন একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির সভাপতি শাহরিয়ার কবির।
বুধবার (৬ মার্চ) সন্ধ্যায় রংপুর পাবলিক লাইব্রেরি হল রুমে এক অনুষ্ঠানে তিনি এ মন্তব্য করেন।
শাহরিয়ার কবির বলেন, কাদের টাকা দিয়ে দেশে ৫৬০টা মডেল মসজিদ বানিয়েছে সরকার? আমাদের জনগণের ট্যাক্সের টাকা দিয়ে এগুলো বানানো হয়েছে। এটা সংবিধান পরিপন্থি।
তিনি বলেন, সংবিধানের ৭-এর ‘ক’ ধারায় পরিষ্কারভাবে বলা হয়েছে, রাষ্ট্র কোনো বিশেষ ধর্মকে পৃষ্ঠপোষকতা করবে না। আপনি যদি ৫৬০টা মডেল মসজিদ বানান, কেন আপনি ৫৬টা মন্দির প্যাগোডা গির্জা বানাবেন না? আর তাই যদি করতে হয় তাহলে সমস্ত অর্থ সেখানে আপনি ব্যয় করুন।
তিনি আরও বলেন, আপনারা দুর্নীতি নিয়ে আওয়ামী লীগকে তুলোধুনো করতে পারেন। কিন্তু আপনাদের মনে রাখতে হবে এর চেয়েও বড় বিপদ আমাদের সামনে আছে। দুর্নীতির বাইরে কোনো দেশ আছে এই উপমহাদেশে? একটি দেশের নাম বলুন। ভারত দুর্নীতির বাইরে? পাকিস্তান দুর্নীতির বাইরে? কিন্তু যেভাবে আমাদের সমাজ রাজনীতির মৌলবাদীকরণ-সাম্প্রদায়িকীকরণ হচ্ছে, এটাকে প্রতিহত করতে না পারলে বাংলাদেশ আর বাংলাদেশ থাকবে না। বাংলাদেশ পাকিস্তান হয়ে যাবে। পাকিস্তান মানে পাকিস্তানের মতো ব্যর্থ রাষ্ট্র, সন্ত্রাসী রাষ্ট্র হয়ে যাবে। আমাদের উদ্বেগটা হচ্ছে সেই জায়গায়।
শাহরিয়ার কবির বলেন, ঘাতক-দালাল নির্মূল কমিটি সংবিধানের মর্যাদা প্রতিষ্ঠায় নাগরিক আন্দোলন করছে। কিন্তু এখন আমরা যে আগামীর নাগরিক আন্দোলনের কথা বলছি, তা নির্মূল কমিটির একার দায়িত্ব নয়। এর সঙ্গে যত সমমনা সামাজিক, সাংস্কৃতিক, রাজনৈতিক, পেশাজীবী সংগঠন এবং ব্যক্তি আছেন, তাদের সবার দায়িত্ব । যেখানে বিরোধী দল অনুপস্থিত থাকে সেখানে নাগরিকদেরকে দায়িত্ব পালন করতে হয়। এটি বাংলাদেশের ক্ষেত্রে নয়, সমস্ত গণতন্ত্রের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য।