• ঢাকা শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১
logo

মামুনুলের বিয়ে বিতর্কে জরুরি বৈঠকে যা বললেন হেফাজতের শীর্ষ নেতারা

আরটিভি নিউজ

  ০৫ এপ্রিল ২০২১, ২৩:০৪
What the top leaders of Hefazat said in the emergency meeting on the question of Mamunul's marriage
ফাইল ছবি

হেফাজতে ইসলামের কেন্দ্রীয় যুগ্ম মহাসচিব ‘মাওলানা মামুনুল হক গত ৩ এপ্রিল তার স্ত্রীকে নিয়ে সোনারগাঁও রির্সোটে গিয়েছিলেন। ইসলামী শরিয়তের আলোকে তার বিবাহ পরিপূর্ণ শুদ্ধ মর্মে আমরা নিশ্চিত হয়েছি। এ নিয়ে বিভ্রাতির কোনো অবকাশ নেই।’ দলের জরুরি বৈঠকে এমনটিই বলেছেন হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের ঢাকাস্থ কেন্দ্রীয় কমিটির শীর্ষ নেতৃবৃন্দ।

আজ সোমবার (৫ এপ্রিল) দুপুরে হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের ঢাকাস্থ কেন্দ্রীয় কমিটির শীর্ষ নেতৃবৃন্দের জরুরি বৈঠক জামিয়া রাহমানিয়ায় অনুষ্ঠিত হয়। নায়েবে আমীর মাওলানা আব্দুল হামিদ পীর সাহেব মধুপুরী সভাপতিত্ব করেন এই সভার। সভায় নেতৃবৃন্দ বলেছেন, দেশের যে কোনো নাগরিক তার স্ত্রী-পরিবার নিয়ে যেকোনো স্থানে যাওয়ার অধিকার রাখে। কিন্তু মাওলানা মামুনুল হকের মতো পরিচিত ও সম্মানিত ব্যক্তির ওপর সন্ত্রাসীরা যেভাবে ঝাপিয়ে পড়েছে, আমরা তার তীব্র নিন্দা জ্ঞাপন করছি এবং অভিযুক্তদেরকে বিচারের আওতায় আনার জোর দাবি জানাচ্ছি।

তারা আরো বলেন, জাতীয় সংসদে একজন নাগরিকের ব্যক্তিগত বিষয়কে যেভাবে উপস্থাপন করা হয়েছে, এটা জনগণ কখনোই আশা করেনি। আমরা এ বক্তব্য প্রত্যাহার করার আহ্বান জানাই। নেতৃবৃন্দ আরো বলেছেন, গত ২৬, ২৭, ২৮ মার্চ বাইতুল মুকাররম, হাটহাজারী, বি-বাড়িয়া, মুন্সিগঞ্জসহ সারা দেশে হেফাজতকর্মী ও প্রতিবাদী মানুষের ওপর হামলা করা হয়েছে। এতে বি-বাড়িয়া ও হাটহাজারীতে ২০ জন শাহাদাৎ বরণ করেছে। এসব হত্যাকাণ্ড ও হামলার বিষয়ে বিভাগীয় তদন্তের মাধ্যমে দোষীদেরকে শাস্তির আওতায় আনতে হবে। সারা দেশের বিভিন্ন স্থানে আমাদের অসংখ্য কর্মীদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাদেরকে অবিলম্বে নিঃশর্ত মুক্তি দিতে হবে।

তারা বলছেন, হেফাজত নেতাকর্মীদের বাসায় বাসায় হয়রানি এবং মাদরাসাসমূহে হামলা ও হায়রানির ঘটনা ঘটছে, তা বন্ধ করতে হবে। শহিদ পরিবার ও আহতদের খোঁজ খবর নিতে হেফাজতের কেন্দ্রের পক্ষ থেকে একটি টিম শিগগিরই বি-বাড়িয়া ও হাটহাজারীতে সফর করবে এবং হতাহতের একটি প্রতিবেদন তৈরি করবেন।

নেতৃবৃন্দ আরও বলেছেন, মুন্সিগঞ্জের সিরাজদীখানের মধুপুরে গত হরতালের দিনে সরকার দলীয় ক্যাডার ও পুলিশ বাহিনী যে তাণ্ডব চালিয়েছে তা বর্ণনাতীত। হেফজাতে ইসলামের নায়েবে আমীর মাওলানা আব্দুল হামিদ মধুপুরীকে গুলি করে আহত করা হয়েছে। তার পরেও সেখানকার স্থানীয় জনগণকে বিভিন্নভাবে হুমকি-ধমকি দেওয়া হচ্ছে। এ বিষয়ে আগামী ৮ এপ্রিল বৃহস্পতিবার মুন্সিগঞ্জ কুচিয়ামারাতে হেফাজতে ইসলামের উদ্যোগে দেশব্যাপী হত্যা ও হামলা-মামলার প্রতিবাদে বিক্ষোভ সমাবেশের আয়োজন করা হয়েছে।

সভায় উপস্থিত ছিলেন হেফাজতে ইসলামের মহাসচিব মাওলানা নুরুল ইসলাম, উপদেষ্টা মাওলানা আবুল কালাম, নায়েবে আমির মাওলানা আব্দুল আউয়াল, মাওলানা মাহফুজুল হক, অধ্যাপক আহমদ আব্দুল কাদের, মাওলানা আব্দুর রব ইউসুফী, যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা জুনায়েদ আল হাবিব, মাওলানা মামুনুল হক, মাওলানা ফজলুল করিম কাসেমী, মাওলানা খালেদ সাইফুল্লাহ আইয়ুবী, সহকারী মহাসচিব মাওলানা খুরশিদ আলম কাসেমী, মাওলানা মুজিবুর রহমান হামিদী, মাওলানা হাসান জামিল, মাওলানা জসিমউদ্দীন, মাওলানা সাখাওয়াত হোসাইন রাজী, মাওলানা মুসা বিন ইজহার, অর্থ সম্পাদক মাওলানা মুনির হোসাইন কাসেমী, ঢাকা মহানগর সহ-সভাপতি মাওলানা আহমদ আলী কাসেমী, কেন্দ্রীয় সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক মাওলানা আতাউল্লাহ আমিন, সহ-প্রচার সম্পাদক ফয়সাল আহমদ, সহ-অর্থ সম্পাদক মাওলানা জাকির হোসাইন কাসেমী, সহকারী সমাজকল্যাণ সম্পাদক মাওলানা গাজী ইয়াকুব, ঢাকা মহানগর সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক মাওলানা আজিজুর রহমান হেলাল, মাওলানা ফজলুর রহমান প্রমুখ।

কেএফ

মন্তব্য করুন

daraz
  • রাজনীতি এর পাঠক প্রিয়
আরও পড়ুন
সন্ধ্যায় জরুরি বৈঠকে বসছে আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী সংসদ
দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি নিয়ন্ত্রণে জরুরি বৈঠকে মন্ত্রীরা
X
Fresh