লেখক মুশতাককে অন্যায়ভাবে কারাগারে হত্যা করা হয়েছে: ফখরুল
বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, এই সরকারের কোনো বৈধতা নেই। তারা জনগণের ভোটে নির্বাচিত হয়নি। এই সরকার জোর করে ক্ষমতায় টিকে আছে। আমি বলতে চাই—অবিলম্বে পদত্যাগ করে নিরেপক্ষ সরকার ও নিরপেক্ষ নির্বাচন কমিশনের অধীনে নির্বাচন দিয়ে জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠা করুন।
জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে জাতীয়তাবাদী যুবদল আয়োজিত বিক্ষোভ সমাবেশে বৃহস্পতিবার (৪ মার্চ) দুপুরে এসব কথা বলেন। লেখক মুশতাক আহমেদ ও ফেনীর সাংবাদিক বোরহান উদ্দিন মোজাক্কির হত্যার প্রতিবাদে এই বিক্ষোভ সমাবেশের আয়োজন করা হয়।
মির্জা ফখরুল বলেন, লেখক মুশতাক আহমেদকে ডিজিটাল সিকিউরিটি আইনে গ্রেপ্তার করে অন্যায়ভাবে কারাগারে হত্যা করা হয়েছে। আমরা প্রথমেই বলেছিলাম, এটি রাষ্ট্রীয় মদদে হত্যাকাণ্ড। আমরা বিচারবিভাগীয় তদন্ত দাবি করেছি। শুধু একটি নয়, এই ডিজিটাল সিকিউরিটি আইনে প্রায় ৭০০ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। সবচেয়ে বেশি ভুক্তভোগী আমাদের সাংবাদিক ভাইয়েরা।
তিনি বলেন, এই সরকার একটি অবৈধ সরকার। অনির্বাচিত সরকার। তাদের জোর করে ক্ষমতায় টিকে থাকতে হচ্ছে। টিকে থাকার জন্যই এই ধরনের গণবিরোধী আইন তারা তৈরি করেছে। এই আইনের মাধ্যমে জনগণের কথা বলার অধিকার কেড়ে নিয়েছে। আজকে এই সমাবেশ থেকে ডিজিটাল সিকিউরিটি আইনে যাদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে, যেসব রাজনৈতিক নেতাকর্মীদের বিনাকারণে গ্রেপ্তার করা হয়েছে, তাদের সবার মুক্তি দাবি করছি।
বিএনপি মহাসচিব বলেন, আমি পরিষ্কার বলতে চাই, দেশনেত্রী খালেদা জিয়াকে মিথ্যা মামলা দিয়ে আটক করে রেখেছেন, তাকে অবিলম্বে মুক্তি দিন। ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানসহ যাদের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলায় সাজা দিয়েছেন সেই সাজা প্রত্যাহার করতে হবে। ৩৫ লাখ মানুষের বিরুদ্ধে যে মিথ্যা গায়েবি মামলা আছে তা সব প্রত্যাহার করতে হবে। অবিলম্বে পদত্যাগ করে নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নিরপেক্ষ নির্বাচন কমিশনের পরিচালনায় নির্বাচন দিয়ে জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠা করতে হবে।
যুবদলের সভাপতি সাইফুল আলম নীরবের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক সুলতান সালাউদ্দীন টুকুর সঞ্চালনায় সমাবেশে আরও বক্তব্য দেন- বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আমান উল্লাহ আমান, প্রচার সম্পাদক শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানি প্রমুখ।
পি
মন্তব্য করুন