আল্লামা শফীর মৃত্যু ‘অস্বাভাবিক’ তদন্ত দাবি
আল্লামা আহম্মদ শফীর মৃত্যু স্বাভাবিক নয়। তার অস্বাভাবিকভাবে মৃত্যু হয়েছে উল্লেখ করে তদন্তের দাবি করেছেন হেফাজতে ইসলামের সাবেক যুগ্ম মহাসচিব ও ইসলামী ঐক্য জোটের মহাসচিব আল্লামা মুফতি ফয়জুল্লাহ।
বুধবার (১৬ ডিসেম্বর) সকালে চট্টগ্রামে আল্লামা শাহ আহমদ শফীর জীবনকর্ম, অবদান শীর্ষক আলোচনা ও মতবিনিময় সভায় তিনি এ কথা বলেন।
নগরীর প্রেসক্লাবে আহম্মদ শফীর অনুসারীরা অনুষ্ঠানের আয়োজন করেন। মতবিনিময় সভায় আল্লামা শফীর ছেলে আনাস মাদানী, হেফাজতে ইসলামের আগের কমিটির যুগ্ন সচিব মাইনুদ্দিন রুহী, মাওলানা সলিমুল্লাহসহ শফীপন্থী নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
আলোচনা ও মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে আল্লামা মুফতি ফয়জুল্লাহ বলেন, এখন থেকে আমরা সামনে যাবো, পেছনের দিকে যাবো না। যারা ষড়যন্ত্র করেছে, মিথ্যাচার করেছে, অর্থের যোগান দিয়েছে, তারাই হেফাজতে ইসলামের মূল শত্রু। আমাদের আন্দোলনকে যেমন সামনের দিকে এগিয়ে নিতে হবে, তেমনি যেকোনো ধরনের ত্যাগ স্বীকার করার জন্য আলেম-ওলামাদের প্রস্তুত থাকতে হবে।
তিনি বলেন, ঢাকায়, ফটিকছড়ি কিংবা হাটহাজারীতে কারা ষড়যন্ত্র করেছে সময় হলেই জাতির কাছে সব প্রকাশ করব।
ফয়জুল্লাহ আরও জানান, আল্লামা শফীর মৃত্যুর কারণ অনুসন্ধান নিয়ে সরকার উদ্যোগী না হলে মানুষ আইন নিজের হাতে তুলে নিতে বাধ্য হবেন।
এর বাইরে ২০১৩ সালে শাপলা চত্বর কান্ডে এককভাবে জুনায়েদ বাবুনগরী দায়ী বলেও উল্লেখ করেন মুফতী ফয়জুল্লাহ।
এ সময় হেফাজতে ইসলামের সাবেক যুগ্ম মহাসচিব মাইনুদ্দিন রুহী অভিযোগ করে বলেন, পরিকল্পিতভাবে আল্লামা আহমদ শফীকে হত্যা করা হয়েছে। এ ঘটনার সাথে যারা জড়িত, তাদের বিচার বিভাগীয় তদন্ত করতে হবে।
মাইনুদ্দিন রুহী বলেন, বর্তমান হেফাজতের ১৫১ কমিটির মধ্যে জুনায়েদ জুনায়েদ বাবুনগরীর ২২ জন আত্মীয় স্বজন রয়েছে। জমিয়াতুল ওলামায়ে ইসলাম নামে একটা দলের ৩৭ জন স্থান পেয়েছে বাবুনগরীর কমিটিতে। হেফাজতের বর্তমান তথাকথিত কমিটি স্বজনপ্রীতির ফসল বলেও উল্লেখ করেন তিনি। ক্ষমতাকে পাকাপুক্ত করতে বাবুনগরী নিজের পরিবার থেকৈ ২২ জনকে হেফাজতের কমিটিতে রেখেছেন বলেও মন্তব্য করেন তিনি ।
আল্লামা আহম্মদ শফীর শেষ তিন দিনের কথা বর্ণনা করতে গিয়ে কান্নায় ভেঙে পড়েন আলেম-ওলামারা। তাদের অভিযোগ, আল্লামা শফির ওপর তিলে তিলে নির্যাতন করা হয়েছে। গৃহবন্দি করে তিলে তিলে নির্যাতনের মাধ্যমে শাহাদাত বরণ করতে বাধ্য করা হয়েছে। খাবার, ওষুধ বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল। অ্যাম্বুলেন্স বন্ধ ছিল। এটাই হত্যার মূল কারণ।
জিএ
মন্তব্য করুন