• ঢাকা শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০
logo

সম্ভাব্যতা যাচাই না করেই প্রকল্প নেয়া হয়েছিল: মেয়র তাপস

আরটিভি নিউজ

  ১১ নভেম্বর ২০২০, ১৫:০৮
The project was taken up without feasibility study: Mayor Tapas
ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস

সম্ভাব্যতা যাচাই না করেই অনেকগুলো প্রকল্প গ্রহণ করা হয়েছিল বলে মন্তব্য করেছেন ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস। প্রতি বুধবারের নিয়মিত সাপ্তাহিক পরিদর্শন কার্যক্রমের অংশ হিসেবে আজ সকালে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের সামনে উপস্থিত সাংবাদিকদের তিনি একথা বলেন।

এর আগে তিনি হলি ফ্যামিলি হাসপাতাল, মৎস্য ভবন, শাঁখারীবাজার, নয়াবাজার, মেয়র হানিফ ফ্লাইওভারের ঢাকা ডেমরা রোডস্থ টোল প্লাজা এবং ঢাকা মেডিকেল সংলগ্ন নির্মাণাধীন ফুট ওভারব্রিজগুলোর কার্যক্রম পরিদর্শন করেন।

কেস (CASE) প্রকল্পের আওতায় পরিবেশবান্ধব অনেকগুলো ফুটওভার ব্রিজ নির্মাণ করা হয়েছিল যেখানে গাছ-গাছালি লাগানো হয়। যদিও নির্মাণের কিছুদিন পর থেকেই সেখানে আর গাছ-গাছালি দেখা যায়নি। এ প্রশ্নের জবাবে ডিএসসিসি মেয়র ব্যারিস্টার শেখ তাপস বলেন, এজন্য আমি মনে করছি, সরেজমিনে এগুলো পরিদর্শন করা দরকার। যথার্থতা যাচাই করা দরকার। কারণ, অনেকগুলো প্রকল্প নেওয়া হয়েছিল যেগুলোর সম্ভাব্যতা যাচাই করা হয়নি। সুতরাং সম্ভাব্যতা যাচাই না করে যত্রতত্র যে প্রকল্পগুলো নেওয়া হয়, আমরা পরবর্তীতে দেখি সেগুলো সঠিক বাস্তবায়নও হয় না এবং সেগুলো কার্যকরও হয় না।

মৎস্য ভবনের কোণায় ও হাইকোর্টের সামনে এবং পুরান ঢাকার জজ কোর্টের সামনে নির্মাণাধীন ফুট ওভারব্রিজ দুটির খুবই চাহিদা রয়েছে। এ দুটোর কাজ জরুরিভিত্তিতে নির্মাণের নির্দেশনা দিয়েছেন জানিয়ে ডিএসসিসি মেয়র ব্যারিস্টার তাপস বলেন, বাকি বেশ কয়েকটির কাজ এখনো শুরু হয়নি। দীর্ঘসূত্রিতা রয়েছে এবং অনেকগুলো প্রকল্পের দীর্ঘদিন ধরে কোনো কাজই হয়নি। যেমন আমরা যেখানে দাঁড়িয়ে কথা বলছি, ঢাকা মেডিকেলের সামনের এই ফুটওভার ব্রিজটি নির্মাণের কাজ এখনো শুরুই হয়নি। শুধু লিফট ফ্লোর করা হয়েছে। এ রকম দুটো ফুট ওভারব্রিজে লিফট খাতে সংযোজন করা হয়েছে। সেগুলো সম্ভাব্যতা যাচাই করা উচিত ছিল। কারণ এগুলো কতটুকু যথার্থ হবে, মানুষ কতটুকু লিফট ব্যবহার করবে সেসব কার্যকারিতা যাচাই না করে প্রকল্প গ্রহণ করা সমীচীন হয়নি। এ ধরনের বিষয়গুলো আমরা খতিয়ে দেখছি, যাতে করে এসব কাজে দুর্নীতির কোনো সংশ্লিষ্টতা না থাকে এবং জনগণ যেন এটার সুফল পায়।

ঢাকার অনেক পুরোনো বাস চলাচল করছে এবং নিবন্ধনের উদ্যোগ নেওয়ার পরেও এখনো নিবন্ধনহীন লাখ লাখ রিকশা ঢাকায় চলছে। এ বিষয়ে আপনাদের পরবর্তী পদক্ষেপ কবে থেকে শুরু হবে? সাংবাদিকের এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, দীর্ঘ ৩৪ বছর পর রিকশা নিবন্ধনের কার্যক্রম শুরু হয়েছে। আবেদন পরবর্তী নিবন্ধনের প্রয়োজনীয় কিছু আনুষ্ঠানিকতা রয়েছে। আমরা আশা করছি, এই মাসের মধ্যেই একটি পর্যায়ে আমরা যেতে পারব। আর গতকাল আমরা বাস রুট রেশনালাইজেশন কমিটির যে বৈঠক করেছি সেখানে দুটি সিদ্ধান্তে উপনীত হয়েছি। তার মধ্যে একটি হলো- পুরান বাস বাদ যাবে, নতুন বাস সংযোজিত হবে।

পরিদর্শনকালে মেয়রের সঙ্গে আরও উপস্থিত ছিলেন করপোরেশনের প্রধান নির্বাহী প্রকৌশলী রেজাউর রহমান, সচিব আকরামুজ্জামান, প্রধান সম্পত্তি কর্মকর্তা রাসেল সাবরিন, প্রধান রাজস্ব কর্মকর্তা আরিফুল হকসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।
পি

মন্তব্য করুন

daraz
  • রাজনীতি এর পাঠক প্রিয়
আরও পড়ুন
আপনার মোবাইলটির বৈধতা যাচাই করবেন যেভাবে
প্রকল্প গ্রহণের আগে সম্ভাব্যতা যাচাইয়ের নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর
ভোট শেষে প্রার্থীদের সম্পদের হিসাব যাচাই করবে দুদক
X
Fresh