আ. লীগ নয়, পুলিশকে ভয় পায় মানুষ: ফখরুল

মাসখানেক ধরে দুর্বৃত্তরা এ কাজ করেছে। পুলিশ কিছু করেনি। কারণ সারা দেশে সরকারের কোনও নিয়ন্ত্রণ নেই। ভোটচুরির সরকার প্রশাসনকে ব্যবহার করেছে। তাই মানুষ আওয়ামী লীগকে ভয় পায় না। ভয় পায় পুলিশকে। নোয়াখালীর বেগমগঞ্জে ধর্ষণের ঘটনার তীব্র সমালোচনা করে এসব কথা বলেছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

আরও পড়ুনঃ

বউ ফেরত চান আওয়ামী লীগ নেতা, ছাত্রলীগ নেতা দিতে নারাজ

গৃহবধূকে র্ধষণের অভিযোগে আওয়ামী লীগ নেতা গ্রেপ্তার

আওয়ামী লীগ জনরোষের আতঙ্কে আছে: রিজভী

আজ বৃহস্পতিবার (৮ অক্টোবর) রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে এক ধর্ষণবিরোধী অবস্থান কর্মসূচি পালন করেছে বিএনপি। সেখান থেকে সরকার পতনেরও ডাক দিয়েছে দলটি। কর্মসূচিতে বিএনপির মহাসচিব বলেন, এ কর্মসূচি জনগণের মধ্যে নতুন আশার আলো সঞ্চার করেছে। এটি সারাদেশে ছড়িয়ে পড়বে। এ দেশের মানুষ কখনও অন্যায়ের কাছে মাথা নত করেনি। কখনও একনায়ক, স্বৈরাচার ও ফ্যাসিবাদকে মেনে নেয়নি।

জাতি মহাসংকটের মধ্যে আছে বলেও দাবি করেছেন মির্জা ফখরুল। তিনি বলেন, এ সংকট মানুষের অস্তিত্বের সংকট। এসময় তিনি বাংলাদেশে নারী নির্যাতন বেড়ে যাওয়া প্রসঙ্গে জাতিসংঘের মহাসচিবের বিবৃতি নিয়েও মন্তব্য করেন। মির্জা ফখরুল বলেন, এর মাধ্যমে বাংলাদেশের মানুষের ইজ্জত মাটির সঙ্গে মিশে গেছে। বাংলাদেশে ন্যূনতম গণতান্ত্রিক অধিকার নেই। সরকারের বিরুদ্ধে একটা কিছু বললেই জেলে দেয়া হয়। তিনি আরও বলেন, স্বৈরাচার পরাজিত হবে। আমরা জয়ী হবো।

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেন, মানুষ করোনার ভ্যাকসিন চায় না। মানুষ ধর্ষণবিরোধী ভ্যাকসিন চায়। মানুষ এখন মানসম্মান নিয়ে মরতে চায়। শেখ হাসিনাকে বিদায় দেয়াই সেই ভ্যাকসিন। এসময় তিনি বলেন, দেশ স্বাধীন হয়েছে জীবন ও রক্ত দিয়ে। গণতন্ত্রকেও তা দিয়ে রক্ষা করতে হবে।

নারী ও শিশু অধিকার ফোরামের ব্যানারে আয়োজিত এ অবস্থান কর্মসূচিতে সংহতি জানিয়ে বক্তব্য দেন নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক মাহমুদুর রহমান মান্না। তিনি বলেন, প্রশাসন দিয়ে জনগণের ভোটের অধিকার ডাকাতি করেছে। আওয়ামী লীগ এখন ডাকাত, লুটেরা, ধর্ষকের দলে পরিণত হয়েছে।

এ/এম