• ঢাকা শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০
logo

শেখ হাসিনা স্বপ্ন দেখেন, স্বপ্ন দেখান ও বাস্তবায়ন করেন

আরটিভি নিউজ

  ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২০, ১১:০২
Sheikh Hasina dreams, shows and realizes dreams
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা

বাংলাদেশের স্বাধীনতার কাণ্ডারি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ৭৪তম জন্মদিন আজ। এই করোনা মহামারির মধ্যেও যার নেতৃত্ব বিশ্বে উন্নয়নের মহাসড়কে বাংলাদেশকে আরও সুদৃঢ়ভাবে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছে। শেখ হাসিনা কেবল স্বপ্ন দেখেন না, তিনি স্বপ্ন দেখান এবং স্বপ্নকে বাস্তবে রূপ দেন। এক কথায় বাংলাদেশ ও এদেশের নেতা হিসেবে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বিশ্ব পরিমণ্ডলে অপরিহার্য হয়ে উঠছেন।

পিছিয়ে পড়া একটি রাষ্ট্রকে ক্রমেই উন্নয়নের কাতারে দাঁড় করানোর মধ্য দিয়ে শেখ হাসিনা বিশ্ব নেতৃত্বের মাঝে নিজের অবস্থানকে একটা অনন্য ধারায় প্রতিষ্ঠিত করতে পেরেছেন। বিশ্বের বিভিন্ন জোটে বাংলাদেশের অন্তর্ভুক্তি অবশ্যই আর্থ-সামাজিক ও কৌশলগত দিক থেকে গুরুত্বপূর্ণ; যা দেশটির অভ্যন্তরীণ অবস্থার বর্হিপ্রকাশ। একই সঙ্গে অভ্যন্তরীণ পরিস্থিতির জন্যও বিশেষভাবে তাৎপর্যপূর্ণ।

শেখ হাসিনা দেশের বাইরেও আঞ্চলিক পর্যায়ে নেতৃত্বের যে ভূমিকা রাখছেন; তা তাকে বিশ্ব পরিমণ্ডলে শ্রেষ্ঠ নেতৃত্বের আসন লাভে অনেকখানি এগিয়ে দিয়েছে। জাতিসংঘ, জি-সেভেনের মতো আসরে তার বিশেষ মর্যাদার কারণেই তিনি বিভিন্ন আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠান প্রণীত প্রভাবশালী নেতা হিসেবে তালিকাভুক্ত হচ্ছেন। দারিদ্র্যতা কমিয়ে আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন, সন্ত্রাসবাদ নিয়ন্ত্রণ, আঞ্চলিক সহযোগিতা সম্প্রসারণের কারণেই বাংলাদেশ বিশ্বের দরবারে স্বাতন্ত্র্য অবস্থান তৈরি করতে সক্ষম হয়েছে। লাখ লাখ রোহিঙ্গা উদ্বাস্তুকে বাংলাদেশে আশ্রয় দেওয়া এবং সাহায্য-সহযোগিতা প্রদানের জন্য বাংলাদেশ বিশ্বমহলে প্রশংসিত হয়েছে। কোভিড-১৯ তথা করোনাকালে দেশের জীবনযাত্রাকে সমুন্নত রেখে মানুষের নিরাপত্তার ক্ষেত্রে অনন্য ভূমিকা রেখে চলেছেন তিনি।

নিজ দেশের অর্থনৈতিক, সামাজিক ও পরিবেশগত সমস্যার মধ্যেও যেভাবে রোহিঙ্গাদের প্রতি মানবিক সহানুভূতি প্রদর্শন করে আসছেন, তাতে বিশ্ববাসী বিস্মিত হলেও শেখ হাসিনার দৃঢ়চেতা, সাহসী ভূমিকা উচ্চমাত্রা এনে দিয়েছে। বলা চলে বাংলাদেশ বিশ্ব মানচিত্রে আজ এক ‘রোল মডেল’। বাংলাদেশ নিজে যেমন স্বপ্ন দেখে, সেই স্বপ্ন এখন অনেক দেশকেই দেখানো হচ্ছে। শুধু দেখা নয়, সেই স্বপ্নকে বাস্তবে রূপ দিতে পথনির্দেশিকা এবং সঠিক কর্মসূচি নিয়ে এগিয়ে যাচ্ছে। জিডিপির প্রবৃদ্ধি ও আর্থ-সামাজিক সূচকে ‘উন্নয়ন বিস্ময়’ হিসেবে সত্যিকার অর্থেই উত্থান ঘটেছে বাংলাদেশের।

বিশ্ব নেতৃত্বের কাছে একজন আদর্শ রাষ্ট্রনায়ক বঙ্গবন্ধুকন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সামনে এখন ২০২১ সালের চ্যালেঞ্জ। এই সময়ের মধ্যে দেশকে মধ্যম আয়ের দেশে উন্নীত করা এবং উন্নয়নশীল দেশের পথে অগ্রযাত্রার যে লক্ষ্য স্থির করেছেন তা পূরণে কঠোর শ্রম বিনিয়োগ করা হচ্ছে। তিনি জনগণের দরজায় অন্ন, বস্ত্র, বাসস্থান, চিকিৎসা, শিক্ষার মতো মৌলিক অধিকারগুলো পৌঁছাতে সক্ষম হচ্ছেন। কোভিড-১৯ কালেও তিনি সহায়তার হাত বাড়িয়ে দিয়েছেন দেশবাসীর প্রতি।
শত বাধা-বিঘ্ন সত্ত্বেও অর্থনৈতিক অগ্রগতির রথ টেনে নিয়ে যাচ্ছেন শেখ হাসিনা। তাই এতো বাধা সত্ত্বেও দেশের জিডিপি প্রবৃদ্ধি এখন ঊধর্বমুখী। বাড়ছে মাথাপিছু আয়। বেড়েছে গড় আয়ু। কমেছে শিশু ও মাতৃমৃত্যুর হার। বাড়ছে রপ্তানি আয়। উন্মোচিত হচ্ছে বিনিয়োগের নতুন নতুন ক্ষেত্র। সব মিলিয়ে বাংলাদেশ একটি অপার সম্ভাবনার দিকে এগিয়ে যাচ্ছে। তাই বিশ্বনেতাদের আগ্রহের কেন্দ্রে এখন বাংলাদেশ।

উন্নত অবকাঠামো বিনির্মাণে নারীর ক্ষমতায়ন, স্বাস্থ্য ও পরিবেশ বিষয়ে তার বৈশ্বিক চিন্তা উপস্থাপন করেছেন। ‘কানেক্টিভিটিকে’ সামনে রেখে অবকাঠামোগত উন্নয়নের ওপর গুরুত্ব দিয়েছিলেন তিনি। আর পরিবেশ ইস্যুতে জলবায়ু পরিবর্তনের সঙ্গে খাপ খাইয়ে এগিয়ে যাওয়ার কৌশলের উল্লেখ করেছেন। স্বাস্থ্যখাতে সবার জন্য সুস্বাস্থ্য অর্জনে বাংলাদেশ মিলেনিয়াম ডেভেলপমেন্ট গোলে (এমডিজি) যেমন নেতৃত্ব দিয়েছে, তেমনি সাসটেইনেবল ডেভেলপমেন্ট গোল (এসডিজি) নেতৃত্ব দেবে এই দৃঢ় আশাবাদ ব্যক্ত করে গোটা বিশ্বকে স্বাস্থ্যখাতের উন্নয়নে কমিউনিটি ক্লিনিকভিত্তিক স্বাস্থ্যসেবার কৌশলে জোর দেয়ার গুরুত্ব তুলে ধরেছেন। শেখ হাসিনা নারীর ক্ষমতায়নে তিনটি গুরুত্বপূর্ণ দিক নিশ্চিত করার বিষয়টি উপস্থাপন করেন। নারীকে নীতি প্রণয়ন ও রাজনীতিতে বেশি বেশি সম্পৃক্ত করা, নারীর অর্থনৈতিক মুক্তি নিশ্চিত করা, সমাজে নারীর অধিকার ও মর্যাদা প্রতিষ্ঠা করার কথা তুলে ধরেছিলেন। নারীর ক্ষমতায়নে রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক ক্ষেত্রে বাংলাদেশের অগ্রগতিও তিনি স্পষ্ট করেছেন বিশ্বসমাজের কাছে।

বাংলাদেশ যেভাবে সমৃদ্ধতর হয়ে উঠছে, অগ্রগতির সোপানে নিজেকে সম্প্রসারিত করছে, তাতে ২০৪১-এর অনেক আগেই ২০৩০ সালের মধ্যে উন্নত দেশে পরিণত হবে। দেশবাসীর মধ্যে শেখ হাসিনা সেই স্বপ্ন জাগরিত করেছেন। শেখ হাসিনা বলেছেন, একটি উন্নততর বিশ্ব ও শান্তিপূর্ণ বিশ্ব ব্যবস্থার জন্য জনগণের জীবনকে রূপান্তর করতে আমাদের উন্নয়ন অগ্রযাত্রায় আমরা এ অঞ্চলের বাকিদের সঙ্গে হাত মেলাতে চাই।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে মানবিক কারণেই বাংলাদেশ রোহিঙ্গাদের জন্য সীমান্ত উন্মুক্ত করে দিয়েছে, যা সারাবিশ্বের কাছে মানবিকতার উদাহরণ হয়ে রয়েছে। রোহিঙ্গা সঙ্কট ছাড়াও বাণিজ্য ও সমুদ্রসম্পদ নিয়ে বিশ্বনেতাদের সঙ্গেও আলোচনা করেছেন শেখ হাসিনা। ভারত ও মিয়ানমারের সঙ্গে সমুদ্রসীমা সংক্রান্ত বিরোধ মীমাংসার পর সমুদ্রসম্পদ আহরণের জন্য বাংলাদেশ জোর দিয়েছে। এ বিষয়ে কোনো জ্ঞান বা প্রযুক্তি নেই, যার মাধ্যমে বাংলাদেশ এই সম্পদ আহরণ করতে পারে। তাই ইতোমধ্যে ভারত, চীন ও ইউরোপীয় অন্যান্য দেশের সঙ্গে চুক্তি করেছে বাংলাদেশ। এ ব্যাপারে বিশ্বনেতাদের সহযোগিতাও চান তিনি।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সকল বাধা-বিঘ্নকে পেছনে ফেলে বাংলাদেশকে যে অবস্থানে নিয়ে গিয়েছেন, তাতে বিশ্বসভায় বাংলাদেশ একটি আদর্শিক অবস্থানে উঠে এসেছে। এই করোনা মহামারিকালেও শেখ হাসিনা এক নতুন বিশ্ব গড়ে তোলায় নিরলস পরিশ্রম করে চলেছেন। কোনো প্রতিবন্ধকতাই তাকে বাধাগ্রস্ত করতে পারেনি। অন্তহীন পথ ধরে তিনি চলেছেন মানব সভ্যতার বিকাশে আর সাম্যের বিস্তারে। তার নেতৃত্বের ধারা অব্যাহত থাকুক এমন প্রত্যাশাই দেশবাসীর।
কেএফ/পি

মন্তব্য করুন

daraz
  • রাজনীতি এর পাঠক প্রিয়
আরও পড়ুন
‘বাংলাদেশে মুক্ত গণতন্ত্র বাস্তবায়নে চেষ্টা অব্যাহত রাখবে যুক্তরাষ্ট্র’
‘অকৃতজ্ঞরা ভুলে যায় জিয়াকে মেজর জেনারেল বানিয়েছিল আওয়ামী লীগ’
বিশ্বের মহিলা প্রধানমন্ত্রীর মধ্যে শেখ হাসিনা এখন শ্রেষ্ঠ : মোরশেদ আলম
যুদ্ধাহত ও শহীদ মুক্তিযোদ্ধা পরিবারে ফল-মিষ্টি পাঠালেন প্রধানমন্ত্রী
X
Fresh