• ঢাকা শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০
logo

পাকিস্তানি গোয়েন্দাদের সঙ্গে বিএনপি’র দহরম-মহরম পুরোনো: তথ্যমন্ত্রী (ভিডিও)

চট্টগ্রাম প্রতিনিধি, আরটিভি নিউজ

  ২৫ সেপ্টেম্বর ২০২০, ১৮:২৭

তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা ও আওয়ামী লীগকে রাজনৈতিকভাবে মোকাবেলা করতে ব্যর্থ হয়ে ক্রমাগতভাবে ষড়যন্ত্রের পথ বেছে নিয়েছে বিএনপি। পাকিস্তানি গোয়েন্দা ও গোয়েন্দা সংস্থার সঙ্গে তাদের যে দহরম-মহরম সেটা বহু পুরনো। এর প্রমাণ হচ্ছে পাকিস্তানি গোয়েন্দাদের সঙ্গে মধ্যপ্রাচ্যে বৈঠক।

তিনি বলেন, আপনারা জানেন ১৯৯১ সালের নির্বাচনের আগে পাকিস্তানি গোয়েন্দা সংস্থার পক্ষ থেকে বিএনপিকে ৫ কোটি টাকা দেওয়া হয়েছিল। এটি পাকিস্তানি গোয়েন্দা সংস্থার সাবেক প্রধান আদালতে জবানবন্দিতে বলেছেন। সুতরাং তারা দেশকে অস্থিতিশীল করার জন্য নানা ষড়যন্ত্র করছে। নির্বাচন আরও অনেক দেরি আছে, নির্বাচনের বাকি আরও সাড়ে তিন বছর।

শুক্রবার চট্টগ্রাম সার্কিট হাউজে ‘মোহাম্মদ আবদুল খালেক ইঞ্জিনিয়ার, দৈনিক আজাদী এবং গণতন্ত্র’ শীর্ষক সেমিনারে বক্তব্য শেষে সাংবাদিকরা সৌদি আরবের জেদ্দায় বিএনপি-জামায়াতের সঙ্গে পাকিস্তানি গোয়েন্দা সংস্থা আইএসআই’র এক গোপন বৈঠকের ব্যাপারে প্রশ্ন করলে তিনি এসব কথা বলেন।

ইঞ্জিনিয়ার মোহাম্মদ আবদুল খালেকের ৫৮তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে স্বাধীন সংবাদপত্র পাঠক সমিতি এই সেমিনারের আয়োজন করে।

তথ্যমন্ত্রী বলেন, প্রকৃতপক্ষে যখন করোনা ভাইরাসে পৃথিবী স্তব্ধ, মানুষ শঙ্কিত ভবিষ্যৎ নিয়ে, সেই সময়ে বিএনপি জনগণের পাশে না দাঁড়িয়ে দেশে-বিদেশে ষড়যন্ত্রের বৈঠক করে বেড়াচ্ছে। সেটির প্রকাশ হচ্ছে মধ্যপ্রাচ্যের বৈঠক, যা প্রচণ্ড নিন্দনীয়।

তিনি বলেন, বিএনপি অতীতে ষড়যন্ত্রের পথ অবলম্বন করে যে এগুতে পারেনি তারা নিশ্চয়ই অনুধাবন করতে সক্ষম। না হলে আওয়ামী লীগকে মানুষ পর পর রায় দিয়ে তিনবার রাষ্ট্র ক্ষমতায় বসাতো না। তাই আমি বিএনপিকে অনুরোধ জানাব, ষড়যন্ত্রের পথ পরিহার করে মানুষের পাশে দাঁড়ান, এই ষড়যন্ত্র করে কোনো লাভ হবে না।

হাছান মাহমুদ বলেন, আমরা যখন ২০০৯ সালে সরকার গঠন করি তখন বাংলাদেশে সংবাদপত্রের সংখ্যা ছিল সাড়ে ৪০০। এখন বাংলাদেশের দৈনিক সংবাদপত্র সাড়ে ১২০০। তখন অনলাইন পত্রিকা ছিল হাতে গোনা কয়েকটি। এখন কয়েক হাজার অনলাইন পত্রিকা নিবন্ধনের জন্য আবেদন করেছে। প্রাইভেট টেলিভিশনের যাত্রা শুরু হয়েছিল প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হাত ধরে ১৯৯৬ সালে।

‘২০০৯ সালে আমরা যখন সরকার গঠন করি তখন প্রাইভেট টেলিভিশন ছিল ১০টি। এখন ৩০টি প্রাইভেট টেলিভিশন সম্প্রচারে আছে, ৪৫টি প্রাইভেট টেলিভিশনের জন্য লাইসেন্স দেওয়া আছে। এর বাইরে ৪টি সরকারি টেলিভিশন চ্যানেল চালু আছে। সংবাদ মাধ্যমের এই যে এক্সপোনেনশিয়াল গ্রোথ সেটি সম্ভব হয়েছে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কারণে।’

হাছান মাহমুদ বলেন, বাংলাদেশের সংবাদপত্র যে ধরনের স্বাধীনতা ভোগ করে অনেক উন্নত দেশেও কিন্তু সংবাদপত্রের এমন স্বাধীনতা নাই। ইউকে’তে ১৬৭ বছরের পুরনো পত্রিকা ছিল ‘নিউজ অব দ্য ওয়ার্ল্ড’। সেটি পৃথিবীর বহুল প্রচারিত ইংরেজি দৈনিক পত্রিকা ছিল একসময়। সেই পত্রিকা বন্ধ হয়ে গেছে। একটি ভুল সংবাদ পরিবেশনের কারণে মামলা হয়। মামলার পর তাদের ওপর বিরাট জরিমানা করে আদালত। সেই জরিমানা দিতে না পেরে কোম্পানি পত্রিকা বন্ধ করে দিয়েছে।

তিনি বলেন, একজন এমপি’র বিরুদ্ধে ভুল বা অসত্য সংবাদ পরিবেশনের কারণে বিবিসি’র পুরো টিমকে পদত্যাগ করতে হয়েছে। ইউকে এবং কন্টিনেন্টাল ইউরোপে হরহামেশা ভুল এবং অসত্য সংবাদ পরিবেশনের কারণে পত্রিকা এবং গণমাধ্যমকে জরিমানা দিতে হয়। আমাদের দেশে সেটি কখনো হয়নি। সংবাদপত্র এ সমস্ত কারণে বন্ধ হয়নি। সেজন্য বলছি অনেক উন্নত দেশের তুলনায় বাংলাদেশের সংবাদ মাধ্যম অনেক বেশি স্বাধীনতা ভোগ করে।

আরও পড়ুন: সাম্প্রদায়িক গোষ্ঠী যেন আ.লীগে অনুপ্রবেশ করতে না পারে: কাদের

ওয়াই

মন্তব্য করুন

daraz
  • রাজনীতি এর পাঠক প্রিয়
আরও পড়ুন
ইতিহাস বিকৃত করে সফল হয়নি বিএনপি : পররাষ্ট্রমন্ত্রী
সরকার সন্ত্রাসীদের ওপর ভর করে দেশ চালাচ্ছে : রিজভী
ইফতার পার্টি করে মিথ্যাচার চালাচ্ছে বিএনপি : কাদের 
বিএনপি নেতাদের স্ত্রীরা ভারতীয় শাড়ি তেমন কেনেন না : রিজভী
X
Fresh