• ঢাকা শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১
logo

বন্যা মোকাবিলায় সরকার উদাসীন ও নিষ্ক্রিয়: ফখরুল

আরটিভি নিউজ

  ২৭ জুলাই ২০২০, ১৪:৫৫
Government indifferent and inactive in dealing with floods: Fakhrul
বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর (ফাইল ছবি)

করোনার মতোই বন্যা মোকাবিলায় সরকার উদাসীন ও নিষ্ক্রিয় বলে অভিযোগ করেছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। সোমবার দুপুরে উত্তরায় নিজের বাসা থেকে এক ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলনে দলের মহাসচিব এই অভিযোগ করেন।

তিনি বলেন, ‘করোনা মোকাবিলায় সরকার একেবারেই ব্যর্থ। চরম উদাসীনতা, অবহেলা ও দুর্নীতির কারণে গোটা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে গেছে। ঠিক তেমনি বন্যার বিষয়েও সরকারের নীরবতা, নিষ্ক্রিয়তা মানুষকে আতঙ্কগ্রস্ত করছে। আমরা অনির্বাচিত সরকারের এই অবহেলা উদাসীনতা ও নিষ্ক্রিয়তার নিন্দা জানাচ্ছি এবং অবিলম্বে বন্যায় প্রয়োজনীয় ত্রাণের যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানাচ্ছি।’

দলের সর্বস্তরের নেতা-কর্মীসহ দেশবাসীকে বন্যার্তদের পাশে দাঁড়ানোর আহ্বান জানিয়ে বিএনপি মহাসচিব বলেন, বিএনপি সব সময় যেকোনো দুর্যোগ মানুষের পাশে দাঁড়ায়। সর্বশেষ করোনা দুর্যোগে পাশে দাঁড়িয়েছে বিএনপি। বন্যাদুর্গত মানুষের পাশে দাঁড়াতে স্থায়ী কমিটির সদস্য ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকুকে আহ্বায়ক করে একটি জাতীয় কমিটি গঠন করা হয়েছে, যা অবিলম্বে কাজ শুরু করবে।’

সংবাদ সম্মেলনে মির্জা ফখরুল বলেন, একজন মন্ত্রী তো বলেই ফেললেন ‘বন্যার বিষয়ে এতোটুকু চিন্তিত নই। ভালো কথা। এই যে প্রতিদিন গণমাধ্যমে আসছে- আমরা বন্যার্ত মানুষের আহজারি ও তাদের অসহায়ত্বের কথা, সহায় সম্বল হারিয়ে সড়কের অথবা বাঁধের ওপরে আশ্র্রয় নেওয়া শিশু সন্তান, বৃদ্ধ পিতা-মাতাকে নিয়ে খোলা আকাশের নিচে অভুক্ত থাকা-এই বিষয়গুলো তাদের চিন্তিত করে না।

‘সরকার তো ধরা ছোঁয়ার বাইরে। জনগণের কাছে তাদের জবাবদিহিতা করতে হয় না। করোনা-বন্যা এসব দুর্যোগ এলে বরঞ্চ তারা খুশি হয় এই কারণে যে, দুর্নীতির নতুন সুযোগ সৃষ্টি হলো।’

বাংলাদেশ বন্যার জন্য ভারতীয় বাঁধ খুলে দেয়াকে দায়ী করে তিনি আরো বলেন, ‘ভারতের অভিন্ন নদীগুলোর সকল বাঁধ ব্যারেজের গেট খুলে দেওয়ায় উজান থেকে নেমে আসা বন্যার পানি বাংলাদেশে ব্রহ্মপুত্র, যমুনা, মেঘনা, মহানন্দা, পদ্মা, তিস্তা ও ধরলা নদীর অবাহিকায় প্রায় ৩৪টি জেলা ইতোমধ্যে প্লাবিত হয়ে গেছে। কয়েকটি জেলায় এক মাসের মধ্যে দুই-তিন বার বন্যার পানি উজান থেকে এসে ঘর-বাড়ি, ফসলের ক্ষেত ভাসিয়ে নিয়ে গেছে।’

মির্জা ফখরুল বলেন, ‘ভারতের সঙ্গে যে অভিন্ন নদী প্রায় ১৫৪টি, একমাত্র পদ্মার ফারাক্কা বাঁধ ব্যতীত কোনোটারই কোনো পানিবণ্টন চুক্তি ভারতের অনীহার কারণে সম্পন্ন হয়নি। তিস্তার চুক্তির কথা ফলাও করে এই সরকার প্রচার করলেও গত এক দশকে কোনো চুক্তি করতে সক্ষম হয়নি। এই সরকারের নতজানু পররাষ্ট্রনীতির কারণে প্রায় প্রতি বছর বাংলাদেশের নদী অববাহিকায় বসবাসকারী মানুষেরা এই বন্যায় আক্রান্ত হয়ে সর্বস্বান্ত হচ্ছে। ভারত-বাংলাদেশ যৌথ নদী কমিশন প্রায় নিষ্ক্রিয় হয়ে গেছে।’

ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলনে জাতীয় ত্রাণ কমিটির আহ্বায়ক ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকুও যুক্ত ছিলেন।
পি

মন্তব্য করুন

daraz
  • রাজনীতি এর পাঠক প্রিয়
আরও পড়ুন
তীব্র গরমে পশ্চিমবঙ্গে সরকারি স্কুল বন্ধ ঘোষণা
জিয়া ছিলেন মুজিবনগর সরকারের ৪০০ টাকা বেতনের কর্মচারী: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
প্রান্তিক স্বাস্থ্যসেবা উন্নয়নে কাজ করছে সরকার : স্বাস্থ্যমন্ত্রী
নৌকা বাদ দিলেও ভোট চুরির প্রকল্প থেকে সরেনি সরকার: আমীর খসরু
X
Fresh