• ঢাকা শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১
logo

ট্রাফিক পুলিশের কাজকে সহজ করবে শাওনের ‘ভেহিক্যাল কেস ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম’

আরটিভি নিউজ

  ১৯ জানুয়ারি ২০২২, ১৮:৪৫
ট্রাফিক পুলিশের কাজকে সহজ করবে শাওনের ‘ভেহিক্যাল কেস ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম’

তথ্য প্রযুক্তির এই যুগে বিশ্ব এখন মানুষের হাতের মুঠোয়। প্রযুক্তির সহায়তায় মানুষের দৈনন্দিন জীবন আরও সহজ হয়ে উঠেছে।তথ্য সংগ্রহ ও তদারকির মতো জটিল কাজটিও প্রযুক্তির ওপর নির্ভর করে খুব সহজে করা সম্ভব হচ্ছে বর্তমান বিশ্বে।

এরই ধারাবাহিকতায় ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির (ডিআইইউ) কিছু স্বপ্নবাজ শিক্ষার্থী ‘ভেহিক্যাল কেস ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম’ নামে একটি অ্যান্ড্রয়েড সফটওয়্যার তৈরি করেছে।যা ট্রাফিক পুলিশের জন্য খুবই সহায়ক ভূমিকা পালন করবে। এ সফটওয়্যারের মাধ্যমে ফোন থেকেই সব ধরনের যানবাহনে জরিমানা-মামলা দেওয়া যাবে।

ব্যতিক্রমী এই সফটওয়্যারটির নির্মাতা মাহবুব আলম শাওন। তিনি ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির কম্পিউটার সাইন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের ছাত্র। তার গ্রামের বাড়ি নড়াইল জেলার লোহাগড়া থানার কলাগাছি গ্রামে। ছোট থেকেই প্রযুক্তির প্রতি ঝোঁক ছিল শাওনের।

নির্মাতা শাওন বলেন, ঢাকা ও চট্টগ্রামসহ কিছু মহানগর অঞ্চলে ট্রাফিক পুলিশরা সাধারণত ডিজিটাল পয়েন্ট অব সেল (পস) মেশিন ব্যবহার করেন। কিন্তু এ মেশিনে সব তথ্য ম্যানুয়ালি ইনপুট করতে হয় বলে অনেক সময় ব্যয় হয়। তাই সফটওয়্যারটি ট্রাফিক পুলিশের কাজকে সহজ করে দেবে ও সময় রক্ষা করবে।

তিনি আরও বলেন, বিভিন্ন জেলা শহরের ট্রাফিক পুলিশদের কাগজে লিখে মামলা দিতে হয়, ফলে অনেক সময়ের অপচয় হয়।মূলত সে চিন্তা থেকেই আমি এ সিস্টেমের ডিজিটালাইজড করার কাজ শুরু করি। এ সফটওয়্যারে বিআরটিএ’র ডেটাবেজের সাহায্যে পুলিশ প্রতিটি যানবাহনের বিস্তারিত তথ্য দেখতে পারবেন এবং অপরাধের ধরণ অনুসারে জরিমানা করতে পারবেন। জরিমানা করার সঙ্গে সঙ্গে বাহনের রেজিস্ট্রারকৃত মালিকের ফোনে ম্যাসেজ যাবে। একই সাথে কোনো বাহনের রেজিস্ট্রেশন নকল হলে নাম্বারটি কালো তালিকাভুক্ত করে দেওয়া যাবে। এ ছাড়াও ট্রাফিক পুলিশের ব্যক্তিগত প্রোফাইলের মাধ্যমে সফটওয়্যারটি সিকিউর করা থাকবে, অন্য কেউ চাইলেই সাইন-ইন করতে পারবে না।

শাওন আরও বলেন, এই অ্যাপের সম্পূর্ণ ইমপ্লিমেন্টেশন আমি নিজেই করি। আমাকে সব ধরনের সহযোগিতা করেন শ্রদ্ধেয় শিক্ষক নারায়ণ রঞ্জন চক্রবর্তী এবং আমার দুই সহপাঠী নিশাত তাসনিম প্রমি এবং আনিকা শামা। আমরা পুলিশকে এটা উপহার দিতে চাই এবং সরকারি পৃষ্ঠ-পোষকতা পেলে এই অ্যাপকে সারা বাংলাদেশে রান করা সম্ভব।

এই বিষয়ে ডিআইইউর কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের সহকারী অধ্যাপক নারায়ণ রঞ্জন চক্রবর্তী বলেন, প্রজেক্টটা শুরু থেকেই আমার কাছে চমৎকার মনে হয়েছে।ট্রাফিক পুলিশের কাজকে সহজ করতে এটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। সেভাবেই আমি দিকনির্দেশনা দিয়েছি, বাকি কাজ ওরা খুব সুন্দর করে সম্পন্ন করেছে।

এমএন/এসকে

মন্তব্য করুন

daraz
  • তথ্যপ্রযুক্তি এর পাঠক প্রিয়
আরও পড়ুন
প্রথম বিবাহবার্ষিকীতে টয়ার আবেগঘন স্ট্যাটাস
৪ বছর পর প্রথম বিবাহবার্ষিকী শাওন-টয়ার
হুমায়ূন-শাওনকে তিশা-মুশতাকের মতো বের করে দেওয়া হয়নি : মৌসুমী হামিদ
মনোনয়ন পেতে নতুন কৌশল, নির্বাচনী প্রচারণায় অংশগ্রহণ
X
Fresh