• ঢাকা শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১
logo

ফেসবুকে হ্যাকারদের নজরদারি, রয়েছে বাংলাদেশিরাও

আরটিভি নিউজ

  ১৭ ডিসেম্বর ২০২১, ১৬:১৭
ফেসবুকে, হ্যাকারদের, নজরদারি, রয়েছে, বাংলাদেশিরাও

বিশ্বজুড়ে প্রায় ৫০ হাজার ফেসবুক ব্যবহারকারীদের ওপর নজরদারি করেছেন হ্যাকাররা। এ কাজে যুক্ত ছিল ভারত, ইসরায়েলসহ বিভিন্ন দেশের আড়িপাতা প্রতিষ্ঠানগুলো।

বৃহস্পতিবার এসব তথ্য প্রকাশ করেছে ফেসবুকের মূল প্রতিষ্ঠান মেটা। খবর এএফপির।

মেটা জানায়, প্রায় ১০০টি দেশের অধিকারকর্মী, ভিন্নমতাবলম্বী ও সাংবাদিকদের ওপর নজরদারি করেছে প্রতিষ্ঠানগুলো। এ জন্য ফেসবুক ও ইনস্টাগ্রাম থেকে প্রায় দেড় হাজার পেজ ও অ্যাকাউন্ট বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। এসব পেজ ব্যবহার করে মূলত তথ্য হাতিয়ে নেওয়া হতো। সাতটি প্রতিষ্ঠান এসব অ্যাকাউন্ট ও পেজ ব্যবহার করত।

এরপর ১৭ পৃষ্ঠার একটি বিস্তারিত প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে প্রতিষ্ঠানটি। এতে বলা হয়েছে, যে সাতটি প্রতিষ্ঠানের আড়ি পাতা বা নজরদারির সফটওয়্যার এসব কাজে ব্যবহার করা হয়েছে, সেগুলো হলো ইসরায়েলের ব্ল্যাক কিউব, কবওয়েবস টেকনোলজিস, কগনাইট, ব্লুহোয়াক সিআই। এ ছাড়া রয়েছে ভারতের বেলট্রক্স, উত্তর মেসিডোনিয়ার সাইট্রক্স ও চীনের একটি প্রতিষ্ঠান। তবে চীনের প্রতিষ্ঠানটির নাম উল্লেখ করেনি মেটা।

মেটার প্রতিবেদনে বলা হয়, কবওয়েবসের নজরদারিতে রয়েছে বাংলাদেশ, হংকং, যুক্তরাষ্ট্র, নিউজিল্যান্ড, মেক্সিকো, সৌদি আরব, পোল্যান্ডসহ অন্যান্য দেশের নাগরিকেরা। প্রতিষ্ঠানটি বলেছে, আইনসংশ্লিষ্ট বিষয়ে তারা নজরদারি করত। মেক্সিকো ও হংকংয়ে সরকারের কর্মকর্তা, বিরোধী নেতা, অধিকারকর্মীদের ওপর প্রায়ই নজরদারি করা হতো।

কোনো কোনো প্রতিষ্ঠান কী ধরনের পদক্ষেপ নিয়েছে, তারও একটি চিত্র তুলে ধরা হয়েছে ওই প্রতিবেদনে। এতে বলা হয়েছে, কবওয়েবসের নিজেদের অ্যাকাউন্ট ও তাদের গ্রাহকদের প্রায় ২০০টি অ্যাকাউন্ট মুছে ফেলা হয়েছে। এই প্রতিষ্ঠানের অফিস রয়েছে যুক্তরাষ্ট্রে। ফেসবুক, ইনস্টাগ্রাম, হোয়াটসঅ্যাপ, টুইটার, ফ্লিকার, জনসাধারণ ব্যবহার করে এমন ওয়েবসাইট ও ‘ডার্ক ওয়েবে’ নজরদারি করা যায়, এমন প্রযুক্তি বিক্রি করে কবওয়েবস। এই নজরদারি ছাড়া ইন্টারনেট ব্যবহারকারীর ব্যক্তিগত তথ্যও সংগ্রহ করা যায় এই কবওয়েবসের প্রযুক্তি ব্যবহার করে।

মেটার সিকিউরিটি পলিসি বিভাগের প্রধান নাথানিয়েল গ্লেইচার বলেন, শুধু এনএসও নয়, আড়িপাতার জন্য সফটওয়্যার তৈরি করতে যেসব প্রতিষ্ঠান কাজ করে থাকে সেসব প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে- এমন ইঙ্গিতই দেওয়া হলো।

তবে এসব আড়িপাতার প্রতিষ্ঠানগুলোর সন্ধান কীভাবে পাওয়া গেছে সে বিষয়ে কোনো ব্যাখ্যা দেয়নি ফেসবুক বা মেটা।

এমএন/এসকে

মন্তব্য করুন

daraz
  • তথ্যপ্রযুক্তি এর পাঠক প্রিয়
আরও পড়ুন
বন্ধুর স্ত্রীকে শাড়ি উপহার দিয়ে সমালোচনার মুখে ব্যারিস্টার সুমন
শুক্রবার ঢাকায় আসছেন আতিফ আসলাম
শিল্পপতির সংসার ছাড়তে গরিবের মেয়ের সংবাদ সম্মেলন
ফেসবুকে লাইভের জেরে চাকরি গেল এসপির
X
Fresh