টাইগারদের স্পন্সর আলিশা, সামাজিকমাধ্যমে সমালোচনা
অনলাইনে কেনাকাটার প্রতিষ্ঠান আলিশা’র বিরুদ্ধে গ্রাহক ভোগান্তির অভিযোগ উঠলেও সেই প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশ ক্রিকেট দলকে স্পন্সর দিচ্ছে। এ নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে সমালোচনা শুরু হয়েছে।
আলিশা’র বিতর্কিত কর্মকাণ্ডের কারণে সম্প্রতি গ্রাহকদের স্বার্থ সুরক্ষায় ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান আলিশা’র বিকাশ লেনদেন সাময়িকভাবে বন্ধ করে দিয়েছিল।
টাইগারদের আলিশা হোল্ডিংস স্পন্স নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে লিখেছেন- কাস্টমারদের টাকা ফেরত দেওয়ার ক্ষমতা নেই। কিন্তু স্পন্সর করার ক্ষমতা আছে। বিসিবিও তার শিক্ষা নেয়নি। আসলেই অদ্ভুত উটের পিঠে চলছে দেশ। বিসিবির লজ্জাও নেই।
বিতর্কিত প্রতিষ্ঠানের টাইগারদের স্পন্সর হওয়ায় অনেক ক্রিকেট ভক্ত প্রশ্ন তুলেছেন।
এফএ/টিআই
মন্তব্য করুন
পাঁচ বছরে ব্যাকস্পেস / দেশে থেকে বিশ্বব্যাপী সেবার প্রত্যয়
পঞ্চম বছরে পদার্পণ করল বাংলাদেশি মিডিয়াটেক প্রতিষ্ঠান ব্যাকস্পেস। প্রতিষ্ঠানটির সিইও সাইফুল রহমানের দূরদর্শী নেতৃত্বে একটি ছোট টেক প্রতিষ্ঠান হিসেবে ২০১৯ সালে যাত্রা শুরুর পর প্রতিষ্ঠানটি এই পাঁচ বছরে বাংলাদেশের সম্ভাবনাময় টেক ইন্ডাস্ট্রিতে একটি অগ্রগামী প্রতিষ্ঠান হিসেবে জায়গা করে নিয়েছে।
শুরুর গল্প সম্পর্কে প্রতিষ্ঠাতা সাইফুল রহমান বলেন, ব্যাকস্পেসের শুরু হয় প্রথম অঙ্গপ্রতিষ্ঠান রিভিউ জোন’র মাধ্যমে। এটি একটি প্রোডাক্ট রিভিউ প্ল্যাটফর্ম, যারা বিভিন্ন বৈশ্বিক ব্রান্ড’র পণ্য সম্পর্কে তথ্যবহুল ভিডিও উত্তর আমেরিকান (কানাডা, ইউএসএ) দর্শকের উদ্দেশে প্রচার করে। বর্তমানে রিভিউ জোন নিজস্ব ব্র্যান্ডগুলোর মাধ্যমে তথ্যবহুল ভিডিও দিয়ে বৈশ্বিক ব্র্যান্ডগুলোকে ২ কোটিরও বেশি দর্শকের কাছে উপস্থাপন করছে।
ব্যাকস্পেস শুরু থেকেই নির্ভরযোগ্য তথ্যবহুল ভিডিও এবং দর্শকের পছন্দ-অপছন্দ এই দুটি বিষয়কে প্রাধান্য দিয়ে দর্শকদের জন্য প্রয়োজনীয় তথ্য বিনোদনের মাধ্যম হিসেবে দেওয়ার চেষ্টা করে এসেছে। এতে করে প্রতিষ্ঠানটি খুব দ্রুতই উত্তর অ্যামেরিকার দর্শকদের কাছে গ্রহণযোগ্যতা অর্জন করে, যেখান থেকে বৈশ্বিক পরিচিতিও বাড়ে। এর ফলে বিভিন্ন বৈশ্বিক বড় বড় টেক প্রতিষ্ঠানের সাথে কাজের সুযোগও তৈরি হয় কোম্পানিটির জন্য। ব্যাকস্পেস’র সবচেয়ে বড় মাইলফলক তৈরি হয় যখন অ্যামাজনের সঙ্গে কাজ করার সুযোগ পায়।
২০২০ সালে ব্যাকস্পেস বাংলাদেশ থেকে বিশ্বব্যাপী বিভিন্ন সেবা দেওয়ার দিকেও মনোনিবেশ করে। অ্যানিমেটেড কনটেন্ট তৈরিতে ইতোমধ্যেই প্রতিষ্ঠানটির দক্ষতা থাকায়, তারা ‘টেন স্টুডিও’ নামের একটি অ্যানিমেশন স্টুডিও শুরু করে, যারা বৈশ্বিক প্রতিষ্ঠানগুলোর জন্য এনিমেটেড কন্টেন্ট এবং বিভিন্ন প্রমোশোনাল ম্যাটেরিয়াল তৈরি করে থাকে। ২০২৩ সালে ব্যাকস্পেস তাদের নতুন ভেঞ্চার ‘প্রোডাক্ট ভিডিও স্টুডিও’র কার্যক্রম শুরু করে। রিভিউ জোন পরিচালনার অভিজ্ঞতা এবং ক্লায়েন্টদের মতামতের উপর ভিত্তি করে প্রোডাক্ট ভিডিও স্টুডিওর যাত্রা শুরু হয়। পণ্য প্রস্ততকারকদের বিশ্বব্যাপী পণ্য প্রসারে ভিডিও তৈরি করে দেওয়ার সেবা প্রদান করে প্রতিষ্ঠানটি।
ব্যাকস্পেসের এই সফলতার গল্প বাংলাদেশের টেক ও আইটি সেক্টরের জন্য অনুপ্রেরণার। পাঁচ বছর পূর্তি উপলক্ষে প্রতিষ্ঠানটি তাদের টিমকে নিয়ে কক্সবাজারে দিনটি উদযাপন করে গত ২৯ ফেব্রুয়ারি ও ১ মার্চ।
ট্রেনের অগ্রিম টিকিট কাটার নিয়ম
আগামী ১০ এপ্রিলকে পবিত্র ঈদুল ফিতরের দিন ধরে ট্রেনের অগ্রিম টিকিট বিক্রির সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাংলাদেশ রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ। আগের ঈদগুলোতে ৫ দিনের টিকিট বিক্রি করলেও এবারই প্রথম ৭ দিনের টিকিট বিক্রি করবে রেলওয়ে। ঈদ উপলক্ষ্যে ঘরমুখো মানুষের এই ট্রেন যাত্রার টিকিট ভোগান্তি-বিহীন কিনতে শতভাগ টিকিট অনলাইনে বিক্রি করা হবে।
রোববার (২৪ মার্চ) সকাল ৮টা থেকে রেলওয়ের ওয়েবসাইট ও মোবাইল অ্যাপের মাধ্যমে টিকিট বিক্রি করা হবে। তবে ঈদকে উপলক্ষ্য করে ট্রেনের অগ্রিম টিকিট পাওয়া সোনার হরিণ পাওয়ার মত সমান। তাই সহজে কিভাবে অগ্রিম ট্রেনের টিকিট কাটতে পারবেন জেনে নিন।
কয়টি উপায়ে আপনি ট্রেনের অগ্রিম টিকিট কাটতে পারবেন-
আপনি সাধারণত দুইটি উপায়ে ট্রেনের অগ্রিম টিকিট কাটতে পারবেন একটি হলো অনলাইন পদ্ধতি এবং অপরটি হলো স্টেশনে গিয়ে কাটতে পারবেন। চলুন আমরা দুইটি উপায় সম্পর্কে জেনে নিই যে কিভাবে আপনি ট্রেনের অগ্রিম টিকিট কাটতে পারবেন।
অনলাইন পদ্ধতি-
বর্তমানে সবচেয়ে সহজ এবং নিরাপদ টিকিট ক্রয় করার পদ্ধতি বলা যায় অনলাইন পদ্ধতিকে। অনলাইন পদ্ধতিতে আপনি খুব সহজেই ট্রেনের টিকিট ক্রয় করতে পারবেন। আপনি আপনার ঘরে বসেই খুব সহজে মোবাইলের মাধ্যমে বাংলাদেশ রেলওয়ে অফিসিয়াল ওয়েবসাইটে প্রবেশ করে (https://eticket.railway.gov.bd) সেখান থেকে খুব সহজেই ট্রেনের টিকিট কাটতে পারবেন।
এছাড়াও রেল সেবা অ্যাপ মোবাইলের প্লে-স্টোর থেকে ডাউনলোড করে সেখান থেকে রেজিস্ট্রেশন করে অনলাইনের মাধ্যমে ট্রেনের টিকিট কাটতে পারবেন। সেখানে আপনি খুব সহজেই বিকাশ নগদ অথবা ব্যাংকের মাধ্যমে টিকিটের টাকা পরিশোধ করতে পারবেন। অনলাইনে টিকিট কাটার পদ্ধতি খুবই সহজ নিরাপদ এবং সহজলভ্য।
অনলাইনে ট্রেনের টিকিট কাটার পদ্ধতি-
অনলাইনে টিকিট কাটার জন্য আপনার একটি স্মার্ট ফোন অথবা একটি কম্পিউটার বা ল্যাপটপ প্রয়োজন হবে সেখান থেকে খুব সহজেই ইন্টারনেট ব্যবহার করে টিকিট কাটতে পারবেন। ডিভাইসটি নেওয়ার পর কোন একটি ব্রাউজারে ঢুকবেন তারপর রেলওয়ের অফিসিয়াল ওয়েবসাইটে ঢুকবেন। আপনি চাইলে প্লে-স্টোর থেকে রেল সেবা অ্যাপ ডাউনলোড করতে পারেন। ওয়েবসাইট অথবা অ্যাপের মধ্যে ঢুকে রেজিস্ট্রেশন করে নিন।
বাংলাদেশ রেলওয়ে কর্তৃপক্ষের ওয়েবসাইট অথবা অ্যাপসে আপনাদের এন আই ডি ইমেইল নম্বর ফোন নম্বর ইত্যাদি দিয়ে রেজিস্ট্রেশন করে একটি একাউন্ট তৈরি করতে হবে। “Purchase Ticket” এই অপশনটিতে ক্লিক করার পর আপনাকে চারটি বিষয় ফোন করতে হবে বিষয়গুলো আপনার যাত্রা শুরু জায়গার নাম, আপনি কোন তারিখে যাত্রা করতে চান, এবং আপনি কোন ধরনের সিট নিবেন এবং কতটি সেট নিবেন এই তথ্যগুলো পূরণ করুন।
পরবর্তীতে আপনি দেখতে পাবেন বিভিন্ন রকমের ট্রেন কোন তারিখে কখন আপনার ওই স্টেশন থেকে ছাড়বে সেগুলোর একটি লিস্ট দেওয়া থাকবে আপনি আপনার পছন্দ অনুযায়ী ট্রেন সিলেক্ট করুন এবং সিট নির্বাচন করুন আপনি কোন ধরনের সিট নিতে চান।
ট্রেনের টিকিটের মূল্য পরিশোধ করার জন্য আপনাকে বিকাশ, রকেট ডাচ বাংলা এজেন্ট ব্যাংক এবং ভিসা কার্ড ব্যবহার করতে পারেন। আপনার ট্রেনের টিকিট কাটা হয়ে গেলে ট্রেনের টিকিট কাটা হয়ে গেলে অবশ্যই টিকিটটি ডাউনলোড করে রাখবেন। এবং যাত্রা শুরুর সময় টিকিটের একটি কপি আপনার কাছে রাখবেন।
রেলওয়ে স্টেশন কাউন্টারে টিকেট কাটার পদ্ধতি-
স্টেশন কাউন্টারে ট্রেনের অগ্রিম টিকিট কাটা খুবই সহজ। এজন্য আপনাকে অনলাইনে এত ঝামেলা পোহাতে হবে না। খুব সহজে আপনি স্টেশনে উপস্থিত হয়ে ট্রেনের টিকিট কাটতে পারেন। তবে এক্ষেত্রে আপনাকে একটি বিষয় মাথায় রাখতে হবে রেলওয়ে স্টেশন কাউন্টারে টিকিট কাটতে হলে আপনাকে অবশ্যই বিকেল ৪টার সময় উপস্থিত হতে হবে। কারণ স্টেশনের টিকিট কাটা শুরু হয় বিকেল চারটার পরে।
কাউন্টার থেকে টিকিট ক্রয় করার সময় আপনার এনআইডি কার্ডের প্রয়োজন হতে পারে এক্ষেত্রে আপনি আপনার আইডি কার্ড সঙ্গে নিয়ে যাবেন। দায়িত্বরত কর্মকর্তা আপনার কাছে আপনার নাম ঠিকানা, এবং কোথা থেকে কোথায় ভ্রমণ করতে চান সেই সম্পর্কে জানতে চাইবে। এবং আপনি কয়টা ট্রেনে ভ্রমণ করবেন সেটি আপনাকে জিজ্ঞেস করবে। এভাবে আপনি প্রয়োজনীয় সব কাজ শেষ করে আপনি খুব সহজে স্টেশন থেকে অগ্রিম টিকিট ক্রয় করতে পারবেন।
স্টেশন থেকে বের হওয়ার আগে এবং টিকিটের মূল্য পরিশোধ করার পরে টিকিটটি খুব ভালোভাবে লক্ষ্য করে দেখবেন যে কোন সমস্যা রয়েছে কি না। ভ্রমণের আগ পর্যন্ত তার টিকিটটি আপনার কাছে খুব যত্নে রেখে দিবেন টিকিটটি যেন না হারিয়ে যায় সেই দিকে লক্ষ্য রাখবেন।
বেঙ্গল মোবাইলের নতুন চমক
বাজারে এসেছে বেঙ্গল মোবাইলের নতুন চমক BG105 BD হ্যান্ডসেট। এতে রয়েছে আন্তর্জাতিক মানের মাদারবোর্ড সাথে হাই কোয়ালিটি MTK প্রসেসর, যা নিশ্চিত করছে সর্বোচ্চ গুণগত মান। এছাড়াও গ্রাহক আরও পাচ্ছেন ১৮০ দিনের ব্যাটারি ও চার্জার রিপ্লেসমেন্ট গ্যারান্টি,৩৬৫ দিন LCD পরিবর্তন গ্যারান্টি এবং ৩৬৫ দিন প্রাপ্ত বিক্রয়ত্তর সেবা।
খুবই সুন্দর আউটফিটের ১.৭৭" ডিসপ্লের এই হ্যান্ডসেটটি ডুয়েল সিমকার্ড সম্বলিত। পাঁচটি আকর্ষণীয় কালার সমৃদ্ধ এই স্টাইলিস মোবাইলটিতে আরোও থাকছে ক্রিস্টাল কিপ্যাড, ওয়্যারলেস এফএম, টর্চ, ৮০০-ফোনবুক, অটো কল রেকর্ডার, কিং ভয়েস ফিচার এবং আরও আকর্ষণীয় ফিচার।
এ ব্যাপারে বেঙ্গল ফোনের চিফ অপারেটিং অফিসার (সিওও) প্রকৌশলী নাহিদুল ইসলাম জানান, গুণগত মান সম্পন্ন ও আকর্ষণীয় ডিজাইনের হ্যান্ডসেট গুলো বাংলাদেশে আমাদের নিজস্ব কারখানায় চার্জার ব্যাটারি সহ মোবাইল ফোনের পিসিবএ উৎপন্ন করা হচ্ছে।গুণগত মান সম্পন্ন প্রোডাক্ট গ্রাহকের কাছে পৌঁছানোই আমাদের মূল লক্ষ্য। তারই ধারাবাহিকতায় BG105 BD হ্যান্ডসেটটির ডিজাইনে রয়েছে আধুনিকতার ছোঁয়া এবং কোয়ালিটি নিশ্চিত করা হয়েছে শতভাগ। যা ক্রেতা সাধারণকে দিবে দীর্ঘদিন ব্যবহারের নিশ্চয়তা।
যেসব ওয়েবসাইটে ঢুকলে বিপদ নিশ্চিত
কারণ ছাড়াই আমরা অনলাইন শপিং, অ্যাডাল্ট সাইট, বেটিং সাইটসহ বিভিন্ন ওয়েবসাইটে ঢুকি। আর এসব সাইটে আপনার জন্য ওত পেতে আছে ভয়ংকর ম্যালওয়্যার। তবে সবচেয়ে বেশি ম্যালওয়্যারের শিকার হন ব্যবহারকারীরা পাইরেসি ওয়েবসাইট থেকে।
রোববার (২৪ মার্চ) ‘ইন্ডিয়ান স্কুল অব বিজনেস’ এর বরাত দিয়ে এক প্রতিবেদনে এ বিষয়ে বিস্তারিত জানিয়েছে টাইমস অব ইন্ডিয়া।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, পাইরেসি সাইটে ঢুকলে ম্যালওয়্যারের ঝুঁকি সবচেয়ে বেশি, প্রায় ৫৯ শতাংশ, প্রাপ্তবয়স্ক ওয়েবসাইট থেকে ৫৭ শতাংশ ও জুয়ার বিজ্ঞাপন থেকে ৫৩ শতাংশ। আর বিনোদন সেক্টরে ডিজিটাল প্রাইরেসি দেশের সাংস্কৃতিক পণ্যগুলোর জন্য সবচেয়ে বড় ঝুঁকি। এর মধ্যে সিনেমা, গান, টিভি শো, বই, সফটওয়্যার এবং অন্যান্য কপিরাইট নেওয়া সৃজনশীল কাজ রয়েছে।
এই সমীক্ষায় উঠে এসেছে, পাইরেসি সাইটের মালিকদের আয়ের নতুন উৎস হয়ে উঠেছে কম্পিউটার বা মোবাইলে ম্যালওয়্যার হামলা। আর ১৮ থেকে ২৪ বছর বয়সীরা এ হামলার বেশি শিকার হচ্ছেন।
এসব সাইটে না ঢোকার জন্য পরামর্শ দিয়েছেন প্রযুক্তি বিশেষজ্ঞরা।
ইন্টারনেট গ্রাহক কমেছে ৩৫ লাখ
দেশে মোবাইল ইন্টারনেটের গ্রাহক দিন দিন কমেই চলেছে। পাঁচ মাসের ব্যবধানে ৩৫ লাখ গ্রাহক কমেছে। গ্রাহকরা জানান, প্যাকেজ সমন্বয়ের নামে মোবাইল অপারেটরগুলো ইন্টারনেটের দাম বাড়ানোই তারা ব্যবহার কমিয়ে দিয়েছেন।
বিটিআরসির অফিসিয়াল ওয়েবসাইটে প্রকাশিত তথ্যানুযায়ী—২০২৩ সালের আগস্টে মোবাইল ইন্টারনেটের গ্রাহক বেড়ে দাঁড়িয়েছিল ১১ কোটি ৯৭ লাখ ৯০ হাজার। এরপর সেপ্টেম্বর থেকে গ্রাহক কমতে শুরু করে। সেপ্টেম্বরে ২০ হাজার গ্রাহক কমে ১১ কোটি ৯৭ লাখ ৭০ হাজারে নেমে যায়। অক্টোবরে এক লাফে ৩ লাখ ৬০ হাজার গ্রাহক কমে দাঁড়ায় ১১ কোটি ৯৪ লাখ ১০ হাজারে। নভেম্বর প্রায় ৫ লাখ গ্রাহক কমে যায়। ওই মাসে গ্রাহক ছিল ১১ কোটি ৮৯ লাখ ৬০ হাজার। এরপর ডিসেম্বর তা কমে ১১ লাখ ৮৪ লাখ ৯০ হাজারে নেমে যায়। সবশেষ জানুয়ারি মাসে মোবাইল ইন্টারনেট গ্রাহক সংখ্যা কমে ১১ কোটি ৬০ লাখ ৩০ হাজারে নামে।
ইন্টারনেটের সমস্যা নিয়ে ফেসবুকের একটি গ্রুপে আলোচনা করে থাকেন গ্রাহকরা।
গ্রুপে সাজ্জাদুল ইসলাম নামে একজন লেখেন, ‘ইন্টারনেটের প্যাকেজগুলো এমনভাবে তৈরি করা হচ্ছে, যাতে ন্যূনতম ব্যবহারের জন্য সাতদিনের প্যাকেজ কিনতেও ২০০ টাকা খরচ হচ্ছে। আবার অনেক সিমে ঠিকমতো নেটওয়ার্কও পাওয়া যায় না। এজন্য মোবাইল ইন্টারনেট ব্যবহার বন্ধ করে দিয়েছি।’
এ বিষয়ে মোবাইল অপারেটর রবি আজিয়াটা লিমিটেডের চিফ করপোরেট অ্যান্ড রেগুলেটরি অফিসার সাহেদুল আলম গণমাধ্যমকে জানান, নতুন সিদ্ধান্তে ছোট প্যাকেজ কেনা গ্রাহকরা ডাটা কেনা বন্ধ করে দিয়েছেন। আগে যারা তিনদিনের প্যাকেজ কিনতেন, এখন দাম বেশি বলে কিনছেন না তারা। তাই ইন্টারনেট গ্রাহকও কমছে।
বিষয়টি নিয়ে জানতে চাইলে বিটিআরসির মহাপরিচালক (এসএস) ব্রিগেডিয়ার জেনারেল খলিলুর রহমান বলেন, ‘বিষয়টি পর্যালোচনা করা হচ্ছে। পাশাপাশি গণশুনানির আয়োজন করা হচ্ছে। সেখানে গ্রাহকরা কী বলেন, সেটা আমরা শুনবো এবং তা আমলে নিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
বাজারে এল শাওমির নতুন পোকো ফোন
বাজারে এলো চীনের হ্যান্ডসেট নির্মাতা প্রতিষ্ঠান শাওমির সাব ব্র্যান্ড পোকো সিরিজের নতুন ফোন পোকো সি৬১। ফোনটিতে ৫০০০ এমএএইচ ব্যাটারি সাপোর্ট রয়েছে। এতে একটি ৬.৭১ ইঞ্চির ডট ড্রপ ডিসপ্লে রয়েছে।
এ ছাড়াও ফোনটিতে ৯০ হার্জ রিফ্রেশ রেট এবং ১৮৯ হার্জ টাচ স্যাম্পলিং রেট রয়েছে। স্মার্টফোনটি ৬ জিবি র্যাম ও ৬৪ জিবি স্টোরেজ ভার্সনে পাওয়া যাচ্ছে।
এই স্মার্টফোনটি একটি বাজেট কেন্দ্রিক স্মার্টফোন। এতে সাইড মাউন্টেড ফিঙ্গারপ্রিন্ট সেন্সর সাপোর্ট রয়েছে। এই ফোনের ডিজাইন প্রিমিয়াম। এতে রয়েছে গ্লাস ব্যাক ডিজাইন এবং রেডিয়েন্ট রিং ডিজাইন। ফোনটি দ্রুত ফিঙ্গারপ্রিন্ট সেন্সর দেওয়া হয়েছে।
ফোনটির পুরুত্ব ৮.৩ মিলিমিটার। ওজন ১৯৩ গ্রাম। ফোনটির টাচ স্যাম্পলিং রেট ১৮০ হার্জ। ফোনটি কর্নিং গরিলা গ্লাস ৩ সুরক্ষাসহ বাজারে পাওয়া যাবে। ফোনটিতে ৫০০ নিট পিক ব্রাইটনেস দেওয়া হয়েছে। ডিভাইসটিতে ৫০০০ এমএএইচ ব্যাটারি রয়েছে। এ ছাড়াও ১০ ওয়াট ইনবক্স চার্জার দেওয়া হয়েছে। ফোনটিতে ইউএসবি টাইপ সি পোর্ট সংযোগ রয়েছে।
ফোনটিতে ডুয়াল ক্যামেরা সিস্টেম দেওয়া হয়েছে। ফোনটিতে একটি ৮ মেগাপিক্সেলের এআই ডুয়াল ক্যামেরা সেন্সর রয়েছে, যেখানে সামনে একটি ৫ মেগাপিক্সেলের সেলফি ক্যামেরা সেন্সর রয়েছে। ফোনটিতে মিডিয়াটেক জি৩৬ সমর্থন দেওয়া হয়েছে। ফোনটি ১২ এনএম প্রসেস প্রযুক্তি সমর্থন করে।
এআই সারাচ্ছে খেলোয়াড়দের চোট
বিশ্বের শীর্ষ ফুটবলারদের শরীরে চোট খুঁজতে যে প্রযুক্তি ব্যবহৃত হতো, তাই এখন কাজে লাগছে সাধারণ খেলোয়াড়দের হাঁটু বা পিঠের ব্যথা সারাতে৷ স্পোর্টস মেডিসিনের পরীক্ষাগারে এক বাস্কেটবল খেলোয়াড়ের পারফরম্যান্স অ্যানালিসিস পরীক্ষা চলছে৷ পরীক্ষকের ইশারায় হাওয়ায় লাফ দিয়ে এক পায়ে এসে নামতে হবে একটি নির্দিষ্ট বাক্সের ভেতরের জায়গাতেই৷
পরীক্ষকের ভূমিকায় ড. হাউকে ডেউইটৎজ। আরো একবার দরকার! ১৬ বছর বয়সি এই খেলোয়াড় লাফাতে থাকে, শরীরে ছোট বিড বা পুঁতি, অন্যান্য মার্কার ও ইলেকট্রোড নিয়ে, যা তার পেশির পরীক্ষা করে৷ কয়েক মাস ধরে ডান হাঁটুর ব্যথা ভোগাচ্ছে এই খেলোয়াড়কে৷ তাই সে আজ এই ল্যাবে৷ নিয়ন্ত্রিত পরিবেশে পরীক্ষানিরীক্ষা শেষ হবার পর, খেলোয়াড়দের হাড় বিশেষজ্ঞের রিপোর্ট প্রস্তুত৷ হাঁটুর মধ্যে থাকা পাটেলার টেন্ডন কেন আঘাতপ্রাপ্ত, এই পরীক্ষার ফলাফলের মধ্যে তার কারণ খোঁজার চেষ্টা করছেন ড. ডেউইটৎজ৷ কেন অজান্তেই হাঁটু একদিকে হেলে যায়? পেশিগুলি কি ঠিকঠাক ভাবে শরীরের গতি কমাতে পারছে? হাড়ের সন্ধিস্থলে বা জয়েন্টে এর কেমন প্রভাব পড়ছে? বায়োমেকানিক্যাল বিশ্লেষণ এর উত্তর দিতে পারবে৷
দুঘন্টারও বেশি সময় ধরে খেলোয়াড়কে দৌড়াতে হয়েছে দিক বদল করে করে৷ মাঝে ওঠবোস করতেও হয় তাকে৷ সাথে, শরীর কতটা ভারসাম্য বজায় রাখতে পারে বা পেশির জোর কতটুকু তাও মাপা হয় পরীক্ষায়৷ খেলোয়াড়দের প্রতিদিনের যে সমস্যা কোলনে সবার সাথে অনুশীলন করতে আসেন নামকরা অ্যাথলেটরাও৷ পেশাদার ক্লাব ও তার খেলোয়াড়দের কাছে স্বাস্থ্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ শারীরিক সমস্যার সমাধান বার করতে কোনো পথই ছাড়েন না তারা৷
ডেউইটৎজ বলেন, আগে থেকে প্রিভেন্টিভ কেয়ার নিতে খুব বেশি খেলোয়াড়রা আসেন না আমাদের কাছে৷ তাতে সমস্যা আগেই ঠেকানো সম্ভব, বলে মনে করেন তিনি৷ বেশিরভাগই আসেন কোন অপারেশন হবার বা চোট লাগার পর, যেমন যে সব চোট ঘন ঘন লাগে, ফাইবার ছিঁড়ে যাওয়া বা উরুর পেশিতে টান পড়া৷ নতুন ধরনের ব্যথা বা যন্ত্রণা ছাড়া খেলোয়াড়দের সমস্যাও আর পাঁচটা লোকের মতোই, যেমন টেন্ডনের ব্যথা, পেশি বা হাড় সন্ধি ধকল সইতে না পারা৷ এমনটাই বলছে ড. উইটৎজের অভিজ্ঞতা৷
তিনি বলেন, মানুষ সব সময় ভাবে যে পেশাদার খেলোয়াড়রা এতটা প্রশিক্ষিত বলেই তাদের পরীক্ষায় কোনো দুর্বলতা ধরা পড়ে না৷ কিন্তু বাস্কেটবল বা ফুটবলের মতো খেলায় দুর্বলতা থাকে গভীরে৷ উদাহরণস্বরূপ, গুরুত্বপূর্ণ পেশি দুর্বল হওয়া, হাড় সন্ধি চাপ নিতে না পারা, বলেন ডেউইটৎজ৷ আমাকে সেটা সব সময় অবাক করে, বলেন তিনি৷
কিন্তু মোশন অ্যানালিসিস বা গতি অধ্যয়ন থেকে সমস্যার কোনো সুরাহা হয় না৷ কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা যেভাবে কাজে লাগবে লাইপৎজিশ বিশ্ববিদ্যালয়ের বায়োমেকানিকস ল্যাবের প্রধান প্রফেসর মারেন ভিট বলেন, এটা সিদ্ধান্ত গ্রহণের গুরুত্বপূর্ণ সাহায্য দেবে৷ এআই পরীক্ষার ফলাফল ডাক্তার, ফিজিওথেরাপিস্ট ও রোগীদের জানাবে ব্যথা কোথা থেকে আসছে ও কীভাবে তার সুরাহা হবে৷
ভিট বলেন, আমরা বর্তমানে দেখছি কীভাবে এই প্রযুক্তি, যা এত দিন শুধু শীর্ষ পদে থাকা খেলোয়াড়দের জন্য বরাদ্দ ছিল, তা আজ বহু লোকের হাতের নাগালে৷ এক সময় ব্যক্তিগত পরীক্ষা করতে কয়েক দিন লাগত৷ এখন তাই সম্ভব কয়েক ঘন্টায়৷ ভিট আরো বলেন, ভবিষ্যতে, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা শরীরে মার্কিং করা বা দাগ দেওয়াকেও অপ্রয়োজনীয় সাব্যস্ত করবে৷ সময় বাঁচাবার সাথে সাথে এটা তাদেরও সাহায্য করবে, যারা হাঁটু, কোমর বা পিঠের সমস্যায় পরীক্ষা করালেও সুইমস্যুট পরতে চান না৷
আগামী কয়েক বছরে, হাউকে ডেউইটৎজ আশা করেন যে ল্যাবের পাশাপাশি, স্বাভাবিক প্রশিক্ষণের পরিবেশে বা খেলার মাঠেই যাতে খেলোয়াড়রা নিজেদের পরীক্ষা করতে পারেন৷ তিনি বোঝান, তাতে আরো ব্যক্তিভিত্তিক পরীক্ষা সম্ভব হবে ও ব্যথার কেন্দ্রভিত্তিকও৷ টার্গেট ভিত্তিক প্রশিক্ষণ তরুণ খেলোয়াড়ের ওপর দুঘন্টারও বেশি সময় ধরে পরীক্ষা চালিয়ে আশার আলো দেখছেন ডেউইটৎজ৷
সাড়ে ছয় ফুটেরও বেশি উচ্চতার এই তরুণ বাঁ পায়ে ভালোভাবে লাফ দিয়ে নামতে পারেন৷ কিন্তু ততোটা ভালোভাবে এটা ডানপায়ে হচ্ছে না৷ সেক্ষেত্রে, পা খানিকটা বেঁকে যায় ও পাটেলার টেন্ডনে চোট লাগে৷ টার্গেটেড প্রশিক্ষণের মাধ্যমে সমস্যা সমাধানের প্রস্তাব দেন তিনি৷ যার মধ্যে আছে উরু ও নিতম্বের পেশির জোর বাড়ানোর ব্যায়াম৷ সাথে আছে দৌড় ও লাফ দিয়ে নামার নানা কৌশলও৷ দৈনন্দিনের ব্যবহারে কতটা উপকারী হতে পারে এমন প্রশিক্ষণ? প্রফেসর ভিট বলেন, উচ্চ মাত্রার পারফর্মেন্সের খেলায় আমরা ধরে নিচ্ছি যে এটা কার্যকর৷ যদিও এর যুক্তি হিসাবে শুধু মুভমেন্ট বিশ্লেষণকে একা দেখলে হবে না৷ কারণ একজন খেলোয়াড়ের পারফর্মেন্সের ক্ষেত্রে স্বাস্থ্যের নানা রকমের ভূমিকা থাকে৷ এক্ষেত্রে ডেউইটৎজ বলেন আরেক জাতীয় স্তরের খেলোয়াড়ের কথা, যার হ্যামস্ট্রিং কয়েক বছর ধরেই ভোগাচ্ছিল ও কোনো পরিচিত মেডিকাল উপায়েই তার সমাধান আসছিল না৷ এই অ্যানালিসিস জানায় যে ব্যথার কারণ সহজ৷ একটি পেশির দুর্বলতার চাপ এসে পড়ছে আরেকটি পেশির ওপর৷ টার্গেটেড প্রশিক্ষণের সাহায্যে সমস্যা হাওয়ায় মিলিয়ে গেল৷
তার বক্তব্য, যে কোনো ফিজিওথেরাপিস্ট বা স্পোর্টস বিজ্ঞানী এটা করতে পারেন৷ তার জন্য পেছনে বড় ফুটবল ক্লাব বা কয়েক মিলিয়নের সম্পদ থাকার প্রয়োজন নেই৷