এবার সেলুন সার্ভিসে ইভ্যালি, ফেসবুকে বিরূপ প্রতিক্রিয়া
ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান ইভ্যালির প্রধান নির্বাহী ও চেয়ারম্যান কারাগারে থাকলেও থেমে নেই প্রতিষ্ঠানটির কার্যক্রম। প্রতিষ্ঠানটির কাছ থেকে পাওনা টাকা আদায়ে গ্রাহকরা যখন সোচ্চার, তখন ইভ্যালি তাদের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে সেলুন সার্ভিসের মতো বিভিন্ন পণ্য বিক্রির বিজ্ঞাপন দিয়ে যাচ্ছে।
গ্রাহকের টাকা আত্মসাতের অভিযোগে গুলশান থানায় দায়ের করা মামলায় ইভ্যালির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. রাসেল ও চেয়ারম্যান শামীমা নাসরিনকে গ্রেপ্তার করা হয়। পরে আদালত তাদের কারাগারে পাঠান।
গ্রাহকদের একাংশ বলছেন, ইভ্যালি গ্রাহকদের সঙ্গে প্রতিনিয়ত প্রতারণা করেছে। এই প্রতিষ্ঠানের কার্যক্রম অবশ্যই বন্ধ রাখা উচিত। ইভ্যালির ফেসবুক পেজে নতুন ‘ইভ্যালি টি-টেন’ নামে অফার চালুর কথা বলা হয়েছে। অফারে দেখা গেছে, নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য, হোম অ্যাপ্লাইয়েন্সেস, স্মার্টফোন, ইলেকট্রনিকস, স্মার্ট গ্যাজেটস, ফ্যাশন আইটেমসসহ যাবতীয় সবকিছু সাশ্রয়ী রেটে ক্যাশ অন ডেলিভারিতে কেনা যাবে।
ফেসবুকে ‘ইভ্যালি টি-টেন’ পোস্টে প্রতারণা নিয়ে নানান মন্তব্য করেছেন গ্রাহকরা। আনোয়ার হোসেন নামে একজন মন্তব্য করেছেন, আমার মনে হয়, প্রশাসনকে টাকা দিয়া রাসেল ইচ্ছা কইরা কয়দিনের জন্য জেলে গেছে, যেন পাবলিক গণধোলাই না খায় আর পািবলিকের টাকা ফেরত দেওয়া যাতে না লাগে, এটা নতুন ধান্দা। কয়দিন পর রাসেল বের হয়ে বলবে, সরকার আমার টাকা জব্দ করছে। এরপর ইভ্যালি কোম্পানি বন্ধ করে দিয়ে। নতুন বাটপারি ব্যবসা করবে, নইলে দেশ ছাড়বে। নাজমুল হাসান লেখেন, শেষপর্যন্ত সেলুনের ক্ষতি না করেও ছাড়বেন না।
রাজধানীর গুলশান থানায় প্রতারণা মামলা দায়েরের পর মোহাম্মদপুরের বাসা থেকে গ্রেপ্তার হন ইভ্যালির চেয়ারম্যান ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা।
প্রসঙ্গত, ২০২১ সালের ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত ইভ্যালির দায় ছিল ৪০৩ কোটি টাকা, যেখানে তাদের সম্পদ ছিল ৬৫ কোটি টাকা।
এফএ/টিআই
মন্তব্য করুন