• ঢাকা বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০
logo

অনলাইনে কেনা-কাটায় প্রতারণা থেকে রক্ষা পাবেন যেভাবে 

আরটিভি নিউজ

  ১৬ জুলাই ২০২১, ১৯:৪৭
অনলাইনে কেনা-কাটায় প্রতারণা থেকে রক্ষা পাবেন যেভাবে
প্রতীকী ছবি

বাংলাদেশে অনলাইন থেকে পণ্য কেনা-কাটায় প্রতারিত হওয়া নতুন কিছু নয়। ইভ্যালি, আলেশা মার্ট, ই-অরেঞ্জ, ধামাকা শপিং, সিরাজগঞ্জ শপিং, আলাদিনের প্রদীপ, বুম বুম, কিউকম, আদিয়ান মার্ট ও নিডস ডট কম বিডি ই-কমার্সের সঙ্গে ক্রেডিট, ডেবিট ও প্রি-পেইড কার্ডের লেনদেন বন্ধ করে দেয় দেশের বেশ কয়েকটি ব্যাংক। এরপর থেকেই আবারও ই-কামার্সের প্রতারণার বিষয়টি সামনে এসেছে।

করোনাভাইরাস মহামারির মধ্যে নিত্যনতুন অনলাইন ভিত্তিক বেচা-কেনার অনেক প্রতিষ্ঠান জন্ম নিয়েছে। এদের মধ্যে অনেক প্রতিষ্ঠান রয়েছে ভুয়া। কিন্তু ক্রেতাদের সঠিক ধারণা না থাকায় অনেকে অনলাইন থেকে পণ্য কিনতে গিয়ে প্রতারণার শিকার হচ্ছেন। তবে নির্দিষ্ট কিছু বিষয়ে সতর্কতা অবলম্বন করলে এ প্রতারণার হাত থেকে বাঁচা সম্ভব বলে জানিয়েছেন অনলাইন মার্কেটিং এবং প্রযুক্তি বিশেষজ্ঞরা।

আসল ওয়েবসাইট চিনতে হবে

প্রতারক চক্র প্রযুক্তির জ্ঞান কাজে লাগিয়ে অনেক সময় প্রতিষ্ঠানের আসল ওয়েবসাইটের ডিজাইন হালকা পরিবর্তন করে ক্রেতাদের ধোকায় ফেলে দেন। আবার অনেক সময় ওয়েবসাইটের নামের অক্ষর পরিবর্তন করা হয়, যা ক্রেতারা খেয়াল করেন না।

এ রকম প্রতারণা থেকে রক্ষা পেতে সাইবার নিরাপত্তা বিশেষজ্ঞ আফিফা আব্বাস বলেন, সত্যিকারের ওয়েবসাইটে প্রবেশ করেছেন কিনা সেটা বোঝার জন্য দুটো বিষয়ের উপর খেয়াল রাখতে হবে। এর মধ্যে আসল ওয়েবসাইটের অ্যাড্রেসের শুরুতে অবশ্যই https থাকবে এবং ওয়েবসাইটটির একটি পূর্ণ ডোমেইন নেইম থাকবে, অর্থাৎ (WWW.) এর পরে কোন একটি নাম এবং শেষে ডটকম (.COM) থাকবে। এবং ওয়েবসাইটটি কোনো র‍্যানডম নাম্বার দিয়ে শুরু হবে না।

ঠিকানা ও রিভিউ

অনলাইন থেকে পণ্য কেনার সময় ওয়েসবসাইটির ঠিকানা কোথায় তা দেখে নিতে হবে এবং ফোন নম্বর আছে কিনা তাও দেখতে হবে, প্রয়োজনে ফোন দিয়ে সত্যতা যাচাই করে নিতে হবে। এছাড়া দেখে নিতে হবে পণ্যটির সঠিক রিভিউ। অনেক সময় প্রতারক চক্র ভুয়া রিভিউ দিয়ে ক্রেতাদের প্রতারিত করে থাকে। রিভিউ’র পাশাপাশি দেখতে হবে ক্রেতাদের মন্তব্যগুলো।

অতিরিক্ত ছাড় ও চটকদার বিজ্ঞাপন

শুধু বাংলাদেশ নয় বিশ্বব্যাপি প্রতারণার একটি বড় হাতিয়ার হলো চটকদার বিজ্ঞাপন ও অতিরিক্ত মূল্য ছাড়। এ দুটির ফলেই ক্রেতারা যাচাই-বাছাই না করে পণ্য কিনে প্রতারিত হয়ে থাকেন। আর এমন অফার খুবই সীমিত সময়ের মধ্যে দেওয়া হয়ে থাকে, যাতে ক্রেতারা প্রতিযোগিতায় লিপ্ত হয়ে পড়েন। তাই এসব ক্ষেত্রে হুটহাট অর্ডার করার আগে অবশ্যই সতর্ক হওয়া উচিত।

পেইজের বয়স
অনলাইনে পণ্য কেনাকাটা করার ক্ষেত্রে ফেসবুক একটি জনপ্রিয় মাধ্যম। কিন্তু সচেতনতার অভাবে এই ফেসবুক থেকেই প্রতারণার ঘটনা সবচেয়ে বেশি ঘটে থাকে। এক্ষেত্রে কিছু সতর্কতা অবলম্বন করলে প্রতারণা এড়ানো সম্ভব। এজন্য দেখতে হবে ফেসবুক পেইজটি কবে তৈরি করা হয়েছে। পণ্য বিক্রির ক্ষেত্রে এর আগে তারা কোনো লাইভ প্রোগ্রাম করেছে কিনা। ফেসবুক পেইজে ক্রেতাদের কমেন্টের রিপ্লে দেওয়া হয়েছে কিনা। এছাড়া পেইজটিতে যেসব পোস্ট বুস্ট করা হয়েছে, সেগুলোর তুলনায় অন্য পোস্টগুলোতে লাইক-কমেন্ট অস্বাভাবিক কম থাকলে সতর্ক হতে হবে। দেখতে হবে ঠিকানা এবং রিভিউ অপশন আছে কি-না।

পণ্য যাচাই-বাছাই
কোনা পণ্য অর্ডার করার আগে সেটির বিবরণ বিস্তারিত আছে কি-না সেটি দেখে নিতে হবে। এছাড়া পণ্যের মাপ, ওজন ইত্যাদির তথ্য জেনে নিতে হবে। প্রয়োজনে চ্যাটিংয়ে গিয়ে আরো প্রশ্ন করুন। সন্দেহ হলে বিজ্ঞাপনের ছবি ছাড়াও পণ্যটির রিয়েল ছবি চাইতে পারেন। সবশেষে প্রতিষ্ঠানটির রিটার্ন এবং রিফান্ড পলিসি আছে কি-না, থাকলে সেটা কেমন এবং গ্রাহকবান্ধব কি-না, সেটাও যাচাই করুন।

অগ্রিম পেমেন্ট
অনলাইন কেনা-কাটায় প্রতারণার একটি বড় হাতিয়ার, গ্রাহকদের কাছ থেকে অগ্রিম অর্থ নেওয়া। কোনো প্রতিষ্ঠিত অনলাইন না হলে বা প্রতিষ্ঠানটির সম্পর্কে সঠিক তথ্য না পেলে অগ্রিম পেমেন্ট না করাই ভালো।

এছাড়া অনলাইনে বা ফেসবুকে লোভনীয় অফারের কোনো পপআপ, ইমেইলে পাওয়া কোনো ফিশিং লিংকে ক্লিক করা কিংবা পাবলিক ওয়াইফাই ব্যবহার করে অনলাইনে কেনাকাটা করা থেকে বিরত থাকাই ভালো।

সূত্র: বিবিসি বাংলা

জেএইচ

মন্তব্য করুন

daraz
  • তথ্যপ্রযুক্তি এর পাঠক প্রিয়
আরও পড়ুন
করোনায় আরও একজনের মৃত্যু
আরও ৩৫ জনের করোনা শনাক্ত
করোনায় প্রাণ গেলো আরও ১ জনের, শনাক্ত ৪৯
ইভ্যালির রাসেল-শামীমার সম্পত্তি ক্রোকের নির্দেশ
X
Fresh