• ঢাকা শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১
logo

সরকার এবং হ্যাকার যেভাবে আপনার তথ্য-উপাত্ত ও অবস্থান জেনে থাকে

তথ্য-প্রযুক্তি ডেস্ক

  ৩০ জুন ২০২১, ১৭:০১
প্রতীকী ছবি

কম্পিউটার যে ‘ম্যালওয়ার’ দ্বারা আক্রান্ত হতে পারে তা কমবেশি সবাই জানেন। কিন্তু এটা খুব কম মানুষই জানেন যে, তার হাতে থাকা মুঠোফোনটিও হ্যাক করা খুবই সহজ? কুখ্যাত হ্যাকার ও ‘দ্য আর্ট অব ইনভিজিবিলিটি’ বইয়ের লেখক কেভিন মিটনিক দুটি উপায় ব্যাখ্যা করেছেন। সেখানে তিনি ফোন হ্যাক হওয়ার বিষয়ে বিস্তারিত তুলে ধরেছেন। হিংসাত্মক স্বামী বা স্ত্রী, কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা (সিআইএ) বা কোনো রাষ্ট্র কিভাবে তা করে থাকে এবং আপনি কিভাবে এর থেকে নিজেকে রক্ষা করবেন তা তুলে ধরা হয়েছে সেখানে। চলুন জেনে নেয়া যাক সেগুলো।

প্রথম উপায় :
কোনো হ্যাকার যদি আপনার ফোনটির গঠনগত অস্তিত্ব পায় তবে তার জন্য আপনার ফোনটি বাইপাস করা অনেক সহজ হয়ে যায়। উদাহরণস্বরূপ বলা যেতে পারে- আইফোন। আর যদি কেউ ফোনটির পাসওয়ার্ড জেনে ফেলে তাহলে তা খুবই সহজ হয়ে যায়। ফোন হ্যাক কিংবা বাইপাস করার এমন কিছু সফটওয়ার রয়েছে যা ইন্টারনেট থেকে কয়েকশ’ ডলার দিয়েই কেনা যায়। এমন একটি অ্যাপস বা সফটওয়্যার ফ্লেক্সিস্পাই.কম। এটি দ্বারা আপনি যে কারো ফোনের ক্যামেরা চালু করতে পারবেন, ফোনের সকল ম্যাসেজ, তথ্য-উপাত্ত পড়তে পারবেন; এমনকি মুছে ফেলা তথ্য-উপাত্তগুলোও জানতে পারবেন।

কেভিন মিটনিক আরও বলেন, কেউ যদি কাউকে ফোন করে, আপনি চাইলে কথোপকথন চলাকালেই তাদের ফোনে বাধাও দিতে পারবেন। ফোনটিতে নিজেকে সংযুক্ত (নিক্ষেপ করা) করার উপায়ও রয়েছে। এতে আপনি ব্যবহারকারী বা ভিকটিমের সব ধরণের আলাপচারিতা শুনতে পারবেন এবং ভয়ঙ্কর বিষয় হলো আপনি তার অবস্থানও দেখতে পারবেন। এটা প্রায় ‘জিপিএস ট্র্যাকা’র মতোই। এসবের জন্য দুষ্কৃতিকারীর কাছে ফোনের স্পর্শকাতর তথ্য যেমন- পাসওয়ার্ড থাকতে হবে।

দ্বিতীয় উপায় :
দ্বিতীয় উপায় হচ্ছে দূরবর্তী শোষণ বা নিয়ন্ত্রণও বলা যেতে পারে (রিমোট এক্সপ্লয়টেশন্)। এটি সাধারণত আইন প্রয়োগকারী, রাজনৈতিকভাবে সার্বভৌম দেশ বা প্রশাসনিক অঞ্চল, এফবিআই (ফেডারেল ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন), জাতীয় নিরাপত্তা সংস্থা (এনএসএ-ন্যাশনাল সিকিউরিটি এজেন্সি) করে থাকে। সফটওয়্যারটিতে স্বেচ্ছাসেবীগুলির বুনিয়াদি শোষণ করে। আইওএস (iOS) চালিত ফোন নিয়ন্ত্রণ করার জন্য প্রায় ১৫ লাখ ডলার বা তারও অধিক খরচ হয়। অন্যদিকে অ্যান্ড্রয়েডের নিয়ন্ত্রণ নেয়া অনেক সস্তা। কেননা, অ্যান্ড্রয়েড ফোন নিয়ন্ত্রণ করা খুবই সহজ। তাই এটি পরিচালিত হয় প্রায় ২ লাখ ডলারে।

আমরা ভালোই জানি যে, রাজনৈতিকভাবে সার্বভৌম দেশের প্রশাসন এসবের জন্য বিপুল পরিমাণ বাজেট রেখে থাকে। তারা যদি আপনার ব্যাপারে আপস করতে চায় তাহলে তারা এটি খুবই গোপনীয়তার সঙ্গে করতে পারে। আপনি কখনোই জানতে পারবেন না এটি ঘটছে।

সুরক্ষার উপায় :
আপনার ফোনে যে ‘ম্যালওয়ার’ রয়েছে তা শনাক্ত করার কোনো উপায় নেই। তবে নিজেকে রক্ষা করার জন্য যা করা যেতে পারে তার মধ্যে একটি, আপনি নিশ্চিত হয়ে নিন যে আপনার আইওএস অ্যাপলের সর্বশেষ ভার্সন। আপনার মুঠোফোনে শক্তিশালী পাসওয়ার্ড দিন এবং এটি কাউকে বলবেন না। যদি কখনো সন্দেহ করেন যে ফোনটি ‘ম্যালওয়ার’ দ্বারা সংক্রমিত তাহলে কেবল ‘ফার্মওয়ারটি’ পুনরায় চালু করতে পারেন। এটি আইফোনকে ফ্যাক্টরি সেটিংসে রাখে।

প্রসঙ্গত, ভাইরাস, র‌্যান্সমওয়ার ও স্পাইওয়ারসহ বেশ কয়েকটি ক্ষতিকর সফটওয়ারের সম্মিলিত নাম ‘ম্যালওয়ার’। এটি শর্টহ্যান্ড, সাইবার আক্রমণকারীদের কোড দ্বারা উন্নত সফটওয়ার যা তথ্য-উপাত্ত এবং পদ্ধতির ব্যাপক ক্ষতি করতে বা যেকোনো অননুমোদিত নেটওয়ার্কের অ্যাক্সেস দখলে নেয়ার জন্য তৈরি করা হয়েছিল।

সূত্র : বিজনেস ইনসিডার


এসআর/টিএস

মন্তব্য করুন

daraz
  • তথ্যপ্রযুক্তি এর পাঠক প্রিয়
আরও পড়ুন
ফেসবুক পেজ হ্যাক হয়েছে স্বস্তিকার
বিপিডিবির ফেসবুক পেজ হ্যাক
রিজার্ভ চুরি মামলার প্রতিবেদন দাখিলের নতুন তারিখ
দেশে আশঙ্কাজনক হারে বাড়ছে ম্যালওয়্যার সংক্রমণ
X
Fresh